ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

১৮ মাস পর স্কুলে এসে দেখে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে

প্রকাশিত: ১১:১৭, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

১৮ মাস পর স্কুলে এসে দেখে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম হলদিবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এক মাস আগেও ছিল। করোনার কারনে দেশের সমস্ত স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। ১৮ মাস পর স্কুল খুলেছে। শিক্ষক শিক্ষার্থী স্কুলে এসেছে। তাদের সেই প্রিয় স্কুলটি নেই। এখন শুধু স্মৃতি। স্কুলটি তিস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন নতুন করে স্কুলটি চরের বালুর ডিপিতে টিনের চালা তৈরি করে স্কুল পরিচালনা করছে। চরের বাসিন্দা মোছা রাবেয়া খাতুন জানান, তিস্তার দূর্গম চরের পশ্চিম হলদিবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি রঙ্গীন টিনের তৈরি আধাপাকা ঘরে ছিল। প্রতিটি শেনি কক্ষ ছিল শিশু শিক্ষার্থীদের পড়া লেখার পরিবেশ। গাছ গাছ-গালিতে ছিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পূর্ণ পরিবেশ। এখন সেই স্কুলের চিত্র নেই। সেখানে ঠাঁই দাঁড়িয়ে রয়েছে টিনের চালা। মরণগ্রাসি তিস্তা গর্ভে এক মাস আগে বিলীন হয়ে গেছে। গত ২৭ আগস্ট পশ্চিম হলদিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। একই দিনে বিলীন হয় প্রধানমন্ত্রীর তৃণমূলের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করণের ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকটি। এই তিস্তা চরে দূরত্ব বজায় রেখে পূর্ব হলদিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে আরেকটি স্কুল ছিল। সেটিও বিলীন হয়ে গেছে। ২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুর্নঃস্থাপনের স্থান নির্ধারণে নিয়ে দেখা দিয়েছে দ্বন্দ। বর্তমানে পূর্ব হলদিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবনের ৩টি রুমে আপাতত প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিম হলদিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম তিস্তা চরের সাত ভাইয়ের বালু চর নামক স্থানে একটি টিনের চালা ঘর করে চালু করা হয়েছে। প্রখর রোদে টিনের চালা গরম হয়ে প্রচন্ড ইত্তাপ ছড়ায়। শিশুরা টিনের ঘরমে ক্লাস খুব কষ্টে পড়েছে। খুব দ্রুত স্থানীয় প্রশাসন বিদ্যালয় ২টি পুনঃস্থাপনে স্থান নিধারণের জটিলতা নিরসন করে পাঠ উপযোগী বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের দাবি জানান। দাবি উঠেছে পশ্চিম হলদিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূর্ব হলদিবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় দু’টি চরের লোকালয়ে জনবসতিপূর্ণ স্থানে পুর্ণ নির্মান করা হউক। তাহলে শিক্ষার্থীগণ খুব সহজে বিদ্যালযৈ উপস্থিত হতে পারবে। দুর হয়ে যাবে দুই স্কুল পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিয়ে দ্বন্দ। পশ্চিম হলদিবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিনুর ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদেও যাতায়াতে সুবিধাজনক স্থানে বিদ্যালয় পুনঃস্থাপনে অগ্রাধিকার দেয়া খুব প্রয়োজন। এতে করে শিক্ষার্থীদেও চরের বালুময় পথ চলার কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে। হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন জানন, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২টি পরিদর্শন করে এসেছি। খুব তাড়াতাড়ি বিদ্যালয় ২টির স্থান নির্ধারণ করে অবকাঠামো তৈরির ব্যবস্থা করা হবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সুবিধা ও নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থান নিধারণ করা হবে। এমন ভাবেই সুপারিশ করা হবে।
×