.
মাত্রই শেষ হলো পবিত্র মাহে রমজান। প্রায় পুরোটা রোজার মাসই কেটেছে শীতল পরিবেশে। ঈদ শেষে বৈশাখ আসতেই শুরু হয়েছে তীব্র গরম। দেশব্যাপী চলছে তাপদাহ। ঢাকায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই হলেও, ঢাকার বাইরে ৪০ ছাপিয়ে গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এক সপ্তাহ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সিলেট বাদে বাকি ৭ বিভাগের উপর দিয়ে তাপ প্রবাহ অতিক্রমের প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে। গাছ কেটে নগরায়ণই এই তীব্র তাপের সূচনা বলে মনে করা হচ্ছে। তাই বলে তো দৈনন্দিন কাজকর্ম বাদ দেওয়া যাবে না। শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীদের বাইরে যেতেই হবে। তাই কিছু সাবধানতা এবং নিয়ম যতটা সম্ভব মেনে চলুন, যাতে অন্তত সুস্থ থাকা যায়।
করণীয় ও পরিত্যাজ্য:
১) যখন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস- এ পৌঁছে তখন খুব ঠান্ডা পানি পান করতে নিষেধ করেন চিকিৎসকগণ। কারণ এতে রক্তনালী হঠাৎই সঙ্কুচিত হয়ে স্ট্রোক হতে পারে। তাই বরফ বা ঠান্ডা পানি পান করবেন না।
২) বাহিরের তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করলে ঘরে চলে আসুন বা ছায়ায় অবস্থান করুন।
৩) ঘরে এসেই হাত-পা-মুখ ধুবেন না। একটু অপেক্ষা করুন। শরীরের ঘাম শুকিয়ে ঘরের তাপের সঙ্গে খাপ খেতে দিন। অন্তত আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তারপর হাত-মুখ ধোয়া বা গোসল করুন।
৪) গরম থেকে এসেই সরাসরি এসি বা ফ্যানের নিচে বসে ঠা-া হতে যাবেন না। এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
৫) অল্প করে বারে বারে পানি পান করুন। কোমল পানীয় পরিহার করুন। স্বাভাবিক শরবত, ডাব বা লবণ পানি পান করতে পারেন, যদি তা আপনার জন্য কোনো কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে। তবে তাও স্বল্প পরিমাণে।
৬) বাইরে বের হলে ছাতা, সানগ্লাস, ক্যাপ ব্যবহার করুন। কাপড় দিয়ে মাথা যথাসম্ভব ঢেকে রাখুন।
৭) দিনের বেলায় যথাসম্ভব বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন, রোদ এড়িয়ে চলুন।
৮) হালকা রঙের, ঢিলেঢালা সুতির জামা পরুন। ছেলেরা হাফ হাতা শার্ট পরুন। বাজারে এখন বাটিক বা আরামদায়ক সুতি কাপড়ের তৈরি সময়োপযোগী হাফ হাতা শার্ট পাওয়া যায়। ফুল হাতাও আছে যা পরে আরাম। এখন বুটিক শপগুলো সব জায়গায় পরার উপযুক্ত শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি তৈরি করছে।
৯) সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। বাসি ও খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
১০) দিনের বেলায় একটানা শারীরিক পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকুন।
১১) সম্ভব হলে একাধিকবার পানির ঝাপটা নিন বা গোসল করুন।
১২) প্রস্রাবের রং হলুদ বা গাঢ় হলে অবশ্যই পানি পানের পরিমাণ বাড়ান।
১৩) ঘরের পরিবেশ যেন অতিরিক্ত গরম বা ভ্যাপসা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। পর্দায় ঠান্ডা পানি স্প্রে করুন। কোনো পাত্রে বরফ বা ঠান্ডা পানি নিয়ে ঘরের মেঝেতে রেখে দিন। এতে কিছুক্ষণের জন্য ঘরের বাতাস ঠান্ডা অনুভূত হবে।
১৪) অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।