ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কোরবানীর পশু নিয়ে শঙ্কায় রাজশাহীর খামারীরা

প্রকাশিত: ১৭:৫৬, ২৬ জুন ২০২০

কোরবানীর পশু নিয়ে শঙ্কায় রাজশাহীর খামারীরা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ সামনে কোরবানীর ঈদ। ঈদের প্রধান অনুসঙ্গ কোরবানীর পশু। এই মৌসুমে দেশী গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশী রাজশাহী অঞ্চলের হাটগুলোতে। তবে করোনাকালে এবার কোরবানীর হাটে ভারতীয় গরু আসছে না। এমন সংবাদের পরেও রাজশাহীর গরুর খামারীদের মনে স্বস্তি নেই। কারণ করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাসের কারণে হাট জমবে কি না তা নিয়ে অনেকটা অস্বস্তিতে পড়েছেন খামারীরা। খামারে পালন করা পশুগুলোর ভালো দাম পাওয়া যাবে কি না তা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে তাদের মনে। রাজশাহী প্রাণীসম্পদ অফিসের তথ্য অনুযায়ি, রাজশাহীতে কোরবানীর পশুর চাহিদা আছে তিন লাখের কিছু বেশি। আর রাজশাহীতে ছোটবড় মিলে ১৭ হাজারের বেশি খামার। এসব খামারে যে গরু আছে তা দিয়ে আসন্ন কোরবানীর চাহিদা পূরণ হবে। পাশপাশি এবারে আসছে না ভারতীয় গরু। এতে খামারীরা আছেন সুবিধাজনক অবস্থায়। তবে, করোনা ভাইরাস খামারীদের কপালে চিন্তার ভাজ ফেলেছে। খামারীরা আশঙ্কা করছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এবারে কোরবানীর হাট জমতে নাও পারে। শুধু তাই না, অনেকেই আর্থিক সংকটের কারণে এবার কোরবানী নাও দিতে পারে। রাজশাহীন পবা উপজেলার বাগধানী এলাকার খামারী উজ্জল জানান, প্রতি বছর তিনি বাড়িতে ২ থেকে ৩টা গরু পালন করেন। এবারেও ৩টি গরু পালন করেছেন। ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা দাম হবে প্রতিটি গরুর। তিনি আরো জানান, দীর্ঘ ৮ মাস ধরে গরুগুলো পালন করতে দেড় লাখ টাকা মতো খরচ হয়েছে। এখন সঠিক দাম না পেলে পরিশ্রম বৃথা যাবে। খামারী উজ্জল জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে তিনি বেশ চিন্তায় আছেন। পশু হাটগুলো জমবে কি না তা নিয়েও শঙ্কা আছে। এছাড়াও অনেকেই এবার আর্থিক সংকটে আছে। সে কারণে বাজারে পশুর চাহিদাও কমতে পারে। বাগমারা এলাকার আরেক খামারী দুলাল জানান, স্থানীয়ভাবে কেনাবেচা শুরু হয় পরে। তবে, দূরের পাইকাররা আগে আসেন। এবারে যে পরিস্থিতি তাতে তারা আশঙ্কায় আছেন যে, দূরের পাইকার ব্যবসায়ীরা খুব বেশি আসবে না। পশু বিক্রি নির্ভর করতে হবে স্থানীয় কোরবানীদাতাদের উপরে। সেই ক্ষেত্রে ভালো দাম পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা আছে। এদিকে, রাজশাহীতে কোরবানী পশুর কেনাবেচা এখনো শুরু হয়নি। তবে আগামী ১০ দিনের মধ্যেই একটু হলেও কেনাবেচা শুরু হবে বলে আশা করছেন খামারীরা। রাজশাহীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট সিটিহাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান কালু বলেন, দেশী গরুর চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত গরু রয়েছে এ অঞ্চলের খামারে। তবে হাটন বসানো নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে অনেক খামারি হাট বিমুখ হবেন। তারপরেও তিনি আশা করছেন পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে হলেও হাট বসানো হয়ে। যদিও এখনও পর্যাপ্ত গরু উঠছে রাঝশাহীর সিটি হাটে।
×