
নারায়ণগঞ্জ : ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে এ যানজট
নারায়ণগঞ্জ (চাষাঢ়া)-আদমজী ইপিজেড-শিমরাইল সড়কের শিমরাইল-ডিপিডিসি’র সিদ্ধিরগঞ্জ সার্কেল অফিসের মোড় থেকে প্রতিনিয়ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ যানজট শিমরাইল মোড় থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল ও সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র হয়ে আদমজী ইপিজেড পর্যন্ত কমপক্ষে ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে বলে স্থানীয়রা জানান।
এতে এ সড়কের চলাচলরত যানবাহন রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে এ সড়ক দিয়ে চলাচলরত যাত্রীরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে বাধ্য হয়। এ সড়কের তিন কিলোমিটার এলাকা ভোগান্তির সড়কে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাতে বাধ্য হচ্ছেন।
শিমরাইল থেকে আদমজী ইপিজেড পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এলাকায় অব্যাহত থাকলেও যানজট নিরসনে কোনো ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিন গিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির অফিস থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল ও সিদ্ধিরগঞ্জ পুল থেকে পাওয়ার হাউস স্টেশন পর্যন্ত তীব্র যানজট অব্যাহত থাকতে দেখা গেছে। এ সময় প্রচÐ রোদে অনেক যাত্রীকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। এ সময় যাত্রীরা যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। যানজট নিরসনে কোন ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। জরুরি ভিত্তিতে উক্ত সড়কের যানজট নিরসন করার জোর দাবি জানান স্থানীয়রা।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ (চাষাঢ়া)-আদমজী ইপিজেড-শিমরাইল সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার অটোরিক্সা, ব্যাটারিচালিত রিক্সা, ইজিবাইক ও মিশুক অসংখ্যবার চলাচল করছে। এ ছাড়াও পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান, মালবাহী ট্রাক, পদ্মা ও মেঘনা ওয়েল ডিপোর অসংখ্য ট্যাঙ্কলরি ও নারায়ণগঞ্জ সাইলো থেকে গম বোঝাই ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। খবর নিয়ে জানা যায়, এ রুটে এখন আর কোনো যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে না।
তাই যাত্রীরা এখন অটোরিক্সা, ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ইজিবাইক ও মিশুকের ওপর নির্ভর করে চলাচল করছে। এখন সমগ্র রাস্তায় থ্রি হুইলার গাড়ি দিয়ে যাত্রীরা চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু ইদানীং এ সড়কের শিমরাইলে ডিপিডিসি’র সিদ্ধিরগঞ্জ সার্কেল অফিসের মোড় থেকে প্রতিনিয়ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ যানজট শিমরাইল মোড় থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল ও সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়ে আদমজী ইপিজেড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে। ডিপিডিসি’র সিদ্ধিরগঞ্জ সার্কেল অফিসের মোড়টিতে ত্রিমুখী রাস্তা রয়েছে।
ডিপিডিসি’র সিদ্ধিরগঞ্জ সার্কেল অফিসের মোড় থেকে ডিএনডি’র প্রধান নিষ্কাশন খালের রাস্তা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা গাড়িগুলো ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রবেশ করছে। এ কারণে এ মোড়টি এখন যানজট সৃষ্টি হওয়ার একটি প্রধান স্পটে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এ তিনটি স্থানে নেই কোনো ট্রাফিক পুলিশ। যানজট নিরসনে কেউ দায়িত্ব পালন করছেন না। ফলে এ স্থানটি এখন যাত্রী ও যানবাহন চালকদের জন্য বিষফোড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সকল স্থানটির কারণে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে।
এ রুটের অটো চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, এ সড়কের শিমরাইল মোড় থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল ও আদমজী ইপিজড পর্যন্ত প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এখান থেকে আশপাশে কমপক্ষে দুই থেকে তিন কিলোমিটার রাস্তা পর্যন্ত যানজট ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিন এখানে ৫-৬ ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে। এ যানজটে র্যাব ও পুলিশের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্সের গাড়িও আটকে থাকতে দেখা যায়। তবুও পুলিশ প্রশাসন যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করছেন না। আদমজীর কদমতলীর বাসিন্দা জামাল হোসেন বলেন, এ রুটের যানজট সৃষ্টি হওয়ায় কয়েক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে শিমরাইল মোড়সহ বিভিন্ন গন্তেব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছি। এ যানজটের অভিশাপ থেকে আমরা মুক্তি চাই। নারায়ণগঞ্জ জেলার ট্রাফিক পুলিশের টিআই (প্রশাসন আব্দুল করিম নারায়ণগঞ্জ-আদমজী ইপিজেড-শিমরাইল সড়কের যানজটের কথা স্বীকার বলেন, জনবল সংকট থাকায় এ সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত করা যাচ্ছে না। সকল জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ দেওয়া যাবে না। তবে আদমজী ইপিজেড এলাকায় নিয়মিত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হবে।
প্যানেল মজি