ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

সড়ক এখন কাদার খাল; চরম ভোগান্তিতে মানুষ

আরএম সেলিম শাহী, ঝিনাইগাতী, শেরপুর

প্রকাশিত: ১০:২০, ৪ জুলাই ২০২৫

সড়ক এখন কাদার খাল; চরম ভোগান্তিতে মানুষ

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সারিকালীনগর গ্রামের নামাপাড়া থেকে গজারমারী পর্যন্ত সংযোগ সড়কটির বেহাল অবস্থা চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয়দের জন্য। কিছু অংশে সড়কটি এতটাই কাদাযুক্ত ও ভাঙাচোরা যে, হাঁটতে গেলে হাঁটু পর্যন্ত কাদায় ডুবে যায়। একাধিক স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় শুকনো মৌসুমেও চলাচল করা দুঃসাধ্য।

প্রতিদিন অন্তত ৫০ থেকে ৬০টি পরিবার এই সড়ক ব্যবহার করে। পূর্বে রাস্তাটি দক্ষিণ দাড়িয়ারপাড় হয়ে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। পরবর্তীতে গজারমারী হয়ে বিকল্প রাস্তাটি পাকা হলেও, সেটি গিয়ে পৌছে গেছে সারিকালীনগর চৌরাস্তার তে। ফলে নামাপাড়া এলাকার মানুষের এখনো দুর্ভোগ পিছু ছাড়েনি। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম এলেই পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। অনেক সময় রোগী হাসপাতালে নেওয়াও অসম্ভব হয়ে পড়ে।

এলাকার একজন সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবক কফিল আহমেদ বলেন, “সাধারণ মানুষের চলাচলের এই একটি মাত্র রাস্তাই ভরসা। বছরের পর বছর কাদা ও জলাবদ্ধতার কারণে আমরা অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করছি। এখনই ব্যবস্থা না নিলে আগামীতেও একই দুর্ভোগ চলবে।” স্থানীয় বাসিন্দা কানু মিয়া বলেন, “বৃষ্টি ছাড়া যেমন চলাচল কষ্টকর, তেমনি বৃষ্টি হলে এই রাস্তায় নামাটাও দুঃসাহসিক কাজ। শিশু-কিশোরদের স্কুলে যাওয়া অনেক সময় বন্ধ হয়ে যায়।”

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “রাস্তাটির পরিস্থিতি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি এবং সরেজমিন পরিদর্শনও  করেছি। স্থানীয়দের কষ্ট লাঘবে শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

তবে কিছু মানুষ অভিযোগ করেন, সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন এই সড়ক মেরামতের কাজের দায়িত্ব নিয়েছিলো বটে, কিন্তু রাস্তায় অল্প পরিমাণে মাটি দিয়ে চলে গেছে। এখন আমরা চাইলেও শাহাদৎ চেয়ারম্যান এর দেখা পাই না। এখন এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে কাঁচা রাস্তা পাকা করবে—যাতে করে প্রতিদিনের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

আঁখি

আরো পড়ুন  

×