ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরের ডাকাবরে বাঁশের সাঁকোয় মানুষের ঝুঁকিতে পারাপার

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ২৪ জুন ২০২০

শেরপুরের ডাকাবরে বাঁশের সাঁকোয় মানুষের ঝুঁকিতে পারাপার

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ কর্তৃপক্ষের চরম উদাসিনতায় শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী ডাকাবর এলাকায় মহারশি নদীর উপর স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৯ বছর পরও নির্মাণ করা হয়নি একটি ব্রিজ। ফলে নলকুড়া ইউনিয়নের মরিয়মনগর-ডাকাবর রাস্তায় চলাচলকারী হাজারও মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। অগত্যা স্থানীয় উদ্যোগে সেখানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হলেও বর্ষা মৌসুমে চরম ঝুঁকি নিয়ে ওই পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে শিশু-কিশোরসহ অনেককেই। জানা যায়, ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের মরিয়মনগর-ডাকাবর রাস্তার মাঝপথে মহারশি নদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি ওঠে দেশ স্বাধীনের পর থেকেই। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে থেকে বিভিন্ন সময় ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাসও পাওয়া যায়। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ওই পথে উপজেলার নলকুড়া, কুশাইকুড়া, ভারুয়া, ফাকরাবাদ, ধোপাকুড়া, ভারুগাঁও, মানিককুড়া, গজারীকুড়া, গজারীপাড়া হলদিগ্রাম, জারুলতলা, বাঐবাধা, বারোয়ামারী, ডাকাবর, রামেরকুড়া, শালচুড়াসহ প্রায় ২০ গ্রামের অধিবাসীরা যাতায়াত করে থাকে। ওই রাস্তার উভয় পাশে ২টি মহাবিদ্যালয়, ৪টি উচ্চ বিদ্যালয়, ২টি দাখিল মাদ্রাসা, ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি দপ্তর থাকায় প্রতিদিন কোমলমতি শিশু কিশোর থেকে শুরু করে যাতায়াতকারী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শতশত মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সমস্যা প্রসঙ্গে এলাকার অধিবাসী ঝিনাইগাতী মহিলা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান ও মরিয়মনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জন আরেং জানান, একদিকে রাস্তাটি সংস্কার, সম্প্রসারণ ও পাকাকরণের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে ব্রিজ না থাকায় বর্ষা মৌসুমে নৌকা ও শুষ্ক মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোতে পারাপার হতে হয় পথচারীদের। উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও গবাদিপশু নিয়ে নানান বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় কৃষকদের। বিকল্প পথে প্রায় ৩/৪ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যাতায়াত করতে হয় স্কুল, কলেজ, হাট-বাজারসহ অফিস-আদালতে। আর নলকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সা জানান, ওই নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্যে উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় বিভিন্ন সময় আলোচনাও হয়েছে। আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন, ডিপিপিতে অর্ন্তভূক্ত করেই ব্রিজটি নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলেই ব্রিজটি নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
×