ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে নতুন আইন প্রণয়নের দাবি

প্রকাশিত: ১৭:৫৫, ১৮ অক্টোবর ২০২০

ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে নতুন আইন প্রণয়নের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি রোধ ও অসাধু সিন্ডিকেট বন্ধে নতুন আইন প্রণয়নসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন রাজশাহীর তরুণেরা। রবিবার দুপুরে এ দাবিতে রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বাণিজ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী বরাবর পৃথক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় রাজশাহীর সহকারি কমিশনার (গোপনীয়) সুমন চৌধুরী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। রাজশাহীর তরুণ সংগঠন ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস ও স্বপ্নচারী উন্নয়ন সংগঠন যৌথভাবে এসব কর্মসূচির আয়োজন করে। এর আগে বেলা ১১টায় রাজশাহী মহানগরীর সোনাদীঘি মোড়স্থ মনি চত্বরে (মাস্টাপাড়া কাঁচা বাজারের সামনে) এই দাবিতে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদী সমাবেশ করেন তারা। ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস সভাপতি শামীউল আলীম শাওন, স্বপ্নচারী উন্নয়ন সংগঠন সভাপতি রুবেল হোসেন ও ইচ্ছা থেকে শুরু সভাপতি সাবরিনা শারমীন হক যৌথ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ছয় দফা দাবিগুলো হলো, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এবং নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ কে সংস্কার করে যুগোপযোগী ও আধুনিক করে তুলতে হবে; নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি রোধের বিষয় সংস্লিষ্ট ধারা বিদ্যমান আইনে সংযোজন করতে হবে অথবা সংস্লিষ্ট বিষয়ে নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে একই সাথে আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ী এবং তথাকথিত সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি অসাধু সিন্ডিকেট বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম সহনীয় ও প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে। ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস কোষাধ্যক্ষ আতিকুর রহমান আতিকের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস সভাপতি শামীউল আলীম শাওন। এতে বক্তব্য রাখেন, স্বপ্নচারী উন্নয়ন সংগঠন সভাপতি রুবেল হোসেন ও ইচ্ছা থেকে শুরু সভাপতি সাবরিনা শারমীন হক, নারী উন্নয়ন কর্মী তহুরা খাতুন লিলি প্রমূখ। বক্তারা বলেন, ‘চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আলু ও কাঁচা মরিচসহ সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। এতে করে নি¤œমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। আর খেটে খাওয়া দিনমজুর বা প্রান্তিক মানুষগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
×