ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দৌলতপুরে অবৈধ ইটভাঁটিতে রাতে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ

প্রকাশিত: ১৩:১৬, ১৪ জানুয়ারি ২০২১

দৌলতপুরে অবৈধ ইটভাঁটিতে রাতে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অবৈধ ইটভাঁটি গুলোতে রাতে চলছে জ্বালানী হিসেবে কাঠ পোড়ানোর মহা উৎসব। সরকারী ভাঁটি স্থাপন নিয়ন্ত্রন আইন না মেনে উপজেলার ২৬টি ইটভাঁটিতে প্রতিদিন দেদারসে পোড়ানো হচ্ছে কয়লার পরিবর্তে জ্বালানী কাঠ বা কাঠের গুড়ি। এরফলে উজাড় হচ্ছে সবুজ বৃক্ষ। উপজেলার বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকাধীন বনাঞ্চল থেকে গাছ কিনে এসব অসাধু ভাঁটি মালিকরা জ্বালানী হিসেবে কাঠের ব্যবহার করছে। আর এসব ইটভাঁটি গুলো থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় দূষিত হয়ে বিপর্যস্থ হচ্ছে চারপাশের পরিবেশ। এতে একদিকে যেমন উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল অপরদিকে পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়ছে হুমকির মুখে। দৌলতপুর উপজেলার হাসপাতাল রোডের সরকারী শেখ ফজিলাতুনেছা মুজিব মহিলা কলেজ সংলগ্ন স্থানে গড়ে ওঠা ৪টি ইটভাঁটি সহ জয়রামপুর, ডাংমড়কা, মানিকদিয়াড়, সাদীপুর, রিফায়েতপুর, চকদৌলতপুর, সোনাইকান্দি, ঝাউদিয়া, সংগ্রামপুর, বড়গাংদিয়া, বোয়ালিয়া, স্বরুপপুর ও প্রাগপুর এলাকার সব ইটভাঁটি গুলোতে হাজার হাজার মন গাছের গুড়ির স্তুপ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয় উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় ছোট-বড় ৯টি ইটভাঁটি রয়েছে। এসব ইটভাঁটিতেও কয়লার পরিবর্তে পুড়ানো হচ্ছে বনাঞ্চলের সবুজ বৃক্ষ। তবে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বেশ কয়েকটি ইটভাঁটিতে অভিযান চালিয়ে জ্বালানী কাঠ পোড়ানোর দায়ে অর্থদন্ড ও ভাঁটি মালিকদের সতর্ক করলেও ইটভাঁটি মালিকরা তা না মেনে অবাঁধ পূর্বের ধারাবাহিকতায় কাঠ পুড়িয়ে যাচ্ছে। তাই বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে প্রশাসনের নজরে নেওয়া প্রয়োজন বলে ভূক্তভোগীদের দাবি। একই সাথে পরিবেশ ও আবাদী জমি রক্ষায় এসব অবৈধ ইটভাঁটি বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী বলে সচেতন মহলের দাবি।
×