ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সিরাজগঞ্জে মৃত ছাত্রলীগ নেতা এনামুলের লাশ দাফন

প্রকাশিত: ১৯:১৬, ৬ জুলাই ২০২০

সিরাজগঞ্জে মৃত ছাত্রলীগ নেতা এনামুলের লাশ দাফন

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও কামারখন্দ হাজী কোরপ আলী ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মুজিব আদর্শের লড়াকু সৈনিক তরুণ ছাত্রনেতা এনামুল হক বিজয়ের লাশ সোমবার ভোরে তার গ্রামের বাড়ি চালা শাহবাজপুর গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি চালাশাহবাজপুরে পৌছলে নেতাকর্মীসহ ছাত্র জনতার গগনবিদারী আহজারী শুরু হয়। এক পর্যায়ে ছাত্র জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে এই হত্যাকান্ডের মদত দাতাদেরও খুঁজে বের করে বিচার দাবি করে। নিহত এনামুলের বাবা আব্দুল কাদেরি আবেগাপ্লুত কন্ঠে বলেন, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার ছেলে নৌকার পক্ষে কাজ করছিল। ওই সময় দলের কিছু প্রভাবশালী নেতারা ছেলেকে নৌকার বিপক্ষে যেতে বলেন। আমার ছেলে তা না শোনার কারনেই তৈরী হয় শক্রতা। সেই শক্রতার কারনেই আজ তাকে জীবন দিতে হলো। কামারখন্দে বর্তমানে দলের চেয়ারে যারা বসে আছে, তারা থাকলে আমি ছেলে হত্যার বিচার পাব না। আমি চাই প্রধানমন্ত্রী নিজে এই হত্যাকান্ডের তদন্ত করে বিচারের ব্যবস্থা করুক বলেন, নিহত এনামুলের বাবা। সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে তিনদিন ব্যাপী শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এক ঘন্টার অবস্থান কর্মসূচী পালন এবং আগামীকাল মঙ্গলবার বাদ আসর দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এনামুল হক বিজয় দলীয় কোন্দল ও অপরাজনীতির শিকার বলে দাবি করে তার একাধিক বন্ধু ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েছে। সদ্য প্রয়াত জাতীয় নেতা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের আত্বার মাগফেরাত কামনায় গত ২৬ ফেব্রয়ারী জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে অংশ নেয়ার জন্য কামারখন্দ থেকে সিরাজগঞ্জে আসার পথে স্থানীয় বাজার ষ্টেশন এলাকায় নিজ সংগঠনের প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুরো ৯ দিন তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখার রবিবার সকাল ১১ টায় ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। কামারখন্দ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, রাতে এনামুল হক বিজয়ের লাশ পৌঁছার পর পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। এ কারনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে শতাধিক রিজার্ভ পুলিশ আনতে হয়েছিল। সোমবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। হলেও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও টহল জোরদার করা হয়েছে। এদিকে, এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবী করেছে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা। এরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, প্রচার সম্পাদক শামসুজ্জামান আলো, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী পিয়ার, যুব বিষয়ক সম্পাদক মো: বদরুল আলম, , উপ-প্রচার সম্পাদক নাসিমুর রহমান নাসিম, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মাইনুদ্দিন খান চিনু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম, জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ ইউসুফ জুয়েল, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জিহাদ আল ইসলাম জিহাদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল, সাবেক সভাপতি জাকিরুল ইসলাম লিমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ।
×