ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কমেছে সরু চাল আটা পেঁয়াজ ও মশুর ডালের দাম

নিত্যপণ্যের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম আরও বেড়েছে

প্রকাশিত: ২০:৫৪, ২১ জানুয়ারি ২০২২

নিত্যপণ্যের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম আরও বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নিত্যপণ্যের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম আরও বেড়েছে। কিছুটা কমেছে সরু চাল, আটা, মশুর ডাল, পেঁয়াজ এবং আদার দাম। চিনি, ব্রয়লার মুরগি, মাছ, গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে বেড়েছে ডিমের দাম। সরবরাহ বাড়লেও কমছে না শীতকালীন সবজির দাম। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, ফার্মগেট বাজার, মো. টাউন হল মার্কেট, রায়ের বাজার সিটি কর্পোরেশন মার্কেট এবং মিরপুর-১ সিটি কর্পোরেশন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবির তথ্যমতেও নিত্যপণ্যের বাজারে বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার প্রস্তাব নাকচ করা হলেও সরকারী সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে রিফাইনাররা তেলের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছেন। এতে করে স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ভোগ্যপণ্যের দাম। খুচরা বাজারে ব্র্যান্ড ভেদে পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে-৭৫০-৭৯০ টাকা। এছাড়া খোলা প্রতিলিটার সয়াবিন তেল কিনতে ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকা। এছাড়া প্রতিলটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ব্র্যান্ডভেদে ১৬০-১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। প্রতিলিটার পামওয়েল খোলা ১৩৫-১৪০ এবং পামওয়েল সুপার ১৪০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক দশকের মধ্যে এই দাম সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও দেশে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। দ্রুত ভোজ্যতেলের দাম কমানোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছেন ক্রেতারা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ফার্মগেট কাঁচা বাজার থেকে ভোজ্যতেল কিনছিলেন পূর্ব রাজা বাজারের বাসিন্দা হালিম সরকার। তিনি বলেন, দফায় দফায় বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম। অথচ বাইরের দেশে কমছে। সরকারী সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বাজার মনিটরিং জোরদার হওয়া প্রয়োজন। ওই বাজারের মুদি পণ্যের ব্যবসায়ী মো. জালাল শিকদার জনকণ্ঠকে বলেন, পাইকারি বাজার হিসেবে খ্যাত মৌলভী বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছেই। আর এ কারণে খুচরায়ও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এদিকে কিছুটা কমেছে সরু চালের দাম। প্রতিকেজি নাজিরশাইল, মিনিকেট ও বাশমতি নামের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬৫-৭০ টাকায়। এছাড়া মোটা মানের স্বর্ণা ও চায়না ইরি বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ এবং মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চাল ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি আটা (প্যাকেট) ৪২-৪৫ এবং খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৪০ টাকায়। এক্ষেত্রে কিছুটা দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। এছাড়া প্রতিকেজি মশুর ডাল মানভেদে ৯৫-১২৫, পেঁয়াজ দেশী ৩০-৪০, আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৪৫-৫০, আদা ৮০-১২০, ডিম প্রতিহালি ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি চিনি ৭৫-৮০, ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৭০, প্রতিকেজি গরু ৫৮০-৬০০, খাসি ৮৫০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। কয়েক মাস ধরেই ব্যবসায়ীরা আশ্বাস দিয়ে আসছিলেন যে বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেই দাম কমে যাবে। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী সবজির দাম কমেনি। প্রতিপিস ফুলকপি আকারভেদে ৪০-৫০ এবং বাধাকপি ৩০-৪০, হাইব্রিড জাতীয় শসা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। বাজারে প্রতি কেজি গাঁজর ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, খিরা ৫০ টাকা, শিম মানভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, নতুন আলু ৩০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, হাইব্রিড করলা ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। কাওরান বাজারের সবজি বিক্রেতা রাসেল বলেন, প্রতিবছর এই সময়টাতে সবজির দাম কম থাকলেও এবার ব্যতিক্রম। একমাত্র আলু ছাড়া অন্যকোন সবজির দাম তেমন কমেনি।
×