ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যাত্রীরও দায়িত্ব আছে মোঃ মাসুদ হোসেন

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ নৌপথে নিরাপত্তা

প্রকাশিত: ২১:৩১, ৬ জানুয়ারি ২০২২

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ নৌপথে নিরাপত্তা

বাংলাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম একটি নৌ পথ। সড়ক, রেল কিংবা আকাশ পথের মতো নয় এটি। বিগত দিনে চারটি যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ ছিল নৌপথ। কিন্তু দিন দিন এ পথে অনিশ্চয়তা অনিরাপত্তা বেড়েই চলছে ক্রমান্বয়ে। নৌপথের দুর্ঘটনায় বাড়াচ্ছে মানুষ মৃত্যুর সংখ্যা, পঙ্গুত্ব বরণ করছে অনেক মানুষ। এভাবে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন নদীপথে চলছে ইঞ্জিনচালিত নৌযান। এদিকে অবৈধ, নিয়মবহির্ভূত যাত্রী পরিবহন ও ত্রুটিযুক্ত নৌযানের কারণে বিভিন্ন সময়ে নদীপথে ঘটছে দুর্ঘটনা। দেশে নৌযান চলাচলের উপযোগী পথ রয়েছে ৫ হাজার কিলোমিটার। এই নদীপথে ১৬ অশ্বশক্তির ইঞ্জিনচালিত নৌযানের লাইসেন্স ছাড়া চলাচল নিষিদ্ধ। অবৈধভাবে চলাচল করলে আইনের আওতায় এনে এসব নৌযানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার বিধান থাকলেও নেয়া হচ্ছে না যথাযথ পদক্ষেপ। এ ছাড়া গত জুলাই মাসে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু কে মানে কার কথা। যেমনটি মানেনি লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তেমনি মানে না যাত্রীরাও। লঞ্চটি ঘাটে আসার পর পরই হুড়োহুড়ি খেয়ে উঠে পড়েন লঞ্চে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে। তারাও যদি উঠে পড়া অতিরিক্ত যাত্রীদের বিরুদ্ধে কিছুটা নিয়মনীতি বেঁধে দেন তাহলে আর এমটি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যেত। আর ভারি মালামাল ওাা-নামানোর সময় সতর্কতা অবলম্বন করলেও লঞ্চ দুর্ঘটনা কিছুটা কমে আসতে পারে। সেই সঙ্গে যাত্রীরাও তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নৌভ্রমণে ধূমপান না করে সতর্কতা অবলম্বন করলে অগ্নিদুর্ঘটনা কমতে পারে। যেমনটি গত মাসে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নি দুর্ঘটনার কারণেই চল্লিশের ওপরে প্রাণ গেল মানুষের। তাই নৌপথে নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজন প্রশাসনের সঠিক আইন প্রয়োগ। নিয়মিত নজরদারি ও আইনের কঠোর প্রয়োগ অব্যাহত রাখলে নৌদুর্ঘটনা অনেকটা কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাণহানির ঘটনা থেকে রক্ষা পাবে যাত্রীগণ। মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে আর চলতে হবে না ভ্রমণকৃত যাত্রীসাধারণকে। শান্তিপ্রিয় দেশটিতে আর হবে না কোন হাহাকার। বিশ্বাস ফিরে আসবে নৌপথে ভ্রমণপিপাসুদের মাঝে। চাঁদপুর সদর থেকে
×