ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সাবধানতা জরুরী আজিজ আহমেদ

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ সুরক্ষা আপনার হাতেই

প্রকাশিত: ২১:৫৪, ১৬ জুলাই ২০২০

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ সুরক্ষা আপনার হাতেই

বিশ্বকে থমকে দিয়ে, করোনা নামের এক ভাইরাস এ বছরের শুরুর দিক থেকে এখন অবধি তার তা-ব চালাচ্ছেই। এটা সারাবিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য একটা বড় ধরনের চিন্তার বিষয়। কারণ ভাইরাসটি যখন প্রথম চীনের উহান প্রদেশে দেখা দিল তখন থেকেই চীনসহ সারাবিশ্বের যত উন্নত চিকিৎসক তথা গবেষণাকেন্দ্র রয়েছে সেখানে এই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বা ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু অনেক সময় চলে যাওয়ার পরেও এর যথাযথ চিকিৎসা বের করতে পারেনি চিকিৎসকরা। বিশ্বের নানা প্রান্তে এখনও ভাইরাস সংক্রমণ বেড়েই চলছে। বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে সারাবিশ্বে মৃতের সংখ্যা পাঁচলাখ ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়াও প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে ব্যাপক মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা কোটি ছাড়িয়ে গেছে, এটা খুবই চিন্তার বিষয়। করোনাভাইরাসের আগ্রাসনের কারণে বিভিন্ন সময় লকডাউন থাকার কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো। কারণ এসব দেশের মধ্যে লকডাউন অত্যধিক সময় হয়ে থাকলে দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক চাকা না ঘুরলে দুর্ভিক্ষ তৈরি হবে। তাই অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোই সুরক্ষা নিশ্চিত করে কলকারখানাসহ অন্যান্য প্রায় সবকিছুই চালু করে দিয়েছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়, কারণ অর্থনীতির চাকা সচল রাখতেই হবে। অবশ্য যদিও এখনও কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়নি। করোনাভাইরাসের কারণে আমরা অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছি। সারা বাংলাদেশে অনেক কর্মজীবী মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে, এটা খুবই দুঃখজনক। তবে যারা কর্মজীবী রয়েছে তাদের নিজের বা পরিবার পরিজনের জন্যই বাইরে বের হতে হচ্ছে কারণ কোন উপায় নেই। তবে আমাদের যথেষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কর্মস্থলে যেতে হবে। নিজের সুরক্ষা নিজের হাতেই। নিজের কর্মস্থলে যদি আমরা সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিয়ে নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করি তাহলে আমরা অনেকটাই নিরাপদ। তবে মাঠে বা বাজারে কাজ করার সময় অবশ্যই অধিক সুরক্ষা নিয়ে কাজ করতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়াও মনের অজান্তেই আমরা আমাদের হাত দিয়ে প্রায় সব সময়ই মুখ, চোখ, নাক, কানে স্পর্শ করে থাকি। এটা অবশ্যই বর্জন করতে হবে। মোটকথা আতঙ্কিত না হয়ে নিজেরা একটু সাবধানতা অবলম্বন করলেই আমরা ভাল থাকব। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। সারাবিশ্বের চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রতিনিয়তই গবেষণা চালাচ্ছে করোনাভাইরাসের সঠিক ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের জন্য, সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ্? তবে কিছুকিছু গবেষক করোনাভাইরাস নিয়ে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য দিচ্ছেন। আশা করি অতিদ্রুত আমরা এই মহামারী করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক পাব। তবে তার আগে পর্যন্ত অবশ্যই নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আসুন নিজেকে ও পরিবারকে সুরক্ষা রাখতে নিজেকেই সুরক্ষিত রাখি। টাঙ্গাইল থেকে
×