ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

লক্ষ্মীপুরে ৬০ কিমি এলাকা প্লাবিত

প্রকাশিত: ১৮:০১, ৭ আগস্ট ২০২০

লক্ষ্মীপুরে ৬০ কিমি এলাকা প্লাবিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর ॥ সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় লক্ষ্মীপুরের রামগতি, কমলনগর, সদর এবং রায়পুর উপজেলার মেঘনা তীরবর্তী অন্তঃত ৬০ কিমি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসময় বহু এলাকা প্রায় ৫-৬ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। জোয়ারে চার উপজেলার অন্তঃত ৩০-৪০টি গ্রামে ফসল, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি এবং মাছের ঘেরের ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। মেঘনা জোয়ারের পানিতে আউশ ধানের মাঠ, আমনের বীজতলা ও রোপা আমন ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেকের পুকুরের মাছ, গবাদি পশু ও বাসস্থান ভেসে যায়। রাগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটন জানান, তার ইউনিয়নের প্রায় আশি শতাংক এলাকা জোয়ারের পানিতে পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকাবাসী সীমাহীন দূর্ভোগে পড়েছেন। বড়খেরী ইউনিয়নও পানির নীচে তলিয়ে গেছে জানান ইউপি চেয়াম্যান মিজানুর রহমান। তলিয়ে গেছে বিচ্চিন্ন দ্বীপাঞ্চল চরগজারিয়া। সদর উপজেলার বুড়িরঘাট এলাকার ইতোমধ্যে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে, অনুরূপভাবে তলিয়ে গেছে বুড়িরঘাট, চরমেঘা, পশ্চিম চররমনী মোহন। এ সব চরাঞ্চলের উড়তি আউস এবং আমনবীজতলা। জানিয়েছেন উত্তরচররমনীমোহন ইউপি চেয়ারম্যান আবু মো. ইউছুফ ছৈয়াল। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রায়পুর উপজেলার চরকাচিয়া, চরকানিবগা, মোল্লারহাট। এ সব চরাঞ্চলের উড়তি আউশ এবং আমনবীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন, কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী। কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছায়েফ উল্লাহ জানান, কয়েক বছরের মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বেঁড়িবাধ মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ সময় এলাকায় মানুষের চরম ভাগ্যে দুর্ভোগ নেমে আসে। উল্লেখ্য, রামগতি উপজেলার পশ্চিম আলেকজান্তার থেকে কমলনগর ও সদর উপজেলার বুড়িরঘাট পর্যন্ত ৩১কি. মি. পর্যন্ত বেঁিড়বাঁধ ইতোপূর্বে মেঘনা গর্ভে চলে গেছে। দূর্যোগ নামলে মানুষ একমাত্র আল্লাহকে ডাকাডাকি ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
×