ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জয়পুরহাটে ভারত-বাংলাদেশ উৎসবে বাঙলা নাট্যদলের ‘মেঘ’

প্রকাশিত: ০৯:৪৭, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 জয়পুরহাটে ভারত-বাংলাদেশ উৎসবে বাঙলা নাট্যদলের ‘মেঘ’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ‘পাঁচবিবি থিয়েটার’ আয়োজিত আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী ভারত-বাংলা নাট্যোৎসব আজ শেষ হচ্ছে। উৎসবের সমাপনী দিনে আজ মঞ্চস্থ হবে ঢাকার অন্যতম নন্দিত সংগঠন বাঙলা নাট্যদলের নাটক ‘মেঘ’। উৎপল দত্ত রচিত নাটক নির্দেশনা দিয়েছেন হ ম সহিদুজ্জামান। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন আবিদ আহমেদ, সুবর্ণা মীর, হ ম সহিদুজ্জামান, লিটন খান, সেলিম বহুরূপী, আফসানা আক্তার যুুঁথি, নাসির আহমেদ দুর্জয় এবং সৈয়দ গোলাম মুর্তুজা। নাটকের সেট ডিজাইন করেছেন আবিদ আহমেদ, শব্দ ও আলো পরিকল্পনায় নাসির আহমেদ দুর্জয়। এদিকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী নাট্যোৎসব গত ২১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। এই নাট্যোৎসবে নাটক মঞ্চায়নের পাশাপাশি বইমেলায় আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবে বাঙলা নাট্যদলের ‘মেঘ’ নাটকের পাশাপাশি কলকাতার দল ‘বৃত্তান্ত’ এবং পাঁচবিবি থিয়েটার নাটক মঞ্চায়ন করে। উৎসবের প্রথম দিন ঢাকার ‘আহর বাংলা’ পালা পরিবেশন করে। উৎসবে অংশ নিতে গতকাল রবিবার জয়পুরহাট পৌঁছেছে বাঙলা নাট্যদলের কর্মীরা। ‘মেঘ’ নাটকে দেখা যায় সিজোফ্রেনিয়া থেকে সদ্য সুস্থ হয়ে ওঠা কলকাতার নামকরা সাহিত্যিক সমরেশ স্যানালকে নিয়েই গল্পের শুরু। স্ত্রী মাধুরীর অক্লান্ত পরিশ্রম আর ভালবাসায় সিক্ত সমরেশ হঠাৎ মুখোমুখি হয় তার কলেজ জীবনের প্রাক্তন প্রেমিকা সুজাতা সেনের। কলেজ জীবনের নানা অন্তরঙ্গ মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করা চিঠিগুলোকে সামনে এনে সমরেশকে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে সুজাতা। সুজাতার মানসিক অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে বাস্তব এবং কল্পনায় নিজেকে বলিদান করে সমরেশ। নিজের ব্যক্তিত্ব, মাধুরী এবং সমাজ সংসারের কথা চিন্তা করে এই চরম মুহূর্তেই সুজাতাকে খুন করে সমরেশ। সুজাতাকে না পেয়ে নানা অপরাধে অভিযুক্ত তার স্বামী সাগর সেনের জবানবন্দীর ওপর ভিত্তি করে সমরেশের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় পাঁতিপুকুর থানার ওসি যতিন নন্দী। যতীনবাবুর কৌশলী কথা এবং আচরণে সুজাতাকে হত্যার কথা অনেকটা প্রকাশ করে ফেলে সে। ওদিকে প্রতিবেশী তারাপদ বাড়ুয্যের ছেলে প্রণবের কাছে খুনের কথা স্বীকার করে বসে সমরেশ। জল ঘোলা হয় আরও। প্রণব বাড়ুয্যেও সুযোগ বুঝে সমরেশকে পেয়ে বসে। সমরেশের অস্বাভাবিক আচরণে স্ত্রী মাধুরী অনেকটা হতচকিয়ে যায়। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী। উৎসবে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বাঙলা নাট্যদলের সাধারণ সম্পাদক এবং নির্দেশক হ ম সহিদুজ্জামান জানান, থিয়েটার মানেই বাঁধন ছিন্ন করা, বৃত্তের বাইরে চিন্তা করা যাকে বলা যায় থিংক আউট অব সার্কেল। আমরা সাধারণত একটা নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে কাজ করতে করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি। তখন আমাদের ঢাকার বাইরে এমন নাটক মঞ্চায়ন প্রয়োজন হয়ে পড়ে যা কাজে নতুন স্পৃহা জোগায়। প্রতিনিয়ত নতুন অভিজ্ঞতার সঞ্চার হয়। দলের সবাই কর্মচাঞ্চল্যতা অনুভব করে। তাই বাঙলা নাট্যদল এই উৎসবের আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করেছে। ‘মেঘ’ নাটকের পাশাপাশি বাঙলা নাট্যদল আরও জনপ্রিয় কিছু নাটক নিয়মিত মঞ্চায়ন করে থাকে ‘শাদী মোবারক’, ‘প্রেম পরাণের কথা’, ‘এখনো অন্ধকার’, ‘দ্য ফ্যান্টাস্টিক’, ‘তুই চোর’, ‘বৃত্ত’, ‘ঘুঘু মুন্সি ও অন্যান্য’, ‘মুক্তির ছিন্ন দলিল’, ‘দ্বিসত্তা বিরাণভূমি’ প্রভৃতি।
×