ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাটকল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ শুরু আজ

প্রকাশিত: ২০:২৯, ১৯ অক্টোবর ২০২০

পাটকল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ শুরু আজ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত ৭টি পাটকলের অবসরপ্রাপ্ত, অবসানকৃত (গোল্ডেন হ্যান্ডশেক) ও বদলি শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে। বেলা ১১টায় খালিশপুরে প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিলের অফিসার্স ক্লাবে প্লাটিনাম জুট মিলস শ্রমিকদের চূড়ান্ত পাওনার চেক এবং সঞ্চয়পত্র আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, এমপি। বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জোনের রাষ্ট্রায়ত্ত ৭টি পাটকলের অবসরপ্রাপ্ত, অবসানকৃত ও বদলি শ্রমিকদের ৭ ধরনের মোট এক হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এর মধ্যে অবসানকৃত ১০ হাজার ৩৬৪ শ্রমিককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে ১ হাজার ১৬২ কোটি ৩১ লাখ টাকা, অবসরপ্রাপ্ত ৪ হাজার ৬৮০ শ্রমিকের ৩৭২ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং বদলি ২১ হাজার ৩৫১ শ্রমিকের ১১৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। এছাড়া বকেয়া মজুরির ২৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা শ্রমিকদের পাওনা রয়েছে। সূত্র জানায়, সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাটকল শ্রমিকদের প্রভিডেন্ড ফান্ড (পিএফ), গ্র্যাচুইটি, গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধাসহ সমুদয় পাওনা দুইভাবে দেয়া হবে। পাওনার ৫০ শতাংশ শ্রমিকদের নিজ নিজ ব্যাংক হিসাবে এবং বাকি ৫০ শতাংশ সঞ্চয়পত্র আকারে পরিশোধ করা হবে। এরই মধ্যে শ্রমিকদের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নম্বর বিজেএমসির হাতে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আজ সোমাবার খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিলস শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে সকল মিলের শ্রমিকদের পাওনা প্রদান করা হবে। বিজেএমসি খুলনা অঞ্চলের সমন্বয়কারী ও প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিলের প্রকল্প প্রধান মোঃ গোলাম রব্বানী জানান, অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী প্রাথমিক হিসেবে খুলনা জোনের শ্রমিকদের পাওনা ১ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা নির্ভুলভাবে পরিশোধ করা হবে। উল্লেখ্য, লোকসানের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর ২৪ হাজার ৮৮৬ স্থায়ী শ্রমিককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের (স্বেচ্ছা অবসরে) মাধ্যমে অবসরে পাঠিয়ে ১ জুলাই থেকে বিজেএমসির ২৫টি পাটকল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ এবং শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ নিয়ে সভার পর গত ২ জুলাই বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়- বন্ধ ঘোষণা করা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের প্রতি শ্রমিক গড়ে ১৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫৪ লাখ টাকা পর্যন্ত পাবেন। সরকার তাদের পাওনার অর্ধেক নগদে পরিশোধ করবে ও বাকি অর্ধেক টাকার সঞ্চয়পত্র দেবে। পাটপণ্যের উৎপাদন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও পুনর্বিন্যাস করে বিজেএমসির বন্ধ মিলগুলো জরুরী ভিত্তিতে ফের চালু করা হবে। এজন্য মিলগুলোকে সরকারী নিয়ন্ত্রণে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি), যৌথ উদ্যোগ জিটুজি বা লিজ মডেলে পরিচালনার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব আবার উৎপাদনে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে সূত্র জানায়।
×