ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আসছে ডেল্টা প্ল্যান-২১০০

উন্নত ব-দ্বীপের স্বপ্ন ॥ নদীমাতৃক বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২২:০৮, ৭ জুলাই ২০২০

উন্নত ব-দ্বীপের স্বপ্ন ॥ নদীমাতৃক বাংলাদেশ

এম শাহজাহান ॥ উন্নত দেশের স্বপ্ন নিয়ে আসছে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০। পরিকল্পনার মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে পানিসম্পদ কাজে লাগানো। যুক্ত রয়েছে রূপকল্প-৪১ এর খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্প, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রণীত কাঠামো। দীর্ঘমেয়াদী এই কর্মসূচী দ্রুত বাস্তবায়নে নেদারল্যাল্ডসের ব-দ্বীপ পরিকল্পনাকে মডেল হিসেবে নেয়া হয়েছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৩ লাখ কোটি টাকা ব্যয় করার পরিকল্পনা রয়েছে। ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চেয়ারপার্সন করে সম্প্রতি ‘ডেল্টা গবর্ন্যান্স কাউন্সিল’ গঠন করেছে সরকার। নদীমাতৃক বাংলাদেশ পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ। এই ব-দ্বীপ ঘিরেই সামগ্রিক পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের লক্ষ্যে শত বছরের মহাপরিকল্পনায় করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা। পরিকল্পনার প্রথম ধাপে নদী ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ এবং নদী-সাগর থেকে ভূমি উদ্ধার করে দেশের আয়তন বাড়ানোর মতো তিনটি কর্মসূচী সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন পূরণে রূপকল্প-৪১ বাস্তবায়নে কৃষি খাতের উন্নয়ন ঘটিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত, শিল্প খাতের উন্নয়ন করে সকলের জন্য কর্মসংস্থানের পাশাপাশি রফতানি বাণিজ্যের প্রসার, সকলের জন্য সু-স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য জনস্বাস্থ্য পরিকল্পনা, পরিবেশ উন্নয়ন ও সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ভূ-প্রতিবেশ খাত বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে ডেল্টা প্ল্যান বা ব-দ্বীপ পরিকল্পনায়। জানা গেছে, ডেল্টা প্ল্যানে ২০১৮-৩০ সাল নাগাদ প্রথম পর্যায়ে ছয়টি ‘হটস্পট’ ঠিক করে ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে ৬৫ প্রকল্প ভৌত অবকাঠামো সংক্রান্ত, ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং গবেষণা সংক্রান্ত। বৃহৎ পরিসরে তিনটি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূর করা ও ওই সময়ের মধ্যে দেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়া এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা লাভ। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। এতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশী ডাচ কনসোর্টিয়াম। সমীক্ষা কার্যক্রম ও গবেষণা কাজের জন্য নেদারল্যান্ডস সরকার ইতোমধ্যে ৪৮ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৩৩টি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। কিন্তু এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হবে বলে আশাবাদী জিইডি। জিইডির মতে, ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়িত হলে ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূর হয়ে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে বাংলাদেশ। এছাড়া দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, বাড়বে কর্মসংস্থান। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের আয়তন বাড়বে। এক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা রয়েছে। ডেল্টা পরিকল্পনার মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসের ভূমি বাড়ছে। নেদারল্যান্ডস এ পর্যন্ত ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার নতুন ভূমি পেয়েছে। বাংলাদেশেও নদীবাহিত পলি দিয়ে এমনভাবে ভূমি পেতে পারে। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ২০৩০ সালের মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) বাড়তি ১ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। আগামী ১০০ বছরে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উন্নয়ন পরিকল্পনা এটি। শুধু তাই নয়, ২১০০ সালে বাংলাদেশকে কোন জায়গায় দেখতে চাই তা ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় বলা হয়েছে। পৃথিবীতে এত দীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনা আর কোন দেশ করেনি। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করতে পারলে কৃষিতে আর পিছিয়ে পড়বে না বাংলাদেশ। এজন্য নেদারল্যান্ডসের ব-দ্বীপ পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা করা হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের আয়তন বাড়ছে। দেশটি নতুন ভূমি পেয়েছে। বাংলাদেশেও নদীবাহিত পলি দিয়ে এমনভাবে ভূমি পেতে পারে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অতিবৃষ্টি, বন্যা, খরা, নদী ভাঙ্গন, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতেই এই পরিকল্পনাটি করা হয়েছে। এই পরিকল্পনায় বন্যা, নদীভাঙ্গন, নদীশাসন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদী কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও এটি আগামী ১০০ বছরের পরিকল্পনা, আপাতত ২০৩০ সাল নাগাদ ৮০টি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। বর্তমান বাজার ধরে টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ৩ লাখ কোটি টাকার বেশি। ডেল্টা প্ল্যান কি এবং কেন প্রয়োজন ॥ বাংলাদেশের মতো নেদারল্যান্ডস ও একটি ব-দ্বীপ রাষ্ট্র। বাংলাদেশের মতো তারাও একই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তাই বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস একত্রে ডেল্টা পরিকল্পনায় কাজ করছে। ডেল্টা পরিকল্পনা হলো দীর্ঘমেয়াদী, একক এবং সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা। দীর্ঘমেয়াদী বলতে বোঝায় পরিকল্পনার লক্ষ্য-২১০০। একক হলো দেশের সব পরিকল্পনার আন্তঃযোগাযোগের মাধ্যমে একক ডেল্টা। সমন্বিত বলতে বুঝায় পানি সম্পর্কিত সকল খাতকে একটি পরিকল্পনায় নিয়ে আসা। ডেল্টা পরিকল্পনা, কৌশলসমূহের টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে ডেল্টা ভিশনে পৌঁছতে সাহায্য করবে। ব-দ্বীপ পরিকল্পনার আওতায় ছয়টি অঞ্চলে এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। এগুলো হলো উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওড় ও আকস্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, নদীবিধৌত অঞ্চল ও নগর এলাকা। এ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) পরিকল্পনাটি প্রণয়ন করেছে, যা ডেল্টা প্ল্যান নামে পরিচিত। বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদেরা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা কৌশলগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে। জিইডি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) মাত্র দশমিক ৮ শতাংশ খরচ হয়, যা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে খরচ করা হয়। নতুন মহাপরিকল্পনায় ২০৩০ সাল নাগাদ এই খরচ জিডিপির আড়াই শতাংশে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ২ শতাংশই আসবে সরকারী বিনিয়োগ থেকে। বেসরকারী খাত থেকে বাকি আধা শতাংশ বিনিয়োগ আসবে। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম এ প্রসঙ্গে জনকণ্ঠকে বলেন, সারাদেশের সমস্যা চিহ্নিত করে শতবর্ষী ডেল্টা পরিকল্পনায় ছয়টি হটস্পট নির্ধারণ করে সেখানে ৩৩ ধরনের চ্যালেঞ্জ শনাক্ত করা হয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ ভিশন-২০৪১ এর লক্ষ্য অর্জনে সামগ্রিকভাবে এর সঙ্গে যুক্ত প্রধান উপাদানগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব। এসডিজিসহ আমাদের সব লক্ষ্যমাত্রা ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে পূরণ হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছবে বাংলাদেশ। তখন মাথাপিছু আয় হবে ৪ হাজার ৬২৫ ইউএস ডলার। আবার ২০৪১ সালে গিয়ে মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ১৬ হাজার ইউএস ডলার। ডেল্টা পরিকল্পনা গ্রহণ করলে জিডিপি বাড়বে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। দারিদ্র্য দ্রুত কমে আসবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে। আর তা না হলে দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হতে ২০৪১ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। পাশাপাশি বাড়বে উৎপাদন ব্যবস্থা। তিনি বলেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে জিডিপির দশমিক ৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখতে হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ১৩৩টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায় বাস্তবায়ন হবে ৮০টি প্রকল্প। এতে ব্লু-ইকোনমির ওপর জোর দেয়া হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আমরা বিজ্ঞানভিত্তিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ নবায়ন জ্বালানিতে যেতে চাই। জানা গেছে, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে ২৬টি গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নদী নাব্য ফিরে পাবে। পরিকল্পিতভাবে নদীগুলো নাব্য রাখতে পারলে দেশে আর বন্যা থাকবে না। প্ল্যানে সম্পূর্ণ যমুনা নদীর ম্যাপ করে দেখানো হয়েছে, কোথায় নদীর চ্যানেল হবে তাও চিহ্নিত করা হয়েছে। এলাকাভিত্তিক কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে তাও দেখানো হয়েছে। বর্তমানে ২৫ শতাংশ পানি আসে পদ্মা নদী থেকে। ডেল্টা গবর্ন্যান্স কাউন্সিল গঠন ॥ শত বছরের মহাপরিকল্পনা বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চেয়ারপার্সন করে ‘ডেল্টা গবর্ন্যান্স কাউন্সিল’ গঠন করেছে সরকার। এর আগে বন্যা, নদীভাঙ্গন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদী কৌশল হিসেবে বহু আলোচিত ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। ডেল্টা প্ল্যান নামে বেশি পরিচিত এ মহাপরিকল্পনার অধীনে আপাতত ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি প্রকল্প নেবে সরকার, যাতে ব্যয় হবে প্রায় ২৯৭৮ বিলিয়ন টাকা। ডেল্টা গবর্ন্যান্স কাউন্সিলে কৃষিমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রীকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। এছাড়া এই কাউন্সিলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রী, নৌ পরিবহন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী, পানিসম্পদ মন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীকেও সদস্য করা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্যকে এই কাউন্সিলের সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক ও অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা এবং ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ জরুরী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এখন থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়ন এবং শুরুতেই অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। পরিকল্পনার মাধ্যমে বন্যা, নদীভাঙ্গন, নদীশাসন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামের পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়ন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। আর সেজন্য এখন থেকেই অর্থের উৎস ঠিক করে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সরকার তিন বছর আগে প্রায় ১০০ বছর মেয়াদী এ পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু করে। ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে অর্থায়ন একটি বড় বিষয়। আগে অর্থায়নে জোর দেয়া প্রয়োজন।
×