ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নদী ভাঙ্গন রোধে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে ॥ পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৭:১৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

নদী ভাঙ্গন রোধে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে ॥ পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর ॥ লক্ষ্মীপুরে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেছেন, নদী ভাঙ্গন রোধে শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে। নদী ভাঙ্গা মানুষের দুঃখ স্বচক্ষে না দেখলে তা ঢাকা বসে বুঝা যায়না। শুক্রবার দুপুরে রামগতি উপজেলা ও কমলনগর উপজেলার মেঘনার ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন শেষে কমলনগর উপজেলার লুধুয়া ঘাট এলাকা এক জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেছেন। তিনি প্ল্যানিং মিনিস্ট্রির লোকদের সরে জমিনে এসে নদী ভাঙ্গা মানুষের দুঃখ দেখার আহবান জানান। তিনি প্রথমে কমলনগরের লুধুয়াঘাট এলাকা এবং পরে মেঘনার তীব্র ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন শেষে স্থানীয় লুধুয়া ঘাট এলাকা এক জনসমাবেশে ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকরি ব্যবস্থা নেবেন বলে স্থানীয় উপকূলীয় জনগনকে আশ^স্থ করেন। পরে তিনি রামগতি উপজেলা নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন। কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন মাস্টারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান। মন্ত্রীর সাথে অন্যান্যদের মধ্যে পানি সম্পদ বিভাগের মহাপরিচালক আমিনুল হক, পানি সম্পদ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার ড. কামরুজ্জামান, কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবারক হোসেন, জেলা পানি সম্পদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ, কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউদ্দিন বাপ্পীসহ স্থানীয় প্রমুখ। প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল জাহিদ ফারুক আরো বলেন, বিষয়টি প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টিতে রয়েছে। এ ব্যাপারে তিন হাজার দু’শ কোটি টাকার ডিপিপি প্ল্যানিং মিনিষ্ট্রীতে রয়েছে। এটি দ্রুত পাশ করা হলে যত শীঘ্রই নদী ভাঙ্গা মানুষের দুঃখ লাঘবে কাজ শুরু করা হবে আগামী বর্ষার শুরুর আগেই। উল্লেখ্য, দৈনিক জনকন্ঠে ধারাবাহিক বেশ কয়’টি সংবাদ পরিবেশনে স্থানীয় ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কর্তা ব্যক্তিদের টনক নড়ে। এরই অংশ হিসেবে প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মেঘনার ভাঙ্গন তথা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন। সম্প্রতি মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গনে নতুন করে সদর উপজেলা বুড়িরঘাট ও কমলনগরের চরকালকিনি এবং রামগতি উপজেলার উত্তর পশ্চিম আলেকজান্ডারে দু’কি.মি বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ২৬ হাজার হেক্টরের আউশ, রোপা আমন ও বীজতলাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বর্তমানে রামগতি থেকে কমলনগর হয়ে সদর উপজেলার বুড়িরঘাট পর্যন্ত ৩১ কি.মি. বেড়িবাঁধ না থাকায় এলাকার মানুষ ভাঙ্গন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। ভয়াবহ ভাঙ্গনের সরকারী, বেসরকারী বিভিন্ন স্থাপনা, ঘরবাড়ী, ফসলি জমি, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
×