
ছবি: প্রতীকী
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজের (শেবামেক) ৫০তম ব্যাচের মেধাবী শিক্ষার্থী সজীব বাড়ৈর আত্মহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি এবং শিক্ষাবান্ধব একাডেমিক পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৫ মে) বেলা ১১টার দিকে কলেজের একাডেমিক ভবনের সামনে ৫০তম ব্যাচের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, “পড়াশোনার চাপে আজ আমাদের প্রিয় সহপাঠী সজীব বাড়ৈ আমাদের মাঝে নেই। আমরা চাপমুক্ত, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাবান্ধব একাডেমিক পরিবেশ চাই।”
পরে শিক্ষার্থীরা কলেজ অধ্যক্ষের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তার কাছে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষক ডা. কাজী মো. আসাদুজ্জামান রুমির অপসারণের দাবিতে লিখিত আবেদন জমা দেন।
লিখিত আবেদনে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ৫০তম ব্যাচের মেধাবী শিক্ষার্থী সজীব বাড়ৈ গত ১৯ মে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে ২৪ মে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি গত দুই বছর ধরে গভীর বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, এই মানসিক অবস্থার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দায়ী ডা. কাজী মো. আসাদুজ্জামান রুমি।
তারা আরও উল্লেখ করেন, “একজন পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীকে মানসিকভাবে চাপে রেখে কীভাবে ধ্বংস করে ফেলা যায় তার জ্বলন্ত উদাহরণ সজীব বাড়ৈর মর্মান্তিক ঘটনা।”
৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরিত পত্রে ডা. রুমির অপসারণ এবং একটি শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. ফয়জুল বাশার।
কলেজ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আবেদন পাওয়ার পরপরই অধ্যক্ষের নির্দেশে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একটি লিখিত স্মারক প্রেরণ করা হয়। অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত ওই স্মারকে শিক্ষার্থীদের দাবির কথা উল্লেখ করে ডা. কাজী মো. আসাদুজ্জামান রুমির বদলির সুপারিশ করা হয়েছে।
শহীদ