ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আরও ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হবে ॥ কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ২৩ নভেম্বর ২০২০

আরও ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হবে ॥ কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী বোরো মৌসুমে আবাদি জমি বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। খাদ্য নিরাপত্তায় সরবরাহ ঠিক রাখতে গত বোরো মৌসুমের চেয়ে প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমি বাড়ানো হবে আগামী মৌসুমে। ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাকও জানিয়েছেন আগামী মৌসুমে বোরো ধানের আবাদ ৫০ হাজার হেক্টর বাড়ানোর কথা। রবিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় বোরো মৌসুমের আবাদ বৃদ্ধির কথা জানান কৃষিমন্ত্রী। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বন্যাসহ নানা কারণে এ বছর আমনের উৎপাদন ভাল না হওয়ায় ধানের দাম খুব বেশি। যেটি নিয়ে খুব চিন্তার মধ্যে রয়েছি। সেজন্য, যে কোন মূল্যে আমাদের আগামী মৌসুমে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়াতে হবে। বোরোর চাষযোগ্য কোন জমি যাতে খালি না থাকে সে বিষয়ে কৃষককে উৎসাহ দিতে হবে। বোরোর উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে মাঠ থেকে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত সকল কর্মকর্তাকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এজন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করে কৃষকের পাশে থাকার কথা বলেছেন কৃষিমন্ত্রী। এডিপি সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম। সভায় মন্ত্রী বলেন, এ বছর ধানের ভাল দাম পাওয়ায় চাষী-কৃষক খুশি ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় আছে। অন্যদিকে, আমরা কৃষকদের যে বোরো ধানের উন্নত বীজ সরবরাহ করছি, সার, সেচসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ এবং বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় যে প্রণোদনা দিচ্ছি তা সুষ্ঠুভাবে বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই এ লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, শুধু বোরো ধান নয়, সামনে রবি মৌসুমে যেসব ফসল আছে, যেমন: পেঁয়াজ, গম, আলু, ভুট্টা, সরিষা, শাকসবজি, মাসকলাইসহ সকল ফসলের উৎপাদন বাড়াতে এখনই কাজ করতে হবে। দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিসহ সারাদেশে ভুট্টা চাষের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। কাজেই, এ সকল ফসল অত্যন্ত সফলভাবে উৎপাদনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি এখনই নিতে হবে। কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে অভূতপূর্ব সাফল্য আজ সারাবিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে-উৎপাদন বাড়িয়ে সে ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এদিকে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আসাদুল্লাহ জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা বোরো নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এ বছর গতবছরের চেয়ে প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর আবাদ বাড়বে। আমরা উফশী জাতের চেয়ে হাইব্রিড জাতের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি। কেননা হাইব্রিডে ফলন বেশি। হাইব্রিড উফশীর চেয়ে ১ টন বেশি ফলন আসে। মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এডিপি সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৬৮টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ২ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। অক্টোবর ২০২০ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ১৬.৩০%। যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি প্রায় ১৩%। এ সময়, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল,অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মোঃ মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, অতিরিক্ত সচিব (নিরীক্ষা) মোঃ আব্দুল কাদের এবং সংস্থা প্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
×