ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাহফুজুল হক জগলুল

স্মৃতিলুপ্ত একটি শহর আমরা চাই না

প্রকাশিত: ২১:৩৫, ১৫ জানুয়ারি ২০২১

স্মৃতিলুপ্ত একটি শহর আমরা চাই না

বহু বছর আগে, সেই ১৯৯৭ সালে গিয়েছিলাম ইতালি, রোমে বাল্যবন্ধু স্থপতি মিনহাজুর রহমানের বাসায় অতিথি হয়েছিলাম। মিনহাজের স্ত্রী, আমার বুয়েট ক্লাসমেট স্থপতি মাশফি বিন্তে শামস তখন রোমের বাংলাদেশ দূতাবাসে সুনামের সঙ্গে কর্মরত (বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব)। আজকের লেখা আসলে কোন ভ্রমণ কাহিনী নয়, লেখার উদ্দেশ্য হলো ইতালিয়ানরা কিভাবে তাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্থাপত্য নিদর্শনগুলোকে পরম আবেগে, পরম সমাদরে এবং একই সঙ্গে পরম কঠোরতার সঙ্গে সংরক্ষণ করে তার দুটি ছোট্ট অভিজ্ঞতালব্ধ উদাহরণ তুলে ধরা। প্রথমটি শোনা তৎকালীন বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মরত স্থপতি মাশফি বিনতে শামসের কাছ থেকে। ঘটনাটা এ রকম, রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের ভাড়া করা বাড়িটা কিছুটা পুরনো, তাই সে দেশের আইনানুযায়ী ভবনটি সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ে তালিকাভুক্ত এবং এ কারণে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ ব্যতিরেকে সেখানে কোন ধরনের পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা যাবে না, তবে বসবাস করা বা ভাড়া দেয়া যাবে। বাংলাদেশ দূতাবাস চাচ্ছিল এই বাড়ির অভ্যন্তরের দুটো বড় রুমের মাঝে ছোট্ট একটা সংযোগ দরজা দিতে, বাড়ির মালিকের মাধ্যমে যথারীতি মন্ত্রণালয়ে সিদ্ধান্তের জন্য প্ল্যানসহ লিখিত আবেদন করা হয়। দীর্ঘ ৬ মাস ইতিহাসবিদ এবং স্থপতিদের অনেক মিটিং, সার্ভে, মাপামাপি ও বিতর্কের পর বাড়ির মালিককে লিখিতভাবে জানিয়ে দেয়া হয় যে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের স্বার্থে তাদের ‘নতুন দরজার আবেদনের অনুমোদন দেয়া সম্ভব নয়। আর একটা ঘটনার কথা বলি, স্থপতি মিনহাজের গাড়িতে রোমে ঘুরতে ঘুরতে আমরা গাড়ির জন্য তেল নিতে গিয়ে দেখলাম লম্বা চওড়া এক ভদ্রলোক ফুটপাথে টুলের ওপর বসে আছে আবার কখনও কখনও পাইপ দিয়ে গাড়িতে পেট্রোল দিচ্ছে আর সঙ্গে সঙ্গে গাদাগাদা ইতালিয়ান লিরা দ্রুত পকেটে ঢুকিয়ে রাখছে, এই সরু ফুটপাথই তার অভিনব পেট্রোল পাম্পের নির্ধারিত স্থান, সামান্য একটা টুল ছাড়া পেট্রোল পাম্পের অন্য কোন আসবাবপত্র নেই, লিরা রাখার জন্য সামান্য একটা ড্রয়ারও নেই। দৃশ্যটা দেখে আমার খুব মজা লাগল। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ঘটনা কি? সে যা বলল তা মোটামুটি এ রকম; পেছনের বিশাল লাইমস্টোন ফ্যাসাদের বাড়িটা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি কিন্তু সেটা যেহেতু বেশ পুরনো তাই এটা জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ হয়ে গেছে এবং মালিকানা তাদের থাকলেও এর পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা ভেঙে ফেলার অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। যেহেতু একটি স্ট্যান্ডার্ড পেট্রোল পাম্প করতে গেলে ভবনটি ভাঙতে হবে আবার অন্যদিকে যেহেতু হেরিটেজ বিল্ডিং হবার কারণে ভবনটির গায়ে আঁচড় কাটাও যাবে না, তাই নগর নিয়ন্ত্রক সংস্থার সংবেদনশীল পেশাজীবীরা এই অভিনব উদ্ভাবনী পদ্ধতির মাধ্যমে জীবিকার আশু চাহিদা ও ঐতিহ্য সংরক্ষনের চিরায়ত দ্বন্দ্বের এই চমৎকার সমাধানের পথ আবিষ্কার করেছে । পদ্ধতিটি হলো, তাকে ফুটপাথের উপরই পেট্রোল ডিস্পেন্সার মেশিন বসাতে দেয়া হবে, কিন্তু ভূগর্ভস্থ তেলাধার থাকতে হবে অনেক দূরে যাতে ভবনটিকে স্পর্শ না করেও পেট্রোল পাম্পটি সচল রাখা সম্ভব হয়। এই দুটি আপাত ছোট ঘটনার মাধ্যমেই ফুটে উঠেছে একটি উন্নত আধুনিক জাতির রাজনৈতিক ও সিভিল সোসাইটির এবং সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের (স্থপতি, প্রকৌশলী, নগর পরিকল্পনাবিদ, ইতিহাসবিদসহ অনেকের) সাংস্কৃতিক মান। অর্থনৈতিক ও শিল্প উন্নয়নের সূচকে জি-এইট ক্লাবের সদস্য ইতালি তথাকথিত স্থুল উন্নয়নের দোহাই দিয়ে সহজেই আমাদের মতো নির্বিচারে ঐতিহাসিক সাক্ষীবহ ভবন ও স্থাপনাগুলোকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে তথাকথিত বিশাল বিশাল প্রজেক্ট বানাতে পারত। কিন্তু তাদের সমাজের উপরিকাঠামোর মানুষদের উন্নত সাংস্কৃতিক মান, মনন ও শিক্ষা তাদের সে আত্মবিধ্বংসী পথ থেকে বিরত রেখেছে। এ বিষয় নিয়ে যখন লিখছি তখন শুনতে পাচ্ছি বিশ্বখ্যাত গ্রিক স্থপতি ও আরবান ডিজাইনার কন্সটান্টিন ডক্সিয়াডেসের ডিজাইন করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এবং আরও দুই বিশ্ববিখ্যাত গ্রান্ডমাস্টার স্থপতি ড্যানিয়েল ডানহ্যাম ও বব বুইয়ের ডিজাইন করা কমলাপুর রেলস্টেশনের মতো উন্নত স্থাপত্য কর্মগুলো ফাঁসিকাষ্ঠে আসামির মতো এ মুহূর্তে ভেঙে ফেলার তালিকায় একদম শীর্ষে আছে। কন্সটান্টিন ডক্সিয়াডেস হলেন সেই আরবান ডিজাইনার যিনি ইসলামাবাদের মাস্টারপ্ল্যান ডিজাইন করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। সত্যি কথা বলতে গেলে এদেশের গ্রামীণ স্থাপত্যচিন্তা, জলবায়ু ও মাটির বাস্তবতা এবং গণমানুষের সংস্কৃতি ও সহজাত জীবনাচরণের চাহিদাকে মাথায় রেখে আধুনিক স্থাপত্যরীতির সূচনাকারী হাতেগোনা যে কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানের স্থাপত্যকর্ম এ ভূখণ্ডে সেসময় হয়েছিল এগুলো হলো তাদের মধ্যে অন্যতম। এই রকম ভবনগুলো প্রতি এক অপার ভালবাসা ও মমতা নিয়ে এদেশের স্থপতিরা তিলে তিলে নিজেদের গড়ে তুলে আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্মানের সঙ্গে আপন মেধা ও সৃষ্টিশীলতার প্রমাণ রাখছে। গত প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে স্থাপত্যের ছাত্রদের এই ভবনগুলোকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে পড়ানো হচ্ছে, তাদের এর উপর পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। ভবিষ্যতেও হয়ত পড়ানো হবে, কিন্তু ভবিষ্যতের ছাত্ররা এই ভবনগুলোকে আর বইয়ের পাতা ছাড়া অন্য কোথাও খুঁজে পাবে না। ধরা যাক, এমন কি চিন্তা করা যায়, যে সারা বিশ্বের স্থাপত্য বা ফাইন আর্টের ছাত্ররা অনেক উৎসাহ নিয়ে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে এসে দেখলো তাজমহলের স্থানে সম্রাট শাহজাহানের তাজমহল নেই, সেখানে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল আকারের নতুন একটা অন্য রকম ঝকঝকে ‘আধুনিক’ তাজমহল বা মিসরের গির্জা পিরামিডের স্থানে দাঁড়িয়ে আছে আগের চেয়েও চারগুণ বড় বিশাল একটা আর্টিফিশিয়াল চকচকে পিরামিড। এ রকম দুঃস্বপ্ন আমরা দেখতে চাই না। সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আবেদন চলুন আমরা বিষয়টি সামগ্রিকভাবে আবার চিন্তা করি এবং বুঝতে চেষ্টা করি যে আমরা যেভাবে এগুচ্ছি তা ঠিক হচ্ছে না, আমরা যাকে উন্নয়ন বলে বোঝাতে চাচ্ছি, আসলে উন্নয়ন জিনিসটা এমন একরৈখিক পাটিগণিতিক বিষয় নয়, উন্নয়নকে দেখতে হবে একটি জাতির সামগ্রিক ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যের মনস্তাত্ত্বিক মাপকাঠির ধারাবাহিকতায়। ১৯৬৬ সালের দেশ কাঁপানো ছয়দফা আন্দোল, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্ধারক নির্বাচন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি পর্বের অকুতোভয় টালমাটাল রোমাঞ্চকর বিপ্লবী অধ্যায় বা প্রায় দশকব্যাপী নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ শত সহস্র প্রকাশ্য ও গোপন রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ, আড্ডা, জটলা বা গুরুগম্ভীর স্টাডি সার্কেলের পৃথিবীর বদলে দিতে চাওয়া আদর্শবাদীদের দলবদ্ধ মেধাবী ছাত্রদের স্বপ্ন বিভোর সংকল্প ও রংবেরঙের সৃজনশীল সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞের যুগ যুগব্যাপী স্মৃতির ধারক হয়ে আছে এই টিএসসির প্রতিটি সেমিনার কক্ষ, মিলনায়তন, লম্বা লাল করিডোর, গ্রামীণ উঠোনের আদলের প্রাণবন্ত সবুজ চত্বর বা তারুণ্যদীপ্ত গমগমে ক্যাফেটেরিয়া। একে ভুলি কি করে। বুয়েটের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও নানা সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে কত রাত কাটিয়েছি এই টিএসসির প্রশস্থ লাল মসৃণ করিডরে বিশাল বিশাল আলপনা এঁকে। কখনও মনে হয়নি এটা আমার অঙ্গন নয়। গত ছয় দশক ধরে লাখো লাখো ছাত্র-তরুণের রক্তের সঙ্গে মিশে আছে টিএসসির ইট, কাঠ, সিমেন্ট ও বালু। মনে রাখতে হবে আসলে স্মৃতি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তা যেমন মানুষের ক্ষেত্রে সত্যি, একটি শহরের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনই সত্যি। একটা মানুষ যেমন বেঁচে থাকে স্মৃতি ও মেধানির্ভর হয়ে, একটা শহরও বেঁচে থাকে তার সংগ্রাম, সাফল্য, অর্জন ও বিজয়ের ইতিহাসের ধারাবাহিকতার স্মৃতিকে ধারন করে। একটি মানুষের স্মৃতি যেমন বেঁচে থাকে তার মস্তিষ্কে একটি শহরের স্মৃতি বেঁচে থাকে তার স্থাপত্য, স্থাপনা, ভাস্কর্য ও সাংস্কৃতিক জীবনাচরনের অন্তর্নিহিত শক্তি ও সৌন্দর্যের ধারাবাহিকতায় । ডিমেনশিয়া বা আলজেমিয়ার্স রোগে স্মৃতিলুপ্ত একজন স্থপতি যেমন আর স্থপতি থাকে না, একজন প্রকৌশলী যেমন আর প্রকৌশলী থাকে না, একজন ডাক্তার যেমন আর একজন ডাক্তার থাকে না, একজন লেখক যেমন আর লেখক থাকে না, সে পরিণত হয় মেধাহীন, জ্ঞানহীন, কর্মশক্তিহীন একটা প্রায় নির্বোধ প্রাণীতে, তেমনিই একটি শহরের ঐতিহ্যের ধারক স্থাপত্য নিদর্শনসমূহকে যদি একে একে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় তবে একটি শহরও হয়ে পড়ে স্মৃতিলুপ্ত আলজেমিয়ার্স রোগীর মতো অথর্ব একটি নিরেট ও ব্যর্থ শহর। যে শহরের কোন স্মৃতি থাকবে না, কোন ইতিহাস থাকবে না, এই শহর নবপ্রজন্মের কাউকে কোন প্রেরণা দেবে না, পথ দেখাবে না। আমরা নিশ্চই আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য এমন একটি অথর্ব শহর চাই না। এখনও সময় আছে আমদের সচেতন হবার, যদিও এরই মধ্যে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে এদেশের বহুহেরিটেজ স্থাপত্য, বিশেষ করে আমাদের পুরনো জেলা ও মহাকুমা শহরে উন্নয়নের নামে অনেক হেরিটেজ ভবনই গুঁড়িয়ে দিয়ে সেখানে তথাকথিত আধুনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তবে বর্তমান এই ভয়াবহ ঐতিহ্যঘাতী পরিস্থিতির জন্য দেশের রাজনৈতিক নীতি-নির্ধারকদের আমি ততটা দায়ী করতে চাই না, যতটা দায় দিতে চাই আমাদের প্রকৌশলী, প্ল্যানার, স্থপতিসহ অন্যান্য সরকারী-বেসরকারী কারিগরি পেশাজীবীদের। কেননা প্রায় ২০ কোটি জনসংখ্যার এই দেশে সরকারী নেতৃবৃন্দরা সবসময়ই ব্যস্ত থাকেন অতি জরুরী নানা জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ও নানান ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা সামাল দিতে। আমাদের পেশাজীবীদের (বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকারী পদধারী) পেশাগত মতামত বা ব্রিফের ওপর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা কারিগরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। তাই সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের মধ্যে ঐতিহ্য, ইতিহাস, সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সংবেদনশীল মানসিকতা গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন। আমাদের সকল কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কারিকুলামেও এর অন্তর্ভুক্তি একান্ত জরুরী। জাতি হিসেবে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে জগতের সামনে সসম্মানে মাথা তুলে দাঁড়াতে চাই আমরা। শুনেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ নামে আখ্যায়িত করা হয়। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি উদাহরণ দিয়েই লেখাটি শেষ করতে চাই। আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে প্রাচীন ভবনটি হচ্ছে ডিউক হামফ্রে লাইব্রেরি বিল্ডিং, যা প্রায় ৬০০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল এবং এ ভবনটিকে তারা আজও না ভেঙে সুন্দরভাবে ব্যবহার করে করে যাচ্ছে আর অন্যদিকে আমরা মাত্র ১০০ বছরের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ৬০ বছর আগে নির্মিত লাখো ছাত্রছাত্রীর স্মৃতিসিক্ত ইতিহাসের সাক্ষী টিএসসি ভবনের মতো অনিন্দ্য সুন্দর এই সৃষ্টিকর্মটিকে এখনই ভেঙে ফেলতে চাচ্ছি। সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে অনুরোধ করছি, আসুন আমরা সবাই টিএসসি বা কমলাপুর রেলস্টেশনের মতো অতি মূল্যবান স্থাপত্য নিদর্শনসমূহ ভেঙে ফেলার এই আত্মঘাতী পরিকল্পনাগুলোকে নিয়ে আবার সামগ্রিকভাবে দ্বিতীয়বার চিন্তা করি। আশা করি সবশেষে শুভবুদ্ধি অবশ্যই অচেতন বিভ্রান্তির উপরে স্থান পাবে।
×