ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

আপনি কেন করবেন বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট?

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৪১, ১৪ জুন ২০২৫

আপনি কেন করবেন বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট?

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘বিকাশ’ মার্চেন্টদের জন্য এনেছে একাধিক সুবিধা। একজন মার্চেন্ট হিসেবে অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেনকে সহজ, দ্রুত এবং নিরাপদ করার সুযোগ মিলছে। নিচে বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টের প্রধান সুবিধাগুলো তুলে ধরা হলো:

১) প্রথমবার বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার পর প্রথম তিন মাস পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে ক্যাশ আউট করা যাবে। পরবর্তী মাসগুলোতে নির্ধারিত ক্যাশ আউট চার্জ প্রযোজ্য হবে।

২) মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টধারীরা বিকাশের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে স্বয়ংক্রিয় পেমেন্ট সুবিধা পাবেন, যার মাধ্যমে গ্রাহক সহজেই পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারবেন।

৩) পেমেন্ট রিফান্ডের সুবিধা রয়েছে। যদি কোনো গ্রাহক পেমেন্টের পর রিফান্ড চান, তবে মার্চেন্টের সম্মতিতে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিফান্ড হয়ে যাবে।

৪) পার্সোনাল অ্যাকাউন্টের তুলনায় মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টে লেনদেন সীমাবদ্ধতা অনেক কম, ফলে প্রতিদিন অনেক বেশি পরিমাণ অর্থ লেনদেন করা সম্ভব।

৫) একই জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ব্যবহার করে পার্সোনাল অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা যায়, তবে শর্ত হলো। সেই NID দিয়ে এজেন্ট বা রিটেইলার অ্যাকাউন্ট খোলা থাকতে পারবে না।

৬) একাধিক পেমেন্ট অপশন (যেমন: সরাসরি পেমেন্ট, QR কোড, পেমেন্ট লিংক এবং ভিসা কার্ড) থেকে গ্রাহকদের পেমেন্ট গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।

৭) পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে ন্যূনতম পরিমাণের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এমনকি এক টাকাও পেমেন্ট পাঠানো যাবে, এবং সেই পেমেন্ট তুলনামূলকভাবে কম খরচে উত্তোলন করা সম্ভব।

৮) মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট পরিচালনার জন্য পৃথক মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। এছাড়া *২৪৭# ডায়াল করেও অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করা যায়।

বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে যা যা লাগবে

  • আবেদনকারীর সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর এবং বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে
  • নিজের নামে নিবন্ধিত বৈধ মোবাইল নম্বর, যা আগে কোন বিকাশ অ্যাকাউন্টের জন্য ব্যবহার করা হয়নি
  • আবেদনকারীর ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
  • TIN সার্টিফিকেট
  • ট্রেড লাইসেন্সের কপি (মেয়াদসহ)
  • ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ/পানি/গ্যাস)
  • ব্যাংক বিবরণী (অ্যাকাউন্ট নাম, নম্বর, ব্যাংকের নাম ও শাখার নাম)
  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড/ড্রাইভিং লাইসেন্স/পাসপোর্ট/অনলাইন এনআইডি কপি
  • সার্টিফিকেট অফ ইনকর্পোরেশন (লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে) ও মেমোরেন্ডাম অফ অ্যাসোসিয়েশন
  • পার্টনারশিপ সমর্থনপত্র (পার্টনারশিপ ফার্মের ক্ষেত্রে)

মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম
মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে যেকোনো ব্রাউজার থেকে বিকাশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে একটি অনলাইন ফরম পূরণ করেই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। ফরমে কোথায় কী তথ্য দিতে হবে, তা ওয়েবসাইটেই বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা আছে।

শহীদ

×