কোর্ট রিপোর্টার ॥ অস্ত্র মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক গাড়িচালক আব্দুল মালেকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার ৪ নম্বর ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ রবিউল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে অস্ত্র রাখার জন্য ১৫ বছর এবং গুলি রাখার জন্য আরও ১৫ বছর সাজা প্রদান করা হয়। তবে দুই সাজা একসঙ্গে চলবে বিধায় তাকে মোট ১৫ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন আদালত। রায় শেষে আব্দুল মালেককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
অবৈধ অস্ত্র, জাল নোটের ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করার পর র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) জানায়, তৃতীয় শ্রেণীর এই কর্মচারীর বিপুল সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এর মধ্যে আছে দুটি সাততলা ভবন, নির্মাণাধীন একটি ১০ তলা ভবন, জমি, গরুর খামার ও বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ গচ্ছিত অর্থ। এ সম্পদের অর্থমূল্য শত কোটি টাকারও ওপরে।
মামলাটিতে মোট ১৩ সাক্ষীর সকলের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে সোমবার রায়ের পর আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল মালেক সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। র্যাব আমার বাসা থেকে কোন কিছুই পায়নি। আমি ন্যায়বিচার পাইনি, আমি মিথ্যা মামলায় জেল খাটব। কোন অস্ত্র পায়নি আমার বাসা থেকে।’ আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত মালেকের স্বজনরা সাজার এ রায় শোনার পর কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। রায়ে ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন মালেকের আইনজীবীরা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: