ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

তিতুমীর কলেজের তিন ভবনের নাম পরিবর্তন, শিক্ষার্থীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ রাব্বী, তিতুমীর কলেজ

প্রকাশিত: ১৯:১৭, ২১ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৯:১৮, ২১ জুলাই ২০২৫

তিতুমীর কলেজের তিন ভবনের নাম পরিবর্তন, শিক্ষার্থীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি তিতুমীর কলেজে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভবনের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) কলেজের অধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কলা ভবন এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘বিশ্বকবি ভবন’, মাস্টার্স ভবন হয়েছে ‘পল্লীকবি ভবন’, এবং সম্মান ভবন এর নাম হয়েছে ‘বিদ্রোহী কবি ভবন’।

নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটিকে অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক বলে মনে করছেন।

উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মারুফা নাসরিন বলেন, ‘প্রতিটি কলেজের নিজস্ব পরিচিতি ও ইতিহাস থাকে। আমরা এই নামগুলোর সঙ্গেই পরিচিত। সংস্কার প্রয়োজন হলে ভবনের সংস্কার হওয়া জরুরি ছিল, নাম নয়।’

মাস্টার্স ২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী রাতুল আহমেদ বলেন, ‘এই ভবনগুলোর নাম আমাদের ইতিহাস ও আবেগের অংশ। শুধু পরিবর্তনের জন্য পরিবর্তন করাটা যৌক্তিক নয়। সংস্কারের পরিবর্তে নাম বদলটা হতাশাজনক।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভবনের নাম পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়া উচিত ছিল। কলেজ প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুক এবং ছাত্রসমাজের অনুভূতিকে মূল্য দিক।’

ইসলামি ইতিহাস বিভাগের ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ‘নাম পরিবর্তনটা অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েও এসব নাম প্রচলিত আছে। সংস্কারের জন্য কলেজে আরও অনেক দিক রয়েছে।’

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নাম পরিবর্তনের আগে শিক্ষার মান, অবকাঠামো, ল্যাব ও সেবার মানোন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল। আমরা সেই পরিবর্তন দেখতে চাই।’

এ বিষয়ে কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এম এম আতিকুজ্জামান বলেন, ‘এই ভবনগুলো আগে শুধু নির্দিষ্ট শ্রেণির জন্য ব্যবহার হলেও এখন বিভিন্ন শ্রেণির ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। যেমন, মাস্টার্স ভবনে এখন অনার্সের ক্লাসও হয়। তাই শিক্ষকদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে এই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।’

কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আগে ভবনগুলোর নামে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি হতো, বিশেষ করে নতুনদের জন্য। ভবনগুলো সহজে শনাক্তের জন্য এবং পরিচিত কবিদের নামে স্মৃতিরক্ষা করতেই এই উদ্যোগ। আশা করি, সকলের কাছেই এই নামগুলো গ্রহণযোগ্য হবে।’

রাকিব

আরো পড়ুন  

×