স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রস্তাবিত বাজেটে তামাকের ট্যারিফ মূল্য প্রায় দশ গুণ বৃদ্ধি করায় জর্দ্দা, গুল ও তামাকজাত পণ্য ব্যাপকহারে নকল হওয়ার আশঙ্কা করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ না নিলে তামাকজাত পণ্যের প্রকৃত ব্যবসায়ীদের টিকে থাকা কঠিন হবে। লাভবান হবে ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে নকল পণ্য উৎপাদনে জড়িত ব্যবসায়ীরা। যন্ত্রপাতিও তেমন প্রয়োজন না হওয়ায় তামাকজাত পণ্য উৎপাদনে নকল ব্যবসায়ীর সংখ্যা বাড়বে। এছাড়া চোরাই পথে বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তামাকজাত পণ্য দেশে প্রবেশ করবে। সরকার বিশাল অঙ্কের রাজস্ব হারাবে।
তামাকজাতপণ্য ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে যেখানে উন্নতমানের তামাকের দাম যেখানে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা, সেখানে এক কেজি তামাকের ট্যারিফ মূল্য ধরা হয়েছে ৩ হাজার টাকা। তার সঙ্গে ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ১ শতাংশ সারচার্জ ধরা হয়েছে। অথচ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রতিগ্রাম তামাকের ট্যারিফ মূল্য ছিল ১ টাকা ২০ পয়সা। তার সঙ্গে ১০০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ১ শতাংশ সারচার্জ ছিল।
প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিগ্রাম তামাকের ট্যারিফমূল্য ৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাদের দাবি, তামাক ব্যবসা চাইলেই বন্ধ করে দেয়া সম্ভব না। কারণ এর সঙ্গে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের বিষয় জড়িত। অতিরিক্ত শুল্কের কারণে প্রতিষ্ঠিত ও নামকরা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হবে। পক্ষান্তরে যারা নকল ও অবৈধ উপায়ে ব্যবসা করে তাদের ব্যবসার প্রসার হবে।
এই অবস্থায় তামাক ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ অপরিবর্তিত রেখে প্রতিগ্রাম তামাকের ট্যারিফমূল্য ৩০ থেকে ৪০ পয়সা নির্ধারণ করার দাবি জানান।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: