
ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয়পর্যায়ে তিন দিনব্যাপী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকীর উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রেম, দ্রোহ ও সাম্যের কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনের এক বিরাট অধ্যায় জুড়ে রয়েছে কুমিল্লায়।
রোববার (২৫ মে) বিকাল ৩টায় কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। পরে তিনি ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান: কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার’ -এ প্রতিপাদ্য নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মো. লতিফুল ইসলাম শিবলী। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার এবং স্মারক বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খান।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা ২০২৩-২৪ সালে নজরুল ইন্সটিটিউট ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নজরুল বিষয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চার জনকে সম্মাননা প্রদান করেন। এদের মধ্যে নজরুল চর্চায় ইশরাত আহমেদ শাহীন, সঙ্গীতে রুমী আজনবী, গবেষণায় আবদুল হাই শিকদার ও আবৃতিতে নাছিম আহমেদ। অনুষ্ঠানে বলা হয়, এ সরকার গেজেট প্রকাশ করে নজরুলকে জাতীয় কবি স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সাংবাদিকদের বলেন, নজরুলের স্মৃতি অবহেলিত, আমি জানি। কিন্তু আমরা স্মৃতিরক্ষা শুরু করি, কিন্তু সংরক্ষণ করি না। এটি আমাদের খারাপ দিক। তবে আমাদের সুনজর রয়েছে। নজরুলের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিকে তিন দিনব্যাপী জাতীয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে কবির স্মৃতিধন্য জেলার মুরাদনগরের দৌলতপুরে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া তৃতীয় দিনে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে বিকাল ৪টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।
আসিফ