
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার কচুয়াদি গ্রামের কৃষক মো. আব্দুর রশিদ নতুন ফসল হিসেবে পুষ্টিগুণে ভরপুর গিমা কলমি শাক চাষে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে তিনি বাড়ির পাশে ২০ শতক জমিতে এই শাকের আবাদ করেন।
গত মে মাসের শুরুতে উন্নতজাতের বীজ রোপণ করে জুনের শুরুতেই গিমা কলমি শাক বাজারজাত করা শুরু করেন। সরেজমিন গিয়ে কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, “জমি পতিত রাখতে চাই না বলেই বারোমাস নানা ফসল চাষ করি। গিমা কলমি শাক চাষ করে দারুণ ফলন পেয়েছি। সপ্তাহে দুইদিন শাক কেটে দিগম্বর বাজারে বিক্রি করছি। পাইকারদের কাছে প্রতি আঁটি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়।”
তিনি জানান, শাক চাষে তেমন কোনো খরচ হয়নি এবং কোনো রোগ-বালাই নেই। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তার ভালো ফলন দেখে এলাকার অন্যান্য কৃষকও গিমা কলমি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, “গিমা কলমি শাক চাষের জন্য সারা বছরই উপযুক্ত, তবে মার্চ থেকে আগস্ট বীজ বপনের সর্বোত্তম সময়। এটি সহজেই পুকুর, খাল, বিলের ধারে বা টবেও চাষ করা যায়। গিমা কলমি ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম ও আয়রনের উৎকৃষ্ট উৎস।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চিন্ময় কর অপু বলেন, “আমরা কৃষকদের গিমা কলমি শাক চাষে উৎসাহিত করছি। এর মধ্যে কচুয়াদি গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার জমির ফলন দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হয়েছেন।”
মিমিয়া