ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ১ মে ২০২০

উবাচ

সংযমী হোন স্টাফ রিপোর্টার ॥ রমজান সংযমের মাস। শুধু না খেয়ে থাকা মানেই তো রোজা নয়। ধর্মমতে নিজের মুখ, হাত আর জিহ্বারও সংযম দরকার। ধরুন কেউ রোজা রাখলেন আর মিথ্যে বলা থেকে শুরু করে পরনিন্দা, পরচর্চা করেই চললেন, তার কি রোজা হবে! অর্থবহ সংযম থেকে অনেক দূরে অবস্থান করলে তার রোজা হয় কি করে। যাই হোক তার রোজা হোক না হোক সেই বিচারের ভার সৃষ্টিকর্তার ওপর ছেড়ে দেয়াই ভাল। তবে ইসলামী মনীষীরা মনে করেন, সংযমের একটি বৃহত্তর পরিধি রয়েছে। রমজানে প্রত্যেক মুসলমানের চর্চা করেন। কিন্তু দেশের কোন কোন রাজনৈতিক নেতা সেটি ভুলে যান। এই তো বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী তিনি প্রতিদিন কোন না কোনভাবে সরকারকে খোঁচাতে থাকেন। সরকারের কোন কিছুই তার পছন্দ নয়। তিনি সরকারে থাকলে কি করতেন কে জানে। হয়তো রাতে একাকী শুয়ে শুয়ে চিন্তার রাজ্যে বৈঠা বাইতে বাইতে ভাবেন এই সরকার কি করে তাদের একটা হাওয়া ভবন নেই। আহা আমাদের সময় হাওয়া ভবন ছিল। যাই হোক করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও পত্রিকাগুলোর পাতা উল্টালে দেখা যাবে এক রিজভী যত কথা বলেন সব বিরোধী দলের সকল শীর্ষ নেতাও প্রতিদিন এত কথা বলেন না। যদিও অসুস্থতার জন্য তিনি এখন কথা বলায় সাময়িক বিরতি পালন করছেন। করোনা মোকাবেলার জোর তৎপরতার মধ্যে এক রিজভীর কথার পল্টা কথা জোগাতে হচ্ছে সরকারী দলের নেতাদের। তাই রিজভীকে আপাতত কথায় সংযমী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, রিজভী সাহেব যে ভাষায় কথা বলেছেন, আমি তাকে অনুরোধ জানাব, রমজান মাসে কথাবার্তায় একটু সংযমী হবার জন্য। রমজান মাসে বিষোদগার ও মিথ্যাচারের রাজনীতি পরিহার করে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের জনগণের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। এখন দেখার বিষয় সুস্থতার পথে থাকা রিজভী রাজনীতির মাঠে ফিরে এসে আসলে কি করেন। ঐক্যবদ্ধভাবে পাশে দাঁড়ান নাকি সেই আগের মতোই...! একলা চলার নীতি! স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে করোনা মোকাবেলার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে সরকার। এ কথা সত্য তৃতীয় বিশে^র একটি দেশ হিসেবে চাইলেই রাতারাতি অনেক কিছু করে ফেলা সম্ভব নয়। ইউরোপ আমেরিকা যা পারবে সেই প্রত্যাশা নিজের দেশের ক্ষেত্রে করাটা বাড়াবাড়ি রকমের চিন্তা। এরপরও করোনা পরিস্থিতিতে ইউরোপ আমেরিকার নাজেহাল পরিস্থিতি সারা বিশ^বাসী দেখছেন। কিন্তু সরকারের সব প্রচেষ্টার পরও বিএনপি মনে করছে সরকারের নীতিতেই যত গ-গোল। সেই নীতি নাকি একলা চলার নীতি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের ‘একলা চলো’ নীতির কারণে জনগণ করোনাভাইরাসের মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার সম্মিলিত উদ্যোগ না নিয়ে মহামারী মোকাবেলায় পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচায় দিয়েছে। কিন্তু আসলেই কি তাই। এখন পর্যন্ত প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়াতে বলা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখতে মানুষকে ঘরে থাকতে। আর এ কাজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সোনা বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য মানুষের জীবন রক্ষায় নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। জাতীয় এই বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে দেশের সব মানুষ। জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য দেশের সব চিকিৎসককে সরকার মানুষের সেবায় পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় দুই হাজার চিকিৎসক এবং পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ দিচ্ছে সরকার। মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার সব দায় সরকার এককভাবে নিজের কাঁধে নিয়েছে। এরপর সরকারের পক্ষে আর কি করা সম্ভব। বিএনপি কেন মনে করছে এত কিছু করা মানেই একলা চলা। নাকি বিএনপি করোনা থেকে বাঁচার কোন ম্যাজিক শিখেছে। যেটা শুধু তারাই জানে ফলে তাদের প্রতিরোধের সুযোগ না দিয়ে সরকার মস্ত বড় ভুল করছে। বরং বিএনপিও যাতে নিরাপদে বাসায় থাকে সেই ব্যবস্থাই তো পোক্ত করা হচ্ছে। তাদের দলীয় প্রধানকেও তাদের হাতে দেয়া হয়েছে সামলে রাখার জন্য। কিন্তু এরপরও এত সমালোচনা কেন। সামলোচনা করলেও বিএনপিকে করোনা প্রতিরোধের সুযোগ দিলে তার কি করত সেই বিষয়টি একবারও কিন্তু বলেনি। অনেকেই বলছেন যদি হ্যামিলনের বাঁশিওলার মতো কিছু থেকে থাকে, সেটা জানালে শুধু দেশ নয় বিশ^ও মুক্তি পাবে। আছে কিছু? রাজনীতি করতে আসিনি স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোন রাজনীতিবিদ যদি এসেই বলেন ‘কোন রাজনীতি করতে আসিনি’ তাহলে বোঝাই যায় বিরাট বড় ঢপ মারছেন। নিশ্চয়ই কোন না কোন ধান্ধা আছে। এই যেমন মাহমুদুর রহমান মান্না সব কিছুর লকডাউনের মধ্যে তিনি তো আর ভুলতে পারেন না, দিন শেষে তিনি রাজনীতিই করেন। ফলে যে করেই হোক এর মধ্যেই সেটি করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে চুপি চুপি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করলেন। যেহেতু সামাজিক দূরত্বের কারণে সভা সমাবেশ সব বন্ধ। ত্রাণ দিলে দুই এক কথা বললে একটু আধটু দেখা যায়। কিন্তু সেটি ব্যয়বহুল রাজনৈতিক প্রচার। এর বাইরে আছে টকশো। কিন্তু সেখানেও সঞ্চালকের বাগড়া, নিজের স্বাধীনতা কোথায়। ফলে সংবাদ সম্মেলন ছাড়া প্রচারের আর জায়গা আপাতত নেই। মান্না সংবাদ সম্মেলনে এসেই বললেন, কোন রাজনীতি করতে আসিনি। আমরা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করতে আসিনি, নতুন নির্বাচনের দাবিতে আসিনি। কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পক্ষে এই বিপর্যয় মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এই দায়িত্ব রাষ্ট্রের তথা সরকারের। সঙ্গত কারণে তাদেরই বহন করতে হবে। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, অনেক ভুল পথে হেঁটেছেন, দয়া করে এবার দেশের কথা ভেবে, অসহায় মানুষের কথা ভেবে, মানুষকে বাঁচাতে, দেশকে বাঁচাতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। এই বিপর্যয় থেকে দেশকে রক্ষা করা না গেলে সেই দায় আপনাদেরই নিতে হবে এবং ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না। এখন এই বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে কি দাঁড়ায় মান্নার কোন কথাটি অরাজনৈতিক। কোন কথাটি এক জন মানুষকে বাঁচাতে সহায়তা করবে! নাকি রাজনীতি করতে আসিনি বলে শুধু রাজনীতিই করে গেলেন তিনি।
×