ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় শেফালী বেগমের দুই পা গুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ১৮ অক্টোবর ২০২০

কলাপাড়ায় শেফালী বেগমের দুই পা গুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নৃশংস নির্যাতন করে স্বামী পরিত্যক্তা শেফালী বেগমের (৫০) দুই পা গুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভা মানববন্ধন করেছেন শত শত গ্রামবাসী। শনিবার দুপুরে কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের মোস্তফাপুর বাজারে এ মানববন্ধন সমাবেশ হয়েছে। সভায় শেফালী বেগমের বোন নুর জাহান বেগম, নারী নেত্রী লাইলি বেগম, ইউপি সদস্য মাহিনুর বেগম, আলমগীর হোসেন বক্তব্য রাখেন। গত ৮ অক্টোবর শেফালী বেগমকে ঘরের সামনে আটকে বেধড়ক নির্যাতন করে দুই পা গুড়িয়ে দেয়া হয়। চাকু দিয়ে ভাঙ্গা পায়ে খুচিয়ে খুচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়া হয়। মুখে গামছা গুজে দিয়ে চুলের মুঠি ধরে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর ও নির্যাতন করা হয়। শেফালী বেগম বর্তমানে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সজনরা জানান, অর্থাভাবে যথাযথ চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। এদিকে ঘটনার আটদিন পেরিয়ে গেলেও হামলাকারী গ্রেফতার না হওয়ায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী। শেফালী বেগমের বোন নুর জাহান বেগম ও নারী নেত্রী লাইলী বেগম জানান, এর আগেও শেফালী বেগমকে একাধিকবার নির্যাতন করা হয়েছ। ডোবার পানিতে চুবানো হয়েছে। ইউপি সদস্য মাহিনুর বেগম ও আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনার আটদিন পরও আর্থিক সঙ্কটে শেফালী বেগমের উন্নত চিকিৎসা শুরু করা যায়নি। পায়ের ক্ষত নিয়ে সে এখন বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যন্ত্রনায় ছটফট করছে। অথচ হামলাকারীরা এ মামলা থেকে বাঁচতে উল্টো শেফালী বেগমের স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। শেফালী বেগম প্রায় ত্রিশ বছর ঢাকায় ইটভাঙ্গা কাজ করেছেন। করোনা মহামারিতে কর্মহীন হয়ে সাত মাস আগে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিতে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘর তুলে এক ছেলে ও ছেলে বউ নিয়ে বসবাস করছিলেন। ঘর তুললেও শেফালীর ২১ শতক জমি দখল করে রাখে ভাই মগরব আলী ফকির। এমনকি বাড়িতে আসা যাওয়ার রাস্তাও আটকে দেয়। এ কারণে গোটা বর্ষায় ধান ক্ষেত দিয়ে হাঁটু পানি পেরিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। এ নিয়ে সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ হয়। কলাপাড়া থানার ওসি খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মামলার কতেক আসামি আদাালত থেকে জামিন নিয়েছে। বাকিরা পলাতক রয়েছে।
×