ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নতুন জলাধার সৃষ্টি ও বিদ্যমানগুলোর ধারণক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ১৬:০৬, ১ অক্টোবর ২০২০

নতুন জলাধার সৃষ্টি ও বিদ্যমানগুলোর ধারণক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

অনলাইন রিপোর্টার ॥ জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় নতুন জলাধার সৃষ্টি এবং বিদ্যমান জলাধারগুলোর পানি ধারণক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কয়েকটি উন্নয়নকাজ উদ্বোধনকালে এ তাগিদ দেন তিনি। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে প্রধানমন্ত্রী পানি ভবন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, বিমানবন্দরের ভেতরে বঙ্গবন্ধু কর্নার, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের নবনির্মিত প্রধান কার্যালয় পর্যটন ভবন এবং সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশে যত খাল, বিল, হাওর, পুকুর, নদী যা আছে সবগুলোর যাতে নাব্য থাকে, সেগুলো খনন করা, সেখানে পানি ধারণক্ষমতা বাড়ানো, এসব করতে হবে। তাতে দুটি কাজ হবে। একটা হচ্ছে আমাদের জীববৈচিত্র্য রক্ষা হবে, মৎস্য উৎপাদন বাড়বে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা হবে। তাতে মানুষের চহিদাটাও আমরা পূরণ করতে পারবো। জলাধার বাড়ানোর পাশাপাশি মানুষের পানির চাহিদা মেটাতে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে পানির জন্য এক সময় হাহাকার ছিল সেই হাহাকারটা যেন বন্ধ হয়। আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষকে সুপেয় পানি দিতে হবে। ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিবর্তে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার নিশ্চিতে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করতে হবে। আমাদের সেচের পানি বা ব্যবহারের পানি যেন ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিবর্তে ভূ-উপরিস্থ পানির উৎস থেকে আসে সেদিকে যাতে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দেই। এ সংক্রান্ত গবেষণায় গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গবেষণা ছাড়া কোনও কাজেই উৎকর্ষ সম্ভব না।’ দেশের প্রতিটি নদী ড্রেজিং করার পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানোর পাশাপাশি নৌপথগুলো ড্রেজিং করে চালু করতে সরকারের নেওয়া উদ্যোগের কথা এ সময় উল্লেখ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রমুখ। পানি ভবন মিলনায়তন প্রান্তে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, উপমন্ত্রী একেএম এনামূল হক শামীম, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার এবং সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো.মাহবুব আলী, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো.মহিবুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×