ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে যাত্রীদের উভয়মুখী চাপ

প্রকাশিত: ১৪:৫০, ২২ জুলাই ২০২১

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে যাত্রীদের উভয়মুখী চাপ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ আগামীকাল থেকেই আসছে কঠোর লকডাউন। বাড়িতে আটকে যাওয়ার ভয়ে তাড়াহুড়োয় ঈদ শেষ করেই ঢাকায় ছুটছে মানুষ। এ কারণে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ঢাকাসহ কর্মস্থলে ছুটছে মানুষ। তবে ঈদ শেষ হলেও আজো দক্ষিনমুখী যাত্রীদের চাপ রয়েছে উভয় ঘাটে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেলের দিকে যাত্রী চাপ অনেক বেশি। দক্ষিনাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে বিভিন্ন যানবাহনে বাংলাবাজার ঘাটে আসছেন হাজার হাজার মানুষ। বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি লঞ্চেই ছিল যাত্রীতে ভরপুর। লঞ্চগুলোতে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। প্রতিটি লঞ্চেই নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী। ফলে উপেক্ষিত রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি। অনেককেই মাস্ক পড়তে দেখা যায়নি। এদিকে ফেরিতেও সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ না থাকলেও দুপুরের পর চাপ শুরু হয়। বাংলাবাজার ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ফেরিতে যানবাহনের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক যাত্রীতে ছিল ভরপুর। এদিনও ঢাকা থেকে ফেরিতে অনেক যাত্রী দক্ষিনাঞ্চলে ফিরছেন। আজও পদ্মায় অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে তীব্র স্রোতের ফেরি পারাপারে দ্বিগুন সময় লাগছে। এরুটে স্পীডবোট চলাচল বন্ধ থাকলেও ১৫ ফেরি ৮৬ লঞ্চ চলাচল করছে। বিআইডব্লিউটিএ বাংলাবাজার ঘাট পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, ‘আজ সকাল থেকেই লঞ্চে উভয়মুখী যাত্রী চাপ রয়েছে। আমরা প্রতিটি লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্যবিধি মানতে আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে। বিকেলের দিকে হঠাৎ যাত্রী চাপ বেড়ে যায়।’ বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাটের ম্যানেজার মো: সালাউদ্দিন বলেন, ‘সকাল থেকে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ না থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহন ও যাত্রীদের ভীড় বাড়তে শুরু করেছে। আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ্যামবুলেন্স, যাত্রীবাহী গাড়িসহ জরুরী যানবাহন পারাপার করছি। প্রতিটি ফেরিতেই বিপুল সংখ্যক যাত্রীরা পার হচ্ছে। পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে তীব্র স্রোতের ফেরি পারাপার কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।’
×