![গরুর মাংসের দোকান যেনো ’ডাকাতের আস্তানা’ গরুর মাংসের দোকান যেনো ’ডাকাতের আস্তানা’](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2023May/40-2402131130.jpg)
গরুর মাংস
গত বছরের শেষের দিকে মাংস ব্যবসায়ী খলিল মাংসের দাম কমানোর পরে সারাদেশে গরুর মাংসের দাম কিছুটা কমলেও প্রথম দফায় এ বছরের একদম শুরুর দিকেই বাড়তে শুরু করে গরুর মাংসের দাম। এবার রোজাকে সামনে রেখে আরেক দফায় বাড়ছে গরুর মাংসের দাম। মাংস ব্যবসায়ীদের দাবি, অল্প দামে বিক্রি করে লাভ হচ্ছে না। তাছাড়া সরবরাহ সংকটের কারণেও বাড়ছে দাম।
রাজাধানীর বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়। বাজার করতে আসা একজন ক্রেতা জানান, মাসে একদিন গরুর মাংস খাওয়ার মতো অবস্থায়ও নেই মধ্যবিত্তরা। গরুর মাংসের দোকানে ঢুকলেই মনে হয় ডাকাতের আস্তানা ।
তবে গত ডিসেম্বরে গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকা বেঁধে দিয়েছিলেন মাংস ব্যবসায়ীরা। আর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গরুর মাংসের দাম নির্ধারিত থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। সে সময় প্রতিকেজি গরুর মাস ৬৫০ টাকায় বিক্রি করায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন দাবি করে আপাতত ৭০০ টাকা দরে বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা।
মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ৭০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির কথা বললেও কেন ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, কম দামে মাংস বিক্রি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। আর ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ভালো মানের মাংস।
আর কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, কম দামে মাংস বিক্রি করে পোষাচ্ছে না। পাশাপাশি রমজান ও কোরবানিতে ভালো দাম পাওয়ার আশায় খামারিরা গরু কম বিক্রি করছেন। এতে সরবরাহ সংকটে বাজারে গরুর দাম কিছুটা বেড়েছে।
এর আগে গত বছরের শেষ দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মাংস ব্যবসায়ী মো. খলিল ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন। সেসময় হঠাৎ করেই বাজারে কমতে শুরু করে গরুর মাংসের দাম। তবে নানা নাটকীয়তার পর দাম কমলেও, সরবরাহ সংকটের অজুহাত দিয়ে আবারও তা বাড়ছে।
এবি