ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুহম্মদ সালাহউদ্দিন

সাহিত্যে নোবেল ২০১৮ ॥ ওলগা নাওজা তোকারচুক

প্রকাশিত: ১৩:২২, ২৫ অক্টোবর ২০১৯

সাহিত্যে নোবেল ২০১৮ ॥ ওলগা নাওজা তোকারচুক

১৯৬২ সালের ২৯ জানুয়ারি পোল্যান্ডের জিলোনা গোরা প্রদেশের কাছে সুলেচো শহরে একটি পোলিশ-ইউক্রেনীয় পরিবারে জন্ম নেয়া ওলগা নাওজা তোকারচুককে একজন লেখক, প্রগতিশীল, মানবাধিকারক কর্মী, ও নারীবাদী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর প্রজন্মের অন্যতম সমালোচক ও সাহিত্যবোদ্ধারা ওলগা তোকারচুকের ভূয়সী প্রশংসা করেন ও বাণিজ্যিকভাবে সফল লেখক হিসেবে তাঁকে স্বীকৃতি দেন। ১৯১৮ সালে ‘ফ্লাইটস’ উপন্যাসের জন্য তোকারচুককে ‘ম্যানবুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ’ দেয়া হয় । কোন পোলিশ লেখক সর্বপ্রথম এ পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৯ সালে তিনি ২০১৮ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। তোকারচুক বিশেষভাবে তাঁর লেখায় পৌরাণিক স্বরের বর্ণনার জন্য এ পুরস্কার অর্জন করেন। ওয়ারস্ বিশ^বিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞানি হিসেবে প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময় তাঁর কবিতা সংকলন, বেশ কয়েকটি উপন্যাস, সংক্ষিপ্ত গদ্য রচনা সহ অন্যান্য বই প্রকাশিত হয়। ২০০৮ সালে তিনি ‘ফ্লাইট’ উপন্যাসের জন্য ‘নাইক এওয়ার্ড’ পেয়েছেন। ২০১০ সালে তিনি তাঁর বই ‘প্রাইমিবেল এ্যান্ড আদার টাইমস’ ও অন্যান্য সাহিত্য কর্ম নিয়ে আলোচনার জন্য এডিনবার্গের বুক ফেস্টিবেলে যোগদান করেন। তোকারচুককে ২০১৫ সালে ‘কাসোগি জাকুবো’ (দি বুক অব জেকব) এর জন্য আবার ‘নাইক এওয়ার্ড’ দেয়া হয়। একই বছর তিনি ইউরোপের জনগন ও জাতির মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, গনতন্ত্রের উন্নয়ন ও শান্তির অগ্রগতি সম্পন্ন করতে জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য ‘জার্মান-পোলিশ ইন্টারন্যাশনাল ব্রিজ পাইজ’ অর্জন করেন। সাহিত্য জীবন শুরু করার আগে তিনি ১৯৮০ সালে ওয়ারস্ বিশ^বিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞানী হিসেবে প্রশিক্ষণ নেয়ার পাশাপাশি আচরণগত সমস্যাজনিত কারণে কিশোর কিশোরীদের সংশোধনাগারে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তোকারচুক ১৯৮৫ সালে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পর প্রথমে রোকল ও পরে ওয়াব্রিজিস চলে যান। সেখানে তিনি একজন থেরাপিস্ট হিসেবে প্র্যাকটিস শুরু করেন। তোকারজুক নিজেকে কার্ল জুং এর শিষ্য ও তাঁর মনস্তত্ত্বকে নিজের সাহিত্যকর্মের অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে নোয়ারুদার কাছে ক্রাজানউ নামে একটি ছোট গ্রামে থাকতেন। সেখানে থাকাকালীন সময় তিনি তাঁর প্রাইভেট প্রকাশনা সংস্থা রুটাও পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। লেখক হওয়ার জন্যে যে বইটি তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি যখন অল্প বয়সী মেয়ে ছিলাম তখন সিগমন্ড ফ্রয়েডের ‘বিয়ন্ড দি প্লেজার প্রিন্সিপাল’ বইটি পড়েছিলাম। সেটি আমাকে বুঝতে সাহায্য করেছে যে, আমাদের অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যা করার জন্য হাজারো সম্ভাব্য উপায় রয়েছে। প্রত্যেক কিছুরই অর্থ আছেÑ যার ব্যাখ্যা করাই হলো বাস্তবতার চাবিকাঠি। এটিই ছিল আমার লেখক হওয়ার প্রথম পদক্ষেপ’। ১৯৮৯ সালে পোলান্ডের ক্রাকুউতে তোকারচুক তাঁর প্রথম বই ‘মিয়াস্তা ডব্লিউ লাস্ট্রাস’ (সিটিজ অব মিররস)্ নামে একটি কবিতা সংকলন প্রকাশ করেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘পুদ্রি লোজি কিসিগি’ (দি জার্নি অব দি বুক পিপল) ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয়। উক্ত গ্রন্থে সপ্তদশ শতাব্দীতে ফ্রান্সের দুই প্রেমিকের বইয়ের গোপনীয়তা সম্পর্কে নীতিগর্ভ রূপক কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। তোকারচুক তাঁর তৃতীয় উপন্যাস ‘প্রয়িক আই ইনি ক্রেসি’ (প্রিমিবেল এ্যান্ড আদার টাইমস), ১৯৯৬ সালে প্রকাশ করেন ও বইটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করে। সেটি পোল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কল্পিত গ্রাম প্রউইককে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। উক্ত গ্রামে বেশকিছু বিস্ময়কর প্রতœতাত্ত্বিক বসবাস করে। এ গ্রামটিকে চারজন শ্রেষ্ঠ শ্রেণীর দেবদূত পাহারা দেয়। সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপন্যাসটিতে ১৯১৪ সাল থেকে শুরু করে আট দশক ধরে প্রউইক গ্রামের বাসিন্দাদের জীবনের চিত্র সূক্ষ্মভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ‘প্রউইক’ উপন্যাসটি অনেক ভাষায় অনূদিত হয় ও পোল্যান্ডে তাঁর প্রজন্মের সাহিত্যিকদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। ‘প্রউইক’ উপন্যাস রচনার পর তিনি সংক্ষিপ্ত গল্প ও প্রবন্ধ লেখার দিকে মনোযোগ দেন। তাঁর পরবর্তী বই তিনটি উপন্যাসিকা ধরনের গল্প সংগ্রহ ‘জাজাফা’ (দি ওয়াড্রোব), ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯৯৮ সালে ‘হাউজ অব ডে হাউজ অব নাইট’ বইটি উপন্যাসের চেয়ে বরং পোলিশ-চেক সীমান্তের নিকট একটি গ্রামের অতীত ও বর্তমান জীবনের সঙ্গে স্বাধীনভাবে সম্পর্কিত অসম গল্প, স্কেচ ও প্রবন্ধগুলো বিবৃত হয়েছে। যারা মধ্য ইউরোপের ইতিহাসের সঙ্গে অপরিচিত; তাদের জন্য তোকারচুকের ‘জটিল’ এ বইটি ছিল ইল্যান্ডে প্রকাশিত তাঁর প্রথম ইংরেজী বই। ‘হাউস অব ডে হাউজ অব নাইট’ গ্রন্থ প্রকাশের পর ২০০০ সালে ‘দি ডল এ্যান্ড দি পার্ল’ নামে তোকারচুক একটি প্রকৃত তথ্যভিত্তিক প্রবন্ধ সাহিত্য রচনা করেন। একই বছর তোকারচুক সহ তাঁর সহকর্মী লেখক জারজি পিলস ও এন্ড্রেজেজ স্টাছিউক’এর যৈথভাবে লিখিত তিনটি ক্রিসম্যাস গল্পের ভলিউম প্রকাশিত হয়। ২০০১ সালে তিনি সংক্ষিপ্ত গল্প সংগ্রহের বই ‘প্লেয়িং অন মেনি ড্রামস’ প্রকাশ করেন। ২০০৪ সালে প্রকাশিত তোকারচুকের ‘দি লাস্ট স্টোরিজ’ গ্রন্থে তিনি তিন প্রজন্মের দৃষ্টিকোণ থেকে মৃত্যুর অনুসন্ধান করেছেন। তাঁর প্রকাশিত অন্যতম গ্রন্থ ‘বিগুনি’ (ফ্লাইটস) এর প্রধান বিষয় ছিল আধুনিক যাযাবরদের জীবন কাহিনী। তিনি সূক্ষ্ম বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাদের জীবন চিত্র তুলে ধরেন। এ বইটি বেশ কিছু পুরস্কারসহ ২০০৮ সালে পোল্যান্ডের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার ‘নাইক এওয়ার্ড’ লাভ করে। ২০০৭ সালে ‘ড্রাইভ ইওর ফ্লো ওভার দি বোনস অব দি ডেড’ প্রকাশিত হয়। এটি গোয়েন্দা গল্প রীতির মাধ্যমে মূল চরিত্রটি তাঁর দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা হয়েছে। জ্যাজিনা ডুসজেকো নামে একজন বয়স্ক মহিলা জ্যোতিষ শাস্ত্রের মাধ্যমে অন্যান্য মানুষের প্রতি তার ধারণার প্রতিচ্ছবি ও পোল্যান্ডের কোডজকোর কাছে একটি গ্রামে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তিনি শিকারিদের ওপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বন্যপ্রাণী দ্বারা সংঘটিত মৃত্যুর বর্ণনা দিয়েছেন। তোকরচুককে তাঁর দেশ ও দেশের বাহিরেও অনেক পুরস্কার দেয়া হয়। ২০১০ সালে তিনি ‘মেডেল ফর মেরিট টু কালচার-গ্লোরিয়া আর্টস’ পুরস্কার ও ২০১৩ সালে ‘ভিলেনিকা’ পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৪ সালে তোকারচুকের ‘স্ক্রিয়াগি জাকুবো’ (জেনিফার ক্রাপ্টের অস্থায়ী অনুবাদে ‘জ্যাকবের বই’) নামে একটি মহাকাব্যিক উপন্যাস প্রকাশিত হয়। এ উপন্যাসটি অষ্টাদশ শতাব্দীর পোল্যান্ড ও পূর্ব-মধ্য ইউরোপের ইহুদি ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বের সঙ্গে সম্পর্কিত। পোলিশ সাহিত্যের ঐতিহাসিক ও আদর্শিক বিভাজন সম্পর্কে বইটি সিয়েনকিউইজ (পোলিশ নোবেলজয়ী সাহিত্যিক) বিরোধী হিসেবে চিত্রিত হয়েছে। সমালোচক ও পাঠক কর্তৃক বইটি অতি দ্রুত প্রশংসা লাভ করে। তবে কিছু পোলিশ জাতীয়তাবাদী চক্র উপন্যাসটির বিরোধী প্রচারণা করার ফলে ওলগা তোকারচুক ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচারিত ঘৃণা ও হয়রানির শিকার হন। ২০১৫ সালে ‘নোয়া রুদা পেট্রিয়টস এ্যাসোসিয়েসন’ টোকারজুকের সমালোচনা করে ও নগরীর কাউন্সিলরের কাছে দাবি করেছিল, নোয়া রুদা থেকে লেখকের সম্মানসূচক নাগরিকত্ব যেন প্রত্যাহার করা হয়। কারণ, তিনি পোলিশ জাতির সুনামকে কলঙ্কিত করেছেন। এ্যাসোসিয়েসনের এই দাবি ‘ল এ্যান্ড জাস্টিস’ পার্টির সিনেটর ওয়াল্ডোমার বোনকিভস্কি সমর্থন করেন। তাঁর মতে, তোকারচুকের সাহিত্যের আউটপুট ও জনসাধারণের বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে পোলিশ ঐতিহাসিক রাজনীতির অনুমানের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছে। তোকারজুক বলেন, ‘তিনিই সত্যিকার দেশ প্রেমিক, তাঁর সমালোচনাকারী কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নয়। বরং যার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদেশ আতঙ্ক ও বর্ণবাদী মনোভাব সৃষ্টির ফলে পোল্যান্ডের সুনাম বহির্বিশে^র কাছে ক্ষতিকরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, তারাই পোলিশ জাতির সুনামকে ক্ষুণœ করেছে’। ২০১৭ সালে তাঁর অপরাধ বিষয়ক উপন্যাস ‘ড্রাইভ ইওর ফ্লো ওভার দি বোনস অব দি ডেড’ পরিচালক এগ্নিইসকা হলেন্ড চলচ্চিত্রে রূপ দেন। ৬৭ তম বার্লিন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিবলে ছবিটি ‘আলফ্রেড বাউর’ (সিলভার বিয়ার) পুরস্কার অর্জন করে। তোকারচুককে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনি কোন লেখক দ্বারা অনুপ্রাণীত হয়েছেন। উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি পোল্যান্ডের অনেক লেখক একই উত্তর দেবেন। ব্রুনো শুল্জের লেখা অনেক সুন্দর, সংবেদনশীল ও অর্থবহ গল্পগুলো পোলিশ ভাষাকে সম্পূর্ণ আলাদা স্তরে উন্নীত করেছে। আমি তাঁকে ভালবাসি আবার ঘৃণা করি, কারণ তাঁর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার কোন উপায় নেই। তিনি হলেন পোলিশ ভাষার প্রতিভা’। এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘কবিতার জগত থেকে নির্দিষ্ট বইয়ের চেয়ে দুটি নাম বেছে নেব। আমি যখন কিশোরী, তখন টি, এস, এলিয়টের প্রেমে পড়েছিলাম। প্রথমে আমি গ্রন্থাগার থেকে তাঁর লেখা বই চুরি করেছি। এরপর থেকে তাঁর সমস্ত রচনা সংগ্রহ করতে শুরু করি। আমার প্রিয় কবিতা হলো, দি লাভ সং অব জে আলফ্রেড প্রুফ্রোক। দ্বিতীয়টি হলো, জেসাও মিয়াওসÑযিনি একজন দুর্দান্ত কবি ও প্রাবন্ধিক ছিলেন। তাঁর লেখা পড়ে লেখালেখির বিষয়ে আমার মতো পরিবর্তন হয়েছিল। ২০১৮ সালে কলঙ্ককর ঘটনার জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদান স্থগিত হয়ে যায়। ২০১৯ সালে ২০১৮ সালের সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী হিসেবে পোলিশ লেখক ওলগা নাওজা তোকারচুককে এ পুরস্কার প্রদানের জন্য মনোনীত করা হয়। নোবেল কমিটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় বলেছে, ‘জীবনের রূপ হিসেবে সীমানা ছাড়িয়ে যাওয়াকে অতিবিস্তৃত আবেগের তথ্যপূর্ণ ধারাবাহিক কল্পনার বর্ণনার জন্য’ ওলগা তুকারচুক ২০১৯ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির সংবাদ জানার পর তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘কোন একস্থানে গাড়িতে করে যাওয়ার সময় অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অজানা স্থানে সর্বপ্রথম জানতে পেরেছি যে, আমি নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছি। আমরা বর্তমানে যে পৃথিবীতে বাস করছি, তার সংজ্ঞা দেয়ার জন্য এর চেয়ে ভাল কোন রূপকের কথা ভাবতে পারি না। আজকাল আমাদের লেখকদের আরও বেশি অসম্ভব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। সাহিত্য একটি ধীর গতিশীল শিল্প। লেখার প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ হওয়ার ফলে, সাহিত্য কর্মের মধ্যে বিশ^কে ধরে রাখা জটিল হয়ে পড়েছে। আমি প্রায়ই আশ্চর্য হই, পৃথিবীর বর্ণনা দেয়া এখনও সম্ভব কিনা। অথবা যদি এর ক্রমবর্ধনশীল তরল আকৃতি, স্থির বিষয়বস্তু দ্রবীভূতকরণ ও মূল্যবোধের মুখে আমরা ইতোমধ্যে যদি নিঃস্ব হয়ে থাকি। আমি এমন একটা সাহিত্যে বিশ^াস করি, যা আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে ও আমরা কতটুকু অনুরূপ তা নির্দেশ করে এবং অদৃশ্য যোগসূত্রের মাধ্যমে আমরা সবাই একসঙ্গে এসেছিÑএ সত্য সম্পর্কে আমাদের সচেতন করে তোলে। এটি যেন জীবন্ত ও একীভূত গোটা বিশে^র গল্প বলে, আমাদের সামনে ক্রমাগত বিকাশ ঘটায়Ñযেখানে আমরা কেবল ক্ষুদ্র কিন্তু একই সঙ্গে শক্তিশালী অংশ। পিটার হ্যান্ডকে নোবেল প্রাপ্তির জন্য অভিনন্দন জানাই। আমি খুব আনন্দিত, আমরা দুজনেই বিশে^র একই স্থান থেকে এসেছি’। আগামী ১০ ডিসেম্বর স্টকহোমে ওলগা তোকারচুকের হাতে তুলে দেয়া হবে নোবেল পুরস্কারের ৯০ লাখ ক্রোনার ও মেডেল।
×