
ছবি: সংগৃহীত
বিদেশে পড়তে যাওয়ার স্বপ্ন অনেকেরই, কিন্তু ভিসা প্রক্রিয়ার জটিলতা অনেককে পিছিয়ে দেয়। তবে কিছু দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করেছে। আসুন জেনে নিই এমন ৮টি দেশের কথা, যেখানে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ:
১. কানাডা
-
ভিসা প্রক্রিয়া: স্টুডেন্ট ডাইরেক্ট স্ট্রিম (SDS) প্রোগ্রামের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করা যায়
-
বিশেষ সুবিধা: পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম কাজের অনুমতি, পড়া শেষে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ
-
টিউশন ফি: বছরে ১৫,০০০-৩৫,০০০ CAD
২. জার্মানি
-
ভিসা প্রক্রিয়া: বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডমিশন পেলে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ
-
বিশেষ সুবিধা: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি নেই, পড়াশোনা শেষে জব সিকিউরিটি
-
খরচ: মাসিক ৮৫০-১,২০০ EUR (জীবনযাত্রা)
৩. অস্ট্রেলিয়া
-
ভিসা প্রক্রিয়া: ইম্মিএকাউন্ট প্ল্যাটফর্মে অনলাইনে আবেদন
-
বিশেষ সুবিধা: সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের অনুমতি, পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসা
-
টিউশন ফি: বছরে ২০,০০০-৪৫,০০০ AUD
৪. নিউজিল্যান্ড
-
ভিসা প্রক্রিয়া: স্কুল থেকে অফার লেটার পেলে সরাসরি অনলাইনে আবেদন
-
বিশেষ সুবিধা: নিরাপদ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ, পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ
-
টিউশন ফি: বছরে ২২,০০০-৩২,০০০ NZD
৫. আয়ারল্যান্ড
-
ভিসা প্রক্রিয়া: অনলাইনে আবেদন, ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে আপডেট
-
বিশেষ সুবিধা: গ্র্যাজুয়েশন পর ২ বছর কাজের সুযোগ
-
টিউশন ফি: বছরে ১০,০০০-২৫,০০০ EUR
৬. সিঙ্গাপুর
-
ভিসা প্রক্রিয়া: SOLAR সিস্টেমের মাধ্যমে অনলাইন আবেদন
-
বিশেষ সুবিধা: এশিয়ার শীর্ষ শিক্ষা ও টেক হাব, উচ্চ বেতনের চাকরির সুযোগ
-
টিউশন ফি: বছরে ১০,০০০-৩০,০০০ SGD
৭. নেদারল্যান্ডস
-
ভিসা প্রক্রিয়া: বিশ্ববিদ্যালয় নিজেই ভিসার জন্য আবেদন করে
-
বিশেষ সুবিধা: ইংরেজিতে পড়ার সুযোগ, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ
-
টিউশন ফি: বছরে ৬,০০০-১৫,০০০ EUR
৮. নরওয়ে
-
ভিসা প্রক্রিয়া: অনলাইনে সহজ আবেদন প্রক্রিয়া
-
বিশেষ সুবিধা: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি নেই
-
খরচ: মাসিক ১,০০০-১,৫০০ EUR (জীবনযাত্রা)
সাধারণ টিপস:
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট: পাসপোর্ট, অ্যাডমিশন লেটার, ফিন্যান্সিয়াল প্রুফ, ইংরেজি ভাষার সার্টিফিকেট (IELTS/TOEFL)
আবেদনের সময়: কোর্স শুরুর ৩-৬ মাস আগে
সুযোগ-সুবিধা: বেশিরভাগ দেশে পার্টটাইম কাজ, পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক পারমিট
"ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হলেও সঠিক ডকুমেন্টেশন এবং প্রস্তুতি জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং ইমিগ্রেশন অফিসিয়াল সাইট থেকে আপডেটেড তথ্য নিন,"
শুরু করুন আজই:
১. পছন্দের দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করুন
২. ভাষার টেস্ট (IELTS/TOEFL) এবং অন্যান্য যোগ্যতা সম্পন্ন করুন
৩. ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুছিয়ে রাখুন
সূত্র: vanguardngr
সাব্বির