ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফেব্রুয়ারিতে উন্নয়নশীল দেশের স্তরে পৌঁছবে বাংলাদেশ ॥ অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:৩৯, ১৪ জানুয়ারি ২০২১

ফেব্রুয়ারিতে উন্নয়নশীল দেশের স্তরে পৌঁছবে বাংলাদেশ ॥ অর্থমন্ত্রী

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের স্তরে পৌঁছে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী এবার জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির দ্বিতীয় বৈঠকে উত্তরণ ঘটাতে পারব। বুধবার বিকেলে অনলাইনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারী ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। খবর বাংলানিউজের। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করে আছি এলডিসি থেকে বেরিয়ে আসব এবং গ্র্যাজুয়েশন করব, উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাব। সেটি করার জন্য কিছু ক্রাইটেরিয়া আছে, সেটি জাতিসংঘ দেখে। এজন্য প্রত্যেক দেশকে যদি ইচ্ছা পোষণ করে যে তারা গ্র্যাজুয়েশন চায়, তারা এলডিসি থেকে বেরিয়ে আসতে চায় তাহলে তাদের জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসিকে জানাতে হয়। এরা ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় বসে এবং এটি তাদের পরামর্শ অনুযায়ী একটি দেশকে আপগ্রেড করা হয়, নিম্ন স্তর থেকে উচ্চ স্তরে নিয়ে আসা হয়। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২০১৮ সালে এই কমিটি পর্যালোচনা সভা করেছিল। সেই সভায় এই কমিটিকে খুশি করতে কমিটির যে চাহিদা সেটি আমরা পূরণ করেছিলাম। তিনটি চাহিদা সেখানে আছে। দেশের ইকোনমিক ভারনারেবল ইনডেক্স, হিউম্যান এ্যাসেট ইনডেক্স এবং পার ক্যাপিটা ইনকাম। তিনটি বিষয় দেখে একটি দেশকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। তবে এটি একটি সভায় করা হয় না, এই কমিটি পরবর্তী সভায় যখন আবার বসবে প্রথম সভায় যারা ক্রাইটেরিয়াগুলো মিট করতে পারে এবং দ্বিতীয় সভায় যারা ক্রাইটেরিয়া মিট করতে পারে তাদেরই গ্র্যাজুয়েশনের জন্য সিলেক্ট করা হয়। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে এই কমিটি যখন বসেছিল, সে সময় আমরা আবেদন করেছিলাম এবং সেখানে এ্যাসেসমেন্ট যে তিনটি ক্রাইটেরিয়া আছে, ইকোনমিক ভারনারেবল ইনডেক্স, হিউম্যান এ্যাসেট ইনডেক্স এবং পার ক্যাপিটা ইনকাম যেটা মিনিমাম থাকে তার চেয়ে বেশি আমাদের, সেটা পূরণ করেছিলাম। যেহেতু এটা প্রথম এ্যাসেসমেন্ট ছিল আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে দ্বিতীয় এ্যাসেসমেন্ট সভার জন্য। দ্বিতীয় এ্যাসেসমেন্ট সভাটি আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে হবে, সেই সময় আমরা আশা করি এলডিসি থেকে বেরিয়ে আসব এবং পরবর্তী যে স্তর (উন্নয়নশীল) সে স্তরে পৌঁছে যাব। অর্থমন্ত্রী বলেন, ইকোনমিক ভারনারেবিলিটি ইনডেক্সের জন্য একটি দেশকে কমপক্ষে ৩২ পয়েন্ট অর্জন করতে হয়। আমরা সেখানে ২৭ পয়েন্ট অর্জন করেছি, কম আছে আমাদের। হিউম্যান এ্যাসেট ইনডেক্সে একটি দেশের ৬৬ পয়েন্ট থাকতে হবে। আমাদের আছে ৬৫, আমরা এখানেও বেশি আছি এবং পার ক্যাপিটা ইনকাম একটি দেশের এ্যাট্রাক্ট ম্যাথোডে করা হয় এবং সেই ম্যাথোডে গ্র্যাজুয়েশনের জন্য দরকার ১ হাজার ২১০ ডলার, আমাদের আছে ১ হাজার ৬৪০ ডলার। মুস্তফা কামাল বলেন, তিনটি ক্রাইটেরিয়া আমরা পূরণ করেছি। আমরা আশাবাদী এবার দ্বিতীয় বৈঠকে আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারব, নিচু স্তর থেকে উচ্চ স্তরে যাওয়ার জন্য। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশাবাদী এটি অর্জন করতে পারব। এই সময়টি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি। এই সময় যদি আমরা অর্জনটি করতে পারি, তাহলে সেটা হবে সবচেয়ে বড় একটি সফলতা।
×