ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পেরুকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল

প্রকাশিত: ১০:২২, ১৮ জুন ২০২১

পেরুকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল

অনলাইন ডেস্ক ॥ দারুণ ছন্দে আছে ব্রাজিল।কোপা আমেরিকার গত আসরের রানার্সআপ পেরুকে সহজেই হারিয়েছে তারা। রিও দে জেনেইরোর নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে 'এ' গ্রুপের ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। আগের ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল দলটি। শুরুতেই আলেক্স সান্দ্রোর গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। শেষ দিকে জালের দেখা পান এভেরতন রিভেইরো ও রিশার্লিসন। গত আসরের দুই ফাইনালিস্টের লড়াইয়ে সত্যিকারের প্রথম সুযোগেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। দ্বাদশ মিনিটে এভেরতনের ক্রস বিপদমুক্ত করতে পারেনি পেরুর ডিফেন্স। বল পেয়ে যান গাব্রিয়েল জেসুস। এই ফরোয়ার্ডের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ ভলিতে বাকিটা সারেন সান্দ্রো। দেশের হয়ে এটি তার দ্বিতীয় গোল। ২৫তম মিনিটে ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ করে ফেলেছিলেন ফাবিনিয়ো। ডি বক্সের বাইরে থেকে একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি তার বুলেট গতির শট। পাঁচ মিনিট পর একই ভাবে চেষ্টা করেন রেনাতো তাপিয়া। পেরুর এই মিডফিল্ডারের শট লক্ষ্যে ছিল কিন্তু পরাস্ত করতে পারেনি সতর্ক এদেরসনকে। পরের কিছুটা সময় ব্রাজিলকে বেশ চাপে রাখে পেরু। তবে ঠাণ্ডা মাথায় সব আক্রমণ রুখে দেয় স্বাগতিকরা। ৩৯তম মিনিটে কর্নারের বিনিময়ে পেরুর একটি চেষ্টা ঠেকিয়ে ব্রাজিলের ত্রাতা দানিলো। ছয় মিনিট পর সুযোগ আসে ব্রাজিলের লেফট ব্যাক সান্দ্রোর সামনে। ডি বক্সের মাথা থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ইউভেন্তুসের এই ডিফেন্ডার। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে জমে উঠে ম্যাচ। প্রথম সুযোগ পায় ব্রাজিল। ৫২তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে দানিলোর শট একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। আট মিনিট পর পড়ে গেলে ব্রাজিলকে পেনাল্টি দেন রেফারি পাত্রিসিও রুস্তাও। কিন্তু ভিএআরে অনেকবার রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। রেনাতোর মৃদু টোকাতেই পড়ে গিয়েছিলেন বল পায়ে পেরুর ডি বক্সে ঢুকে পড়া নেইমার। ৬৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই পিএসজি তারকা। ফ্রেদের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে আড়াআড়ি জাল খুঁজে নেন বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলার। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি পেরুর গোলরক্ষক পেদ্রো। চোট কাটিয়ে ফেরার পর চার ম্যাচে জালের দেখা পাওয়া নেইমারের এটি দেশের হয়ে ৬৮তম গোল। এই গোলের পর যেন ভেঙে পড়ে পেরুর সব প্রতিরোধ। একের পর এক আক্রমণে তাদের রক্ষণকে ব্যস্ত রাখে ব্রাজিল।৭৩তম মিনিটে রিশার্লিসনের শট ঠেকিয়ে ব্যবধান আরও বাড়তে দেননি পেদ্রো। পাঁচ মিনিট পর আলেক্স ভালেরার ব্যর্থতায় ব্যবধান কমাতে পারেনি সফরকারীরা। ফ্রি কিক থেকে গোল মুখে বল পেয়েও ক্রসবারের উপর দিয়ে বল পাঠান তিনি। ৮৪তম মিনিটে নেইমারের ফ্রি কিক একটুর জন্য থাকেনি লক্ষ্যে। তিন মিনিট পর রবের্ত ফিরমিনোর শট ঠেকিয়ে দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন পেরুভিয়ান গোলরক্ষক। ৮৯তম মিনিটে রিশার্লিসনের ক্রসে খুব কাছ থেকে জাল খুঁজে নেন এভেরতন রিভেইরোর। ব্রাজিলের হয়ে এটাই তার প্রথম গোল। কোনো সুযোগই ছিল না গোলরক্ষকের। যোগ করা সময়ে ব্যবধান আরও বাড়ান রিশার্লিসন। ফিরমিনোর শট গোলরক্ষক পা দিয়ে ফিরিয়ে দিলে বল পান এভাটনের এই ফরোয়ার্ড। তার প্রথম শটও ফিরিয়ে দেন পেরুর এক খেলোয়াড়। ফিরতি বল জালে পাঠান রিশার্লিসন। বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।
×