ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে বোরো চারা রোপন চলছে

প্রকাশিত: ১২:৪১, ১৩ জানুয়ারি ২০২২

নীলফামারীতে বোরো চারা রোপন চলছে

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী সহ রংপুর অঞ্চলে বোরো চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক। জমিতে পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ, বীজ উঠানো, ও প্রস্তুতকৃত জমিতে চারা রোপণ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে বীজতলা হওয়ায় এবার উৎপাদন বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে কৃষি বিভাগ। এ ছাড়া দেশের বৃহত্তম তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পেও ৫৩ হাজার হেক্টরে সেচ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদিকে গত দুই দিন ধরে গুড়ি গুড়ি বৃস্টির পর আজ বৃহস্পতিবার রোদের কিছুটা মুখ দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায় শীত কুয়াশা ও হালকা রোদের আলোয় বোরোর জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কেউ বা জমিতে হাল চাষ দিচ্ছেন। কেউ জমির আইলে কোদাল পাড়া কিংবা জৈব সার বিতরণ কাজে ব্যস্ত। কেউ সেচের জন্য ড্রেন নির্মাণ কিংবা পা¤েপর বা শ্যালো মেশিনের জন্য ঘর তৈরি করছেন। আবার অনেকে তৈরি জমিতে পানি সেচ দিয়ে ভিজিয়ে রাখছেন। আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ করে কেউ বা বীজতলা থেকে চারা তুলে তা রোপণ করছেন ক্ষেত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে । যা গতবার চির ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে। এবার ৭ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে বেশী বোরো আবাদ করছে কৃষক। এরমধ্যে নীলফামারী জেলায় ৮১ হাজার ৫৫০ হেক্টর, রংপুর জেলায় ১লাখ ৩০ হাজার ৯৫০ হেক্টর, গাইবান্ধা জেলায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৪৫ হেক্টর, কুড়িগ্রাম জেলায় ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৫৫ হেক্টর ও লালমনিরহাট জেলায় ৪৭ হাজার ৬৫০ হেক্টর। এতে চাল উৎপাদনের লক্ষমাত্র ধরা হয়েছে ২২ লাখ ৭ হাজার ১৩২ মেট্রিকটন। নীলফামারী জেলা কৃষি অফিস জানায়, গতবছর এ জেলায় ৮১ হাজার হেক্টরে বোরো আবাদ হয়েছিল। এবার ৫৫০ হেক্টর বেশী জমিতে বোরো আবাদ করছে কৃষক। চাঁদের হাট গ্রামের কৃষক শাহাজাহান মিয়া বলেন, এবার প্রায় তিন বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন। শ্রমিক সঙ্কট থাকায় চুক্তি দিতে হয়েছে। বিঘা প্রতি সাড়ে আটশ থেকে হাজার টাকার মতো দিতে হ্েচ্ছ। বীজতলা থেকে শুরু করে সার, ওষুধসহ জমি লাগানো পর্যন্ত বিঘা প্রতি প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন আবহাওয়া ভালো থাকলে আবাদ ভালো হবে। একই গ্রামের কৃষক মো: ইসলাম বলেন, বাজারে ধানের দাম এখন অনেক। গতবছর বোরো ও আমনে ধানের পাওয়ায় এবারও কৃষক ধান আবাদে মনোযোগী হয়েছে। তবে কৃষিতে উৎপাদন খরচ দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা বেকায়দায় পড়েছে। তিস্তা সেচ প্রকল্পের পরিচালক ও পানি উন্নয়ন বার্ডের উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষে বলেন, এবার চার জেলা ও ১২উপজেলার ৫৩ হাজার হেক্টর জমিত সেচ প্রদান দেয়া হচ্চে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(বিএমডিএ)রংপর সার্কেলের আওতায় রংপুর অঞ্চলে ৫জেলায় চলতি বছর ২হাজার ২শ ২৫টি সেচযন্ত্র সচল রয়েছে। রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলায় রংপুর সার্কেলের আওতায় ৫৫ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে রোবোর চাষ হবে বলে জানান,তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবর রহমান খান।
×