ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা ব্যক্তি শনাক্ত

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ২১ অক্টোবর ২০২১

কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা ব্যক্তি শনাক্ত

অনলাইন ডেস্ক ॥ কুমিল্লার নানুয়াদিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। শনাক্ত ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন (৩৫) । তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, ‘শনাক্ত ব্যক্তি নানুয়াদীঘির পাশের একটি মাজারের দিক থেকে পবিত্র কোরআন সাদৃশ্য একটি গ্রন্থ নিয়ে আসছেন।’ আরেক ফুটেজে দেখা যায়, ‘সেই কোরআন সাদৃশ্য গ্রন্থটি নিয়ে তিনি পূজামণ্ডপে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে হনুমানের হাতে থাকা গদাটি নিয়ে অন্য দিকে চলে যায়। পুলিশের দাবি এই ব্যক্তিই মণ্ডবে পবিত্র কোরআন শরিফ রেখে এসেছেন।’ জানা গেছে, এই ইকবাল (৩৫) শহরের সুজানগরের খানকা মাজার এলাকার নূর মোহাম্মদ আলমের ছেলে। তিনি পেশায় রঙমিস্ত্রি। এই যুবককে গ্রেফতার করতে পারলেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছে পুলিশ। সেদিন সকালে ‘৯৯৯’ এ খবর পেয়ে নানুয়া দীঘির পাড়ের ওই মণ্ডপ গিয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি কুরআন উদ্ধার করেছিলেন। তখন ফেইসবুকে তা লাইভ করে ঘটনা বর্ণনা দিয়েছিলেন যিনি, সেই ফায়েজকে পুলিশ সেদিনই গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে। ফেইসবুকে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ার পর উত্তেজনা দেখা দেয়, এরপর ওই পূজামণ্ডপ ভাংচুর হয়, পরে ভাংচুর হয় কুমিল্লা শহরে আরও অন্তত আটটি মন্দির। ওসির কুরআন উদ্ধারের ভিডিও বিভিন্ন ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেইজ থেকে ছড়াতে দেখা গেছে, যেখানে ছবি-ভিডিওর সঙ্গে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্যও ছিল। দুর্গাপূজার মধ্যে কুমিল্লার এই ঘটনার পর চাঁদপুর, নোয়াখালী, কক্সবাজার, ফেনীসহ বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা ছড়ায়। এসব ঘটনায় ৭২টি মামলা এবং ৪৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
×