ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ ॥ সাইফুরের পর অর্জুন গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৪:১৩, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ ॥ সাইফুরের পর অর্জুন গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক ॥ এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার সাইফুরের পর অন্য আর এক আসামি অর্জুন লস্করকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ রবিবার ভোর ৫টার দিকে হবিগঞ্জের মাধবপুরের মনতলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অর্জুন ওই মামলার ৪ নম্বর আসামি। এর আগে এ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে ছাতক থানা পুলিশ খেয়াঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। অর্জুন লস্কর সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে। পুলিশ সূত্র জানায়, ধর্ষণের ঘটনার পর অর্জুন পালিয়ে হবিগঞ্জের মাধবপুরে আশ্রয় নেয়। সেখানে মনতলা এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছিল। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্জুনের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটক রেখে নারীকে ছাত্রলীগের ৬ জন নেতাকর্মী গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই দম্পতিকে ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তী সময়ে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ সুরমার নবদম্পতি শুক্রবার বিকেলে প্রাইভেটকারে এমসি কলেজে বেড়াতে যান। বিকেলে এমসি কলেজের ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মী স্বামী-স্ত্রীকে ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে প্রথমে মারধর করেন। পরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেন। ছাত্রলীগ নেতাদের প্রত্যেকেই ছাত্রাবাসে থাকেন। তারা টিলাগড় কেন্দ্রীক আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার গ্রুপের অনুসারী। এ ঘটনায় শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করে নগরের শাহপরান থানায় মামলা (২১(৯)২০২০) করেন ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী। আসামিরা হলো- সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)। এছাড়া সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও রামদা, চাকু ও জিআই পাইপসহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন শাহপরান থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মিল্টন সরকার। সাইফুর রহমানকে আসামি করে এ মামলা করা হয়।
×