ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী

রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে মিয়ানমারকে ফেরত নিতে হবে

প্রকাশিত: ১২:২২, ১৫ নভেম্বর ২০১৯

রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে মিয়ানমারকে ফেরত নিতে হবে

মিয়ানমার মানবতাবিরোধী অপরাধ ও তাদের দেশের নাগরিক রোহিঙ্গাদের হত্যা, নিপীড়ন-নির্যাতন, ধর্ষণ, গুম করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না, বরং বাংলাদেশে প্রায় বারো লাখ রোহিঙ্গাকে বলপূর্বক ঠেলে দিয়েছে। মানবতার খাতিরে কষ্ট সহ্য করে এদের আমাদের সহৃদয়া প্রধানমন্ত্রী এদেশে আশ্রয় দিয়েছিলেন স্বল্পকালীন মেয়াদের জন্য। কিন্তু সুযোগ পেয়ে মিয়ানমার কর্তৃক এক জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি করছে। তারা যে সমস্ত ঘৃণ্য কাজ করছে তা এক কথায় অমানবিক। এজন্য নেদারল্যান্ডসে দি হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গামবিয়া মামলা দায়ের করেছে। অবশ্য ওআইসির উচিত ছিল মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী অবস্থান নেয়া। ১৯৮২ সালে মিয়ানমার এমনই একটি ঘৃণ্য কাজ করেছে যে, অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত রোহিঙ্গারা তাদের দেশে অবস্থান করত জানা সত্ত্বেও ১৯৮২-এর আইন দ্বারা রোহিঙ্গাদের সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক মানবগোষ্ঠী হিসেবে অস্বীকার করে তাদের ক্ষেত্রে শিক্ষা, সরকারী চাকরি, এমনকি সব ধরনের স্বাধীন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তারা বারংবার নিগৃহীত হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। এ ধরনের নির্যাতনের দালিলিক প্রমাণ জাতিসংঘ এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ প্রদান করা সত্ত্বেও বিশ্ব বিবেকের ক্ষুদ্র স্বার্থে গণহত্যাকারী এদেশটি বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য, জলজসম্পদসহ সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে সক্ষম হচ্ছে। আসুন, আমরা ধিক্কার জানাই তথাকথিত শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আউং সান সুচিকে। সম্প্রতি ডেভিড ক্যামেরুনের লেখা বইতে দেখা যায়, মানব হত্যাকারী ও তথাকথিত গণতন্ত্রপ্রেমী আউং সান সুচি ব্যক্তিগত আলাপ পর্যায়ে রোহিঙ্গাদের বারবার তিনি ক্ষমতায় থাকতে মিয়ানমারের অধিবাসী নয় বলে বোঝাতে চেয়েছেন। এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ যারা করেন তাদের মতো ব্যক্তি কেমন করে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান তা আজ বিশ্ব বিবেকের কাছে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দেবে নিশ্চয়ই। অথচ রোহিঙ্গাদের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখতে পাই যে, তাদের পূর্ব পুরুষরা প্রাক ঔপনেবিশক আমল থেকেই আরকান রাষ্ট্রের অধিবাসী ছিলেন। এমনকি তারা আইন প্রণেতা ও মিয়ানমারের সংসদে বিংশ শতকের শেষ দিক পর্যন্ত প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এ যেন জোর যার মুল্লুক তার। অথচ মিয়ানমারের অধিকাংশ মানুষ যে ধর্মে বিশ্বাসী তার মূল কথাই হচ্ছে শান্তি। কিন্তু কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী ভুল বুঝিয়ে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। যারা তাদের সমর্থন করছে তারা গর্হিত কাজ করে চলেছে। দৈনিক জনকণ্ঠের ১২ নবেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে দেখা যায় যে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কিছু স্থাপনায় ‘বিদ্রোহীদের’ হামলার পর রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে শুরু হয় সে দেশের সেনাবাহিনীর অভিযান এবং সেইসঙ্গে শুরু হয় বাংলাদেশের সীমান্তের দিকে রোহিঙ্গাদের ঢল। বস্তুত ১৯৭৮, ১৯৯১-৯২, ২০১২, ২০১৫, ২০১৬-১৭ বারবার নিপীড়িত, নির্যাতিত, ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে মানবতা, নারীর স্বকীয়তা। বলপূর্বক রোহিঙ্গা নারীদের দেহে এইডসের জীবাণু ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে পত্রিকায় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাস দমনের নামে অমানবিক অত্যাচার মিয়ানমার সরকার ১৯৯১-৯২ সালে একটি আইন দি স্টেট ল’ এ্যান্ড অর্ডার রেস্টোরেশন কাউন্সিলের আওতায় পুরুষদের খোজা বানানো, নারী ধর্ষণ, পতিতাতবলয়ে বিক্রি, শিশু চুরি করে ভিন্ন ধর্মে লালন-পালন, নারীদের বন্ধ্যাকরণ, হাড়ভাঙ্গা ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত খাটানো, বাংলাদেশে জোর করে ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা, ইয়াবা ও মাদক জাতীয় দ্রব্য তৈরি, বাজারজাতকরণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় পপি চাষসহ নানাবিধ কার্যক্রম শুরু করে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ না করলে আমাদের দেশের জন্য ক্ষতি ছিল না। রোহিঙ্গাদের কারণে আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি কক্সবাজারসহ পাঁচটি জেলায় কেবল তৈরি হচ্ছে না, বরং চিকিৎসা-স্বাস্থ্য-অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানে এদেশের স্থানীয়রা পিছিয়ে পড়ছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, চীন মুখে যাই বলুক না কেন তার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের স্বার্থে মিয়ানমারের সব অপরাধের সমর্থক হয়ে উঠেছে। অন্ধভাবে আরও কয়েকটি রাষ্ট্র মিয়ানমারকে সমর্থন করছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এ অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘিœত হলে তার দায়ভার মিয়ানমার ও তার সমর্থক রাষ্ট্রগুলো এড়াতে পারবে না। রাশিয়া এবং ভারতের কাছ থেকেও আমরা আরও জোরালো সমর্থন চাই, যাতে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য এ ধরনের অপকর্ম করে মিয়ানমার চুপ না থাকে, বরং তার দেশের অধিবাসীদের ফেরত নেয় অবিলম্বে। উখিয়া উপজেলা হচ্ছে ১০১.১ স্কয়ারমিটার জুড়ে। এই ছোট্ট এলাকায় বারো লাখ লোকের অনুপ্রবেশ এবং অবস্থান জনসংখ্যা আধিক্যে ভারাক্রান্ত করে তুলেছে। ভূরাজনৈতিক কারণে মিয়ানমার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলটিকে বিধ্বস্ত করার সব ব্যবস্থা তার দেশের নাগরিকদের পাঠিয়ে করেছে। এটি মিয়ানমার একাই যে করছে তা নয়, তার যে মিত্রশক্তি আছে তারা পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে। দেশী-বিদেশী আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো এদের ব্যবহার করছে। যদিও উখিয়া অঞ্চলে এই অনুপ্রবেশকারীদের রাখতে চেষ্টা করা হয়েছে, তবে তাদের মধ্যে একটি শ্রেণী বিভিন্ন অঞ্চলে যেতে চেষ্টা করছে। অন্যদিকে মানব পাচারকারীদের কবলে পড়ে দেশের বাইরেও যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনের ওপর নেমে এসেছে কালো ছায়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অনেক ক্ষেত্রেই দ্বিগুণ/তিনগুণের বেশি হয়ে যাচ্ছে। শ্রমের মজুুরি অত্যন্ত নিম্ন পর্যায়ে চলে গেছে। আবার দারিদ্র্যের দুষ্টুচক্র কর্মহীনতার কারণে স্থানীয় মানুষকে আক্রান্ত করছে। সন্ত্রাস-হানাহানি, ডাকাতি-রাহাজানি স্থানীয় পর্যায়ে বেড়ে গেছে। বিদেশে রোহিঙ্গারা অনেক ক্ষেত্রেই জাল বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে অবৈধ পথে বিভিন্ন অপরাধকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে প্রবাসে বাংলাদেশের চাকরির বাজারও সঙ্কুচিত হচ্ছে। এদিকে ইয়াবা ট্যাবলেটের ব্যবসায় এদের অনেকে জড়িত আছে বলে স্থানীয় পত্রপত্রিকায় বেরুচ্ছে। সৌদি আরব ইচ্ছে করলে কিছু রোহিঙ্গা নারী শ্রমিককে তার দেশে রিফিউজি হিসেবে আশ্রয় দিতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের পরিবারকেও মাইগ্রেট করার বিধান রাখতে পারে। তুরস্কও এই ব্যাপারে কাজ করতে পারে। ছয় হাজারের বেশি একর এলাকাজুড়ে বনায়নের জন্য যে রিজার্ভ ছিল তা বিনষ্ট হয়েছে এবং দু’হাজারের বেশি হেক্টর এলাকাজুড়ে বন্যপ্রাণীর আশ্রয়স্থল নষ্ট হওয়ায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। সুপেয় পানি স্থানীয় বাসিন্দারা পাচ্ছে না। সেখানে স্থানীয় পর্যায়ে প্রায় ৮০ হাজার লোকের অবস্থা পূর্বের তুলনায় খারাপ হয়েছে দিন দিন দারিদ্র্য উচ্চহারে বাড়ছে। যে সমস্ত জেলে আগে নাফ নদীতে মাছ ধরতে যেত এখন তাদের মূল পেশা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। মিয়ানমারে অত্যাচারিত হতে হতে এদের মধ্যে এক ধরনের হিংস্র মনোবৃত্তি চলে এসেছে। এদের মধ্যে যারা অত্যাচারিত হয়েছে, নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে কোনমতে প্রাণটুকু সম্বল করে এদেশে পালিয়ে এসেছে, তাদের মধ্যে স্বাভাবিক মনোবৃত্তি ও মনস্তাত্ত্বিক বলয়ে এক ধরনের হিংস্র অভিঘাত সঞ্চারিত হয়েছে। উখিয়া থেকে তারা কেবল কক্সবাজারে ছড়িয়ে পড়ছে না, বরং অন্যান্য এলাকায় গিয়ে চুরি-রাহাজানি করছে। কেউ কেউ গোপনে নিজ পরিচয় পাল্টিয়ে বিয়ে-শাদি করছে। হানাহানি ও হিংস্রতা কেবল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজেদের মধ্যে করছে তা নয়, বরং আজকের যে ছোট শিশুরা দেখেছে পিতার লাশ, মা-বোনের সম্ভ্রমহানি তারা কিন্তু বেড়ে উঠছে একটি হিংস্র, বর্বর ও গণহত্যামূলক পরিবেশে থেকে। তারা যখন বড় হবে তখন কেবল বাংলাদেশ নয়, স্থানীয় পর্যায়ের পাশাপাশি আঞ্চলিক ভারসাম্যহীনতা এবং সহিংসতার দিকে ধাবিত হলে আশ্চর্য হওয়ার কিছুু নেই। আর্থিকভাবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের প্রায় এক শ’ বিলিয়ন ইউএস ডলারের মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে যারা এসেছে তাদের অর্ধেকের বেশি হচ্ছে শিশু। আউং সান সুচি বিবেকহীন এক রমণী, যার নেতৃত্বে তারই দেশের সেনাবাহিনী হত্যাযজ্ঞে নেমেছে। আসলে তাকে ওপর থেকে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে নেতৃত্ব। তার বাবা ছিলেন জেনারেল। মিয়ানমারের ক্ষমতা গ্রহণ করলেও মানুষের উন্নয়ন করেননি। স্বদেশের ইতিহাস না জেনেই সুখের পায়রা হিসেবে বিদেশে ছিলেন এবং সেখানে বেশ আরামপ্রদ জীবনযাপন কাটিয়ে গণতন্ত্রের কথা বলে বেশ কিছুকাল গৃহবন্দী হয়ে নেত্রী হয়েছেন। তিনি কি করে বুঝবেন তার দেশের সংখ্যালঘু মানুষের কষ্ট? আবার ক্ষমতার প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা, সংখ্যাগরিষ্ঠদের মন জুগিয়ে চলতে এই তথাকথিত নারী খেলার পুতুলের মতো কাজ করে চলেছেন। তার দেশের কোন নাগরিক অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী বিচার হবে। কিন্তু গণহত্যা, গণধর্ষণ কেন? কেনইবা ১৯৮২ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত তার দেশে রোহিঙ্গা গোষ্ঠীকে কর্মহীন, আয়হীন করার যারা অপপ্রয়াস চালিয়ে ছিল, সেই আইনের সংশোধন নেই কেন? রোহিঙ্গারা মানুষ, তারা মিয়ানমারের নাগরিক সেই প্রাক-ঔপনেবিশিক আমল থেকে। জ্বালানি সংগ্রহের নাম করে বন উজাড় করা হচ্ছে। বিবেকহীন মিয়ানমারের বর্তমান কর্তৃত্ববাদী জনগোষ্ঠী তাদের দেশ কিসের উন্নয়ন করছে? যেখানে ভোগ-বিলাস বাড়ছে, নির্বিচারে তারই দেশে মানবতাবিরোধী অপরাধ করে চলেছে, এমনকি আমাদের ভূখ- সেন্ট মার্টিনকে একবার তারা ম্যাপেও দেখিয়েছিল। এ ধরনের চৌর্যবৃত্তি, অমানাবিকতার পরও তারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক একঘরে না হওয়াটি বড় বেদনাদায়ক। যে সমস্ত রাষ্ট্র প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাদের অপরাধকে সমর্থন করছে তারা হীন কাজ করছে। বিশ্বব্রহ্মা- হওয়া উচিত প্রতিটি মানুষের মানুষের জন্য শান্তিতে বাসযোগ্য। আসলে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এতদঞ্চলের প্রগতির পথকে রুদ্ধ করে দিতে চায়। ফলে আঞ্চলিক সংস্থা বিমসটেক প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি যথার্থই বলেছেন, যে সমস্ত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে তারা তাদের দেশে ফেরত না যেতে পারলে একটি বৈশ্বিক সমস্যার সৃষ্টি হবে এবং তারা বিশ্বব্যাপী বিভীষিকা সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অনুরোধ করেছেন যে, রোহিঙ্গাদের বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে জরুরী সমাধানকল্পে এগিয়ে আসার জন্য। যে কোন উন্নয়নের ক্ষেত্রে শান্তি, প্রগতি এবং মানবাধিকার পূর্বশর্ত। অথচ কতিপয় অর্থলোলুপ, দুর্নীতিবাজ মিয়ানমারের বর্বর সেনাশাসক তাদের দেশের অধিবাসীদের কেন ফেরত নিতে দেরি করছে তা বোধগম্য নয়। আমাদের দেশের তথাকথিত সুশীল সমাজকেও এ ব্যাপারে সোচ্চার হওয়া বাঞ্ছনীয়, যাতে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে দ্রুত ফেরত যেতে পারে। লেখক : ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল ইকোনমিস্ট [email protected]
×