ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফুটবলে দিন বদলের আশায় রানা ও স্বপ্না

প্রকাশিত: ০০:৫৯, ২৪ জুন ২০২০

ফুটবলে দিন বদলের আশায় রানা ও স্বপ্না

ফুটবল মাঠে ফেরার অপেক্ষায়। তার আগে জাতীয় দল নিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন দুই হেড কোচ। একজন পুরুষ দলের, জেমি ডে। অন্যজন মহিলা দলের, গোলাম রব্বানী ছোটন। নিজেদের ফিট রাখতে চেষ্টার কমতি নেই নারী-পুরুষ ফুটবলারদের। অজানা শঙ্কাটা কাটতে শুরু করেছে দেশের ফুটবলে ঘরোয়া লিগ এক বছরের জন্য নির্বাসনে গেলেও কঠিন সময়টা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মাঠে ফেরার অপেক্ষায় লাল-সবুজের যোদ্ধারা। পক্ষান্তরে সেপ্টেম্বরে ঘরোয় মহিলা লিগ চালুর আভাস দিয়েছে বাফুফে। এছাড়া সবকিছু ঠিক থাকলে অক্টোবরে মেয়েদের সাফ অনুর্ধ-১৫ ও অনুর্ধ-১৮ ফুটবলে অংশ নেবে বাংলার বাঘিনীরা। বছরজুড়ে ক্লাব কিংবা জাতীয় দলে ব্যস্ত থাকা ফুটবলারদের ফুরসত কোথায় এমন বিলাসী জীবনের? তিন মাসেরও বেশি সময় পরিবারের সঙ্গে অখÐ অবসর তাদের। কিন্তু থেমে নেই নিজের সঙ্গে নিজের লড়াই, ফিট রাখার প্রাণান্ত চেষ্টা। কখনও বালুচরে, কখনও বাড়ির ছাদে বিরতিহীন অনুশীলন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত খোঁজ রেখেছেন কোচ জেমি-ছোটন। ব্যক্তিগত ট্রেনিং সেশনগুলো ফুটবলারদের ফিট রেখেছে হয়তো, কিন্তু ম্যাচ খেলার উপযোগী কি করতে পেরেছে? করোনাভাইরাসের কারণে মাঝপথে পরিত্যক্ত করা হয়েছে ঘরোয়া ফুটবল মৌসুম। ফেডারেশন কাপ ছাড়া আর কিছুই হয়নি এবার। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ছয় রাউন্ড খেলা হওয়ার পর ক্লাবগুলোর দাবিতে মৌসুমের বাকি অংশ পরিত্যক্ত ঘোষণা করে বাফুফে। আগামী মৌসুম কবে শুরু হবে তাও ঠিক নেই। এখন করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে নতুন মৌসুম শুরু হতে পারে আগামী সেপ্টেম্বরে-অক্টোবরে। তবে বাফুফের এমন সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নয় ফুটবলাররা। তারা সবাই অভিন্ন সুরে বলেছেন ফিটনেস ধরে রাখাটা এখন কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। খেলার মধ্যে না থাকলে তখন জাতীয় দলে এর প্রভাব পড়তে পারে। আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি দেখা দেবে। এ নিয়ে দুজন জাতীয় ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলে তাদের ভাবনা জানার চেষ্টা করা হয় দৈনিক জনকণ্ঠের পক্ষ থেকে । এদের একজন পুরুষ, অন্যজন নারী। জাতীয় দলের অপরিহার্য গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। তার প্রিমিয়ার লিগে খেলা শুরু ২০১৪ সাল থেকে। চট্টগ্রাম আবাহনী ও মোহামেডান ঘুরে এখন রানা শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের খেলোয়াড়। এর আগে চাকরি করেছেন ও খেলেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। মানিকগঞ্জের কৃষ্ণপুরের চরমকিমপুরে জন্ম নেয়া ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী রানা জাতীয় দলে খেলে যাচ্ছেন ২০১৫ সাল থেকেই। এ পর্যন্ত ২৫টির মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলেছেন। আমিনুল হক এবং জিয়ানলুইজি বুফনকে গোলরক্ষক হিসেবে আদর্শ মানেন। তার স্ত্রী ফাহমিদা বারী। ছেলে রুবায়েত হাসিফ। মেয়ে রেহেনুমা রায়া। লিগ এবং মৌসুম পরিত্যক্ত হওয়ার ঘোষণায় পুরোপুরি হতাশ রানা। এমনটা হোক, তা চাননি। চেয়েছিলেন মৌসুম বাতিল যদি হয়ই, তাহলে সেটা আরও দেরিতে আসুক, অন্তত জুনের পর। কেননা এর আগেই বিশে^র অন্যান্য দেশে আবারও লিগ শুরু করা হয়েছিল। সেটা পর্র্যবেক্ষণ করলে হয়তো বাফুফে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে সরে আসতো। রানার দুঃখ, ‘সবচেয়ে বড় কথা, লিগ-মৌসুম বাতিল হওয়াতে আমরা ফুটবলাররা আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখির আশঙ্কায় পড়েছি। আমাদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে। সবাই এখন বেকার। চাকরিজীবিরা অনেকেই এই করোনার সময় অর্ধেক বেতন পাচ্ছেন। তাও তো তারা সেটা পচ্ছেন। কিন্তু আমরা কি পাচ্ছি?’ রানা আরও যোগ করেন, আমাদের বেশিরভাগ ফুটবলারই বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে স্বল্পমেয়াদী চুক্তিবদ্ধ। এটা আমাদের করোনার কারণে এক ধরনেই অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছে। যারা ক্লাবের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে আছেন, তাদের সমস্যা-দুশ্চিন্তা নেই। কিন্তু তাদের সংখ্যা তো একেবারেই কম! কাজেই আমরা ভাল নেই।’ ৮ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের মিশন শুরু হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে আগস্ট মাসের প্রথম দিকে ধাপে ধাপে বাফুফে খেলোয়াড়দের ডাকবে। করোনা-পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে সেপ্টেম্বর থেকে ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুমও শুরুর আভাস দিয়েছে বাফুফে। এ প্রসঙ্গে রানা বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর ওপর আমাদের কোন হাত নেই। বাফুফে যদিও সেপ্টেম্বরের কথা বলেছে, কিন্তু চরম বাস্তবতা হচ্ছে প্রতিদিনই করোনা-পরিস্থিতির আরও ভয়ঙ্করভাবে অবনতি হচ্ছে। সহসাই এমন অবস্থার উত্তরণের কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তারপরও আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করি যেন তিনি পরিস্থিতির উন্নতি ঘটান, দেশে আবার ফুটবল ফেরানোর সুযোগ দেন।’ চার মাস ধরে ফুটবল খেলা হচ্ছে না। তারপরও ফিটনেস ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন রানারা। কোচ জেমি ডে এ নিয়ে প্রয়োজনীয় দিকনিদের্শনা দিয়ে রেখেছেন এবং প্রতিনিয়তই খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এ প্রসঙ্গে রানার বক্তব্য, ‘চার মাস আগে খেলা বন্ধ হবার সময় আমাদের ফিটনসে লেভেল যে পর্যায়ে ছিল, না খেলার কারণে এখন সেই লেভেলে নেই। আগের লেভেলে ফিটনেস ধরে রাখাটা ভীষণ চ্যালেঞ্জের। সবকিছুই আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হচ্ছে। জেমি যেন বলতে না পারেন আমাদের ফিটনেস জিরো, তাই এ নিয়ে কাজ করছি। আগস্ট থেকে আমাদের ট্রেনিং ক্যাম্প শুরু হবে। ফলে হাতে সময় অল্প। এত অল্প সময়ে ফিটনেস শতভাগ ঠিক করা খুবই কষ্টকর। আসলে ঘরের ট্রেনিং আর মাঠের ট্রেনিং এক নয়। অন্যদের কথা জানি না। আমার ফিটনেস ৮০ শতাংশ ফিরে পেয়েছি। এখনও ঘাটতি আছে ২০ শতাংশ। জেমি যেভাবে বলেছেন, সেভাবে হচ্ছে না। কারণ আমাদের ব্যায়াম করার পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই। তারপরও বিকল্প যন্ত্রপাতি জোগাড় করে চেষ্টা করছি। আমি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় থাকি। এখানে একটি জিম আছে। প্রায়ই সেটা বন্ধ থাকে। কদিন ধরে আবার খুলেছে। তিন দিন ধরে সেখানে গিয়ে একা জিম করছি। তাছাড়া জেমি আমাদের খাদ্যগ্রহণ নিয়েও নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন। চার্ট অনুযায়ী খেতে হয়। তবে সেটাও শতভাগ পালন করা যাচ্ছে না নানা সমস্যায়। তারপরও ওজন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। এই উনিশ-বিশ আর কি।’ বাছাইপর্বের বাকি চার ম্যাচ থেকে পয়েন্ট পাওয়ার আশা করেছেন জেমি ডে। এ প্রসঙ্গে রানার ভাষ্য, ‘আগের ম্যাচগুলোতে আমরা সবচেয়ে ভাল খেলেছি আফগানিস্তান ও ভারতের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে ফিরতি লেগে জেতার বা ড্র করার কথা ভাবতেই পারি আমরা। তবে এই চ্যালেঞ্জে জিততে হলে আমাদের পূর্ণ প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের শতভাগ ফিট থেকে মাঠে নামাটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর আগে কয়েকটা প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে পারলে ভাল হতো।’ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ‘ই’ গ্রæপের বাকি আছে আরও ৮ ম্যাচ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তিনটি হোম ম্যাচ বাংলাদেশের। আফগানিস্তান, ভারত ও ওমানের বাংলাদেশে এসে খেলার কথা। বাংলাদেশের এ্যাওয়ে ম্যাচ কাতারের বিরুদ্ধে। ৮ ম্যাচের ৫টিই বাংলাদেশ-ভারতে। ৫টির মধ্যে এই দুটি দেশেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। তাই এজন্য এএফসি কাপের বাকি ম্যাচগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য নিরপেক্ষ একটি ভেন্যুতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্ভবত মালয়েশিয়ায় হবে এএফসি কাপের বাকি ম্যাচগুলো। এএফসি বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। রানা বলেন, ‘নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সব ম্যাচ খেললে স্বভাবতই আমরা হোমগ্রাউন্ডে খেলার সমর্থন, আবহাওয়ার সুবিধা পাব না। তবে এটা নিয়ে ভাবছি না। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে মানিয়ে নেয়ার সমস্যা তো শুধু আমাদেরই নয়, অন্যদেরও হবে। তাছাড়া আমার ধারণা আমরা যেমন এখনও অনুশীলন করিনি, বাকি চার দেশও অনুশীলন শুরু করতে পারেনি।’ আরও দুই বছরের জন্য কোচ হিসেবে জেমি ডেকে রাখা নিয়ে রানা বলেন, ‘এটা অবশ্যই খেলোয়াড়দের জন্য ইতিবাচক খবর। সফলতা পেতে হলে একজনকে কোচকে অবশ্যই সময় দিতে হবে। দীর্ঘসময় কোচ থাকলে তার সঙ্গে খেলোয়াড়দের বোঝাপড়া বেশ ভাল হয়। সেরা নৈপুণ্যটা আদায় করে নেয়া যায়। জেমি অনেক মিশুক। আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করেন আন্তরিকভাবেই। আবার দরকার হলে আমাদের কড়া শাসনেও রাখেন। এমনটাই হওয়া উচিত একজন কোচের।’ ‘সত্যি বলতে কি, বেশ কিছুদিন ধরে আমি ইন্টারনেট জগত থেকে বিচ্ছিন্ন। এমনকি পেপার পড়া, টিভি দেখা কোনটাই হয়ে না। তাই করোনা-পরিস্থিতির উন্নতি হলে যে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে মহিলা ফুটবল লিগের বন্ধ হওয়া খেলা আবার ফুটবল মাঠে গড়াবে, খবরটা আপনার কাছ থেকেই জানতে পারলাম।’ ফোনে এমনটাই বলেন সিরাত জাহান স্বপ্না, যার মাঠের পরিচয় একজন স্ট্রাইকার। লকডাউনের দিনে তাই বলে বাড়িতে একেবারে অলস বসে আছেন স্বপ্না, এমনটা ভাবলে ভুল হবে। ফিটনেস ধরে রাখতে সপ্তাহে ছয় দিন বাড়ির এক চিলতে ব্যালকনিতে কোর, রানিং, স্ট্রেচিং অনুশীলন করেন। এছাড়া উইথ দ্য বলে প্র্যাকটিস করেন খুব ভোরে (যখন কেউ থাকে না) বাড়ির অদূরে একটি মাঠে। তবে বর্ষার উৎপাতে অনুশীলনে বিঘœ ঘটে মাঝে মধ্যে। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, দীর্ঘ ১৪ মাস ধরে খেলার বাইরে আছেন স্বপ্না! সর্বশেষ ফুটবল খেলেছেন ২০১৯ সালের এপ্রিলে, ঢাকায় অনুষ্ঠিত বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে। সেই আসরে বাংলাদেশ যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয় লাওসের সঙ্গে। প্রতিক‚ল আবহাওয়ার কারণে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। তার আগের ম্যাচে কিরগিজস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে পায়ে গুরুতর চোট পান স্বপ্না। ফলে ফাইনাল খেলায় দলের একাদশে তার নাম ছিল না। এই দীর্ঘ বিরতিতে প্রাণের প্রিয় খেলা ফুটবলকে কতটা মিস করেছেন? কতটা মর্মযাতনা ভোগ করেছেন? স্বপ্নার উত্তর, ‘যখন ইনজুরিতে পড়ি এবং ইনজুরি থেকে সেরে উঠি, তখনও পর্যন্ত মোটেও ফুটবলকে মিস করিনি। কারণ তখন আমি বাফুফেতে ক্যাম্পে সবার সঙ্গেই ছিলাম। তাদের সঙ্গে অনুশীলন করেছি। কাজেই তখন কোন খারাপ লাগেনি। সেই খারাপ লাগাটা তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে এখন, মানে গত চারটি মাস ধরে।’ স্বপ্না অবশ্য আশাবাদী, শিগগীরই আবারও মাঠে মেয়েদের ফুটবল ফিরে আসবে। তবে এজন্য শর্ত একটাই, বাংলাদেশকে করোনামুক্ত হতে হবে। রংপুরের মেয়ে স্বপ্না। ফুটবলার তার যাত্রা শুরু ২০১১ সালে বঙ্গমাতা ফুটবল দিয়ে। পরের বছর একই আসরে খেলেন। এরপর থেকেই পাদপ্রদীপের আলোর নিচে চলে আসেন। নেপালে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালে এএফসি অনুর্ধ-১৪ আঞ্চলিক ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে জাতীয় দলে নাম লেখান। প্রথম আসরেই নজর কাড়েন। এরপর ঢাকায় ২০১৬ সালে এএফসি অনুর্ধ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বে দলের অন্যতম প্রধান ভরসা ছিলেন। সিনিয়র সাফে রানার্সআপ হওয়াতেও তার অবদান ছিল। করেছিলেন ৫ গোল। ২০১৮ সালে ভুটানে অনুষ্ঠিত অনুর্ধ-১৮ সাফে এক ম্যাচেই করেন ৭ গোল (পকিস্তানের বিরুদ্ধে)। রংপুরের পালিচড়ার জয়রামের কৃষক বাবা মোকছার আলীর তিন মেয়ের মধ্যে সবার ছোট স্বপ্না। সংসারে দারিদ্র্য আর অনটনের কারণে বাকি দুই মেয়ের মতো স্বপ্নাকেও বিয়ে দিয়ে দিতে চেয়েছিলেন বাবা। পাত্র খোঁজাও শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাবাকে বুঝিয়ে ফুটবলার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রাখার মিশনে সফল স্বপ্না। স্বপ্নাই এখন তার পরিবারের আশা-ভরসা।
×