ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা

প্রতিবারের মতো উঠছে ১ জানুয়ারি এবারও পর্দা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আয়োজনের সিংহভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে আশ্বস্ত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মূল দায়িত্বে থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। এবারের মেলা হবে ব্যতিক্রমী, ভিন্নমাত্রার। ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উৎসবের সূচনা হবে এই বাণিজ্যমেলা। মূল ফটক নির্মাণেও রয়েছে আলাদা মাত্রা। প্রথমবারের মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মারক স্থাপনা জাতীয় স্মৃতি সৌধের আদলে মূল তোরণকে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। বাংলাদেশসহ মোট ২০টি দেশের ৪৫০ স্টল এবং প্যাভিলিয়নের মনোরম সজ্জায় পুরো আঙিনাকে বর্ণিল করে তোলা হবে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা এই আন্তর্জাতিক পণ্যমেলা। এই সমন্বিত মেগা অনুষ্ঠানে পণ্যসামগ্রী ছাড়াও বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতাকেও দর্শনার্থীদের কাছে উপস্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। মূল ফটক নির্মাণে জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে তৈরি করতে স্থাপত্য অধিদফতরের নক্সায় গণপূর্ত বিভাগ এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি পালন করছে। মেলা গোছানোর সামগ্রিক আয়োজনে ফুড স্টল, সংরক্ষিত সাধারণ স্টল, ফরেন প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার স্টল লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪৫০। গত বছর এই স্টলের সংখ্যা আরও ১০০ বেশি ছিল। মেলা প্রাঙ্গণের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানানো হয়, নির্ধারিত দিনের আগেই সব ধরনের কর্ম পরিধিকে সাজিয়ে গুছিয়ে আনতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগের দিন সব কিছুই মেলার জন্য উপযুক্ত করে তোলা হবে। মেলা প্রাঙ্গণের ভেতরের জায়গাকে আরও খোলামেলা করা হবে যাতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ে কোন ধরনের অসঙ্গতি না থাকে। নতুনভাবে সাজানো এই মেলার তথ্যপ্রযুক্তির আরও সংযোজন ভেতরের কাজের পরিধিকে অনেক সহজসাধ্য করে দেবে। ডিজিটাল এক্সপেরিমেন্ট সেন্টারের মাধ্যমে দর্শকরা তাদের নির্দিষ্ট স্টল ও প্যাভিলিয়ন খুঁজে পাবেন অল্প সময়েই। সপ্তাহের প্রতিদিনই মেলা চলবে এবং তা সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা অবধি। টিকেট বিক্রি হবে বড়দের জন্য ৪০ টাকা আর ছোটদের জন্য ২০ টাকায়। এ বছরের মেলায় প্রথমবারের মতো দুটি মা ও শিশু কেন্দ্র, শিশু পার্ক, ই-পার্ক, চিকিৎসা কেন্দ্র এবং এটিএম বুথও রাখা হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও সব ধরনের নিত্যব্যবহার্যপণ্য সামগ্রী দিয়ে মেলার বৃহত্তর পরিবেশকে তৈরি করা হয়েছে। আবার হরেক রকম অসঙ্গতিকে সামলানোর লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং ভোক্তা অধিদফতরও তাদের দায়িত্ব পালনে নিযুক্ত থাকবে। এ ছাড়াও নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সিসি টিভি ক্যামেরা মেলা প্রাঙ্গণকে সর্বক্ষণিক নজরদারি করতে সময়োচিত ভূমিকা রাখবে। পণ্য সম্ভারে সমৃদ্ধ আয়োজনে মেলা প্রাঙ্গণের সম্ভাবনাময় উৎসব দেশের অর্থনৈতিক বলয়কেও নানা মাত্রিকে ভরিয়ে দেবে। বাণিজ্যমেলার এই সম্প্রসারিত জগতটি দেশের রফতানির ক্ষেত্রকেও আলোকিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। দেশ-বিদেশের সম্মিলিত আয়োজনে মেলা প্রাঙ্গণের মূল বার্তায় পারস্পরিক সম্প্রীতি আর সৌহার্দ্যরে যে আবেদন, সেটাও আন্তর্জাতিক সীমানার এক সম্ভাবনাময় বিশ্ব। তেমন লক্ষ্যমাত্রায় মাসব্যাপী সম্প্রসারিত এই বিরাট আয়োজন দেশ ও মানুষের কল্যাণে যথার্থ অবদান রাখাবে, এমন প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
×