ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এখনো ছুটির আমেজ বাজারে

ভোজ্যতেল শাক-সবজির দাম কমলেও বেড়েছে পেঁয়াজ-মাছের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৫৮, ১৩ জুন ২০২৫

ভোজ্যতেল শাক-সবজির দাম কমলেও বেড়েছে পেঁয়াজ-মাছের

.

রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে এখনো ছুটির আমেজ বিরাজ করছে। সে কারণে পণ্যের সরবরাহ কম থাকায় কিছু পণ্যের দাম যেমন বেড়েছে আবার চাহিদা না থাকায় কিছু পণ্যের দামও কমেছে। দাম কমার তালিকায় আছে সয়াবিন তেল, শাক-সবজি, রসুন ও মসলাপাতির দাম। আবার চাহিদা থাকায় বেড়েছে  মাছ ও পেঁয়াজের দাম। দাম বেড়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে চাল, ডাল, আটা ও চিনির মতো নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আজ শনিবার থেকে কোরবানি ঈদের সরকারি ছুটি শেষ হয়ে যাচ্ছে। কাল থেকে পুরোদমে সরকারি- বেসরকারি অফিসে কাজকর্ম শুরু হবে।
এ কারণে যারা নাড়ির টানে গ্রামে গিয়েছিলেন ঈদ করতে, তারা আবার ফিরে এসেছেন ব্যস্ত এই নগরীতে। ফলে আজ থেকে ঢাকায় নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করছেন সবজি ও মুদিপণ্যের ব্যবসায়ীরা। টানা দশ দিনের ছুটিতে বেশিরভাগ দোকানপাট বিশেষ করে সবজি ও মাছ-মাংসের দোকানগুলোর বেশিরভাগই বন্ধ ছিল। দু-একটি যাও বা খোলা ছিল সেখানেও ক্রেতা ছিল হাতেগোনার মতো। পণ্যের সরবরাহও কম ছিল। ফলে ঢিলেঢালা ভাবে চলেছে বেচাকেনা। বিক্রেতারা জানান, ক্রেতা কম থাকায় গত কয়েক দিন খুবই ঢিলেঢালাভাবে বিক্রি হয়েছে। তবে আজ শনিবার থেকে বেচাকেনা ভালোভাবে শুরু হবে বলে আশা করছেন তারা। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, ফার্মগেট কাঁচা বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ও মিরপুর সিটি করপোরেশনের কাঁচা বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
কোরবানির ঈদের আগে হঠাৎ বাজারে শসা, কাঁচা মরিচ, গাজর, টমেটো ও লেবুর দাম বেড়ে গিয়েছিল। মূলত ওই সময় এসব পণ্যের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছিল। তবে ঈদের পরে সেই দাম কমেছে। শুক্রবার প্রতি কেজি শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদের আগে শসার কেজি ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। কোথাও এর চেয়ে বেশি দামেও শসা বিক্রি হয়েছিল। বাজারে  প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকায়, যা ঈদের আগে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা ছিল। সালাদ পণ্যের মধ্যে টমেটোর দাম এখনো বেশি রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ১০০-১২০ টাকায়, যা ঈদের আগেও একই ছিল। বাজারে অন্যান্য সবজির দামও স্থিতিশীল রয়েছে। অধিকাংশ সবজিই ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। যেমন- লাউ, পেঁপে, পটোল, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, ধুন্দুল প্রভৃতি সবজি ৪০-৫০ টাকায় এবং বরবটি, ঢেড়স, কাকরোল, করোলা, বেগুন প্রভৃতি সবজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি আলু ২০-২২ টাকা ও পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
কোরবানি ঈদের পর পর বাজারে গরু, খাসি ও মুরগির মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম। এ কারণে মাংসের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতিও কম দেখা গেছে। ঈদের আগে মুরগির দাম বেড়েছিল, সেটি কমেছে। তবে গরু ও খাসির দাম আগের মতোই রয়েছে। গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৭০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৫০-৩০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। ঈদের আগে এই দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেশি ছিল। আর ফার্মের মুরগির ডিমের দাম আগের মতোই ডজন ১৩০ টাকা রয়েছে। মাছের বাজারেও কমসংখ্যক বিক্রেতা দেখা গেছে। মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, পুরোদমে দোকানপাট খুললেও মাছের সরবরাহ বাড়বে। তখন দাম আবার কমে আসবে। প্রতি কেজি ইলিশ মাছ কিনতে ১৮শ’ থেকে দুই হাজার গুনতে হচ্ছে ভোক্তাকে। জাত ও মানভেদে চিংড়ি ৮০০-১৫০০ টাকা  বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি। এ ছাড়া পুঁটি, টেংড়া ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া, পাঙ্গাশ ও অন্যান্য মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।  

 

প্যানেল

×