ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী

অতি দ্রুত লবণসহিষ্ণু ধানের জাত দক্ষিণে সম্প্রসারণের নির্দেশ

প্রকাশিত: ২৩:৪৬, ২৫ জুন ২০২১

অতি দ্রুত লবণসহিষ্ণু ধানের জাত দক্ষিণে সম্প্রসারণের নির্দেশ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে অতি দ্রুত লবণসহিষ্ণু ধানের জাত সম্প্রসারণের জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশ প্রদান করেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে ব্রিধান ৬৭, ব্রিধান ৯৭, ব্রিধান ৯৯, বিনা-১০সহ অনেকগুলো লবণাক্ত সহিষ্ণু জাতের ধান উদ্ভাবিত হয়েছে। এগুলোর পর্যাপ্ত বীজ উৎপাদন করে কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে’। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের চাষের জমি কমছে, মানুষ বাড়ছে, খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে খাদ্যের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতাকে টেকসই করতে হলে আরও নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।’ কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন পর্যালোচনায় দেখা যায়, এডিপি বাস্তবায়নে সব মন্ত্রণালয়ের চেয়ে এগিয়ে আছে কৃষি মন্ত্রণালয়। করোনা মহামারীর প্রকোপের মধ্যেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের মে ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৭৬ শতাংশ। এ অগ্রগতি জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি। মে মাস পর্যন্ত জাতীয় গড় অগ্রগতি ৫৮ শতাংশ। অবশিষ্ট এক মাসের মধ্যে প্রায় শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে আশা করছে কৃষি মন্ত্রণলয়। এ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চলমান করোনা মহামারী ও ঘূর্ণিঝড়, বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এডিপি বাস্তবায়নে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে। করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের মতো সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, বাস্তবায়ন অগ্রগতির এই হার গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি। গত বছর মে, ২০২০ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতির হার ছিল ৫৯ শতাংশ, মোট বরাদ্দ ১ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছিল ১ হাজার ৪২ কোটি টাকা। অথচ, সেখানে চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের ৮৫টি প্রকল্পের অনুক‚লে মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৩২২ কোটি টাকার মধ্যে ১ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা ইতোমধ্যে ব্যয় হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) ড. মোঃ আব্দুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মোঃ রুহুল আমিন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ওয়াহিদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (সার ও উপকরণ) মোঃ মাহবুবুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ আসাদুল্লাহ এবং অন্য সংস্থা প্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এডিপি সভার আগে কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২০-২১ প্রদান করেন। এ বছর কৃষি মন্ত্রণালয়ের ও দফতর ও সংস্থার মধ্যে ৩ জনকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। দফতর ও সংস্থার প্রধানদের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ আসাদুল্লাহ, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উপসচিব এস এম ইমরুল হাসান ও কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল বাতেন সিরাজী পুরস্কার পান।
×