
টানা ১০ দিনের বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর সেচ প্রকল্প (সিআইপি) এলাকার রায়পুর উপজেলার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে ৪ হাজার ২০০ হেক্টর জমির রোপা আমনের বীজতলা, শাকসবজির খেত, পানের বরজ ও মাছের ঘের পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে চরম ক্ষতির আশঙ্কায় পড়েছেন কৃষক ও মৎস্য খামারিরা।
উপজেলার সোনাপুর, চরআবাবিল, চরবংশী, চরপাতা, চরমোহনা, বামনীসহ অন্তত ১০টি ইউনিয়নের নিচু জমিগুলোয় দুই থেকে তিন ফুট পানি জমে রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ধানের চারা ও পানগাছ পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে।
সোনাপুরের হারুন আলম, রুহুল আমিন, চরআবাবিলের তারেক আহমদ, চরপাতার সফিক আহমদ, চরবংশীর নুরনবী ও নুর হোসেনসহ অনেক কৃষক জানান, টানা বৃষ্টিতে বীজতলা ও রোপা আমনের খেত নষ্ট হয়ে গেছে। খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত পানি না সরালে চারা ও পানগাছ সম্পূর্ণভাবে পচে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
দক্ষিণ কেরোয়া গ্রামের কৃষক আবদুর মোতালেব বলেন, ‘সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধের ভেতরের অনেক খাল দখল হয়ে গেছে। পানি যাওয়ার পথ না থাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে সিআইপি প্রকল্পের সম্প্রসারণ ওভারসিয়ার (এসও) বলেন, ‘জলাবদ্ধতা দ্রুত দূর করতে হাজীমারা স্লুইসগেট দিয়ে পানি বের করা হচ্ছে। একইসঙ্গে চরগাবাদি পাম্প হাউজের ১২০০ কিউসেক ক্ষমতার ছয়টি পাম্প দিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম জানান, রায়পুর উপজেলায় এবার ৪ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে। গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে গভীর জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে, যা আমন উৎপাদনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ চলছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মৌসুমী ফলন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না-ও হতে পারে।
জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজারের বেশি কৃষক পরিবার এখন দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।'
রাজু