ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হবিগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ৯ বছর আত্মগোপন

প্রকাশিত: ১৭:৫৫, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

হবিগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ৯ বছর আত্মগোপন

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ ॥ হবিগঞ্জে জহুরা খাতুন শিমু নামে এক নারীকে অপহরণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ৯ বছর ধরে আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন চার ব্যক্তি। জেল খাটতে হয়েছে তিনজনকে। অথচ এতোদিন পর জানা গেল মামলাটি মিথ্যা। অপহরণ নয়, বরং আত্মগোপনে ছিলেন ওই নারী। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে শিমুকে আটক করে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। শিমু হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর শিমুকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে একটি মামলা করেন তার মা আমেনা খাতুন। মামলায় রতনপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ, সুরাব আলী, আব্বাস মিয়া ও হারুন মিয়াকে আসামী করা হয়। আসামীরা আত্মসমর্পণ করলে তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। পরে চার আসামী উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। কিন্তু নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন তারা। পরে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে ওই নারীকে উদ্ধারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। এরপর শিমুকে উদ্ধারে তৎপর হয় হবিগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, সোমবার নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে শিমুকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) সনক কান্তি দাশ। সনক কান্তি দাশ বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিমু জানিয়েছেন, তাকে কেউ অপহরণ করেনি। পরিবারের পরামর্শে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য তিনি সিদ্ধিরগঞ্জে ৯ বছর আত্মগোপনে ছিলেন। দীর্ঘ এ সময় শিমু সিদ্ধিরগঞ্জের একটি কাপড়ের কারখানায় চাকরি করতেন। নিয়মিত পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হতো। বাড়িতে তিনি টাকাও পাঠাতেন। এসআই আরও জানান, মামলাটি মিথ্যা উল্লেখ করে আদালতে দুইবার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। কিন্তু বাদীপক্ষের নারাজী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। অবশেষে জানা গেছে মামলাটি মিথ্যা। অপরাধ না করেই ভুক্তভোগী হয়েছেন আসামীরা।
×