
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
চব্বিশের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন। এই সময়টাকে বলা হয় ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’। এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পুরোটা সময় জুড়ে দেশের সংবাদপত্রগুলোতে কী সংবাদ ছাপা হয়েছিলো, কীরকমই বা ছিল সেই সংবাদের উপস্থাপন- এসব বিষয় সম্পর্কে জানাতে এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করতে ‘সংবাদ চিত্রে জুলাই অভ্যুত্থান’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।
রবিবার (২৫ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের পাশে দুই দিনব্যাপী এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস. এম. এ. ফায়েজ। এসময় বাংলাদেশ মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ তানজীমউদ্দিন খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ড এর সদস্য মো. জেহাদ উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. মিজানুর রহমান সহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন,শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রদর্শনীতে গত জুলাই-আগস্টে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত আন্দোলন ও নানাবিধ ঘটনা সংক্রান্ত বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকার শিরোনাম, সংবাদ ও ছবির পেপার কাটিং প্রদর্শিত হয়েছে, যেখানে সমকাল,মানবজমিন,ইনকিলাব, যুগান্তর,কালবেলা, আজকের পত্রিকা, ইত্তেফাক, নয়া দিগন্ত, কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন,ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বিবিসি,আল-জাজিরা,নিউ এইজ, নিউ নেশন ও সংগ্রামসহ একাধিক মূলধারার সংবাদপত্রে প্রকাশিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের উল্লেখযোগ্য সংবাদগুলো স্থান পেয়েছে।
আয়োজনের বিষয়ে সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোছা. জান্নাতী বেগম বলেন, ‘জুলাইয়ের চেতনা আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সেই চেতনা যেন স্মরণে থাকে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন সেই সাহসিকতা ও প্রতিজ্ঞা থেকে অনুপ্রেরণা নেয়-সেই ভাবনা থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ।’
সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. কামরুল হাসান বলেন,‘গত জুলাই-আগস্টে চলমান ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দুঃসহ দিনের স্মৃতিগুলোকে উপস্থাপন করার পাশাপাশি সেই সময়ে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকরা কতটা ঝুঁকি নিয়ে, কখনও জীবন হুমকির মুখে ফেলে, নিরপেক্ষ ও সত্য তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন-তা স্মরণ করিয়ে দিতেই এই প্রদর্শনীর আয়োজন। এই প্রদর্শনী ভবিষ্যতে গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা হিসেবেও কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
মিরাজ খান