ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্বৃত্তায়ন ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে

প্রকাশিত: ১০:১১, ৭ অক্টোবর ২০১৯

   দুর্বৃত্তায়ন ও অপরাধীদের  বিরুদ্ধে এ অভিযান  অব্যাহত থাকবে

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৬ অক্টোবর ॥ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গী দমন করেছেন। বিদ্যুত সমস্যার সমাধান করেছেন। সর্বক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। পাকিস্তানীরাও এখন বাংলাদেশের উন্নয়নকে অনুসরণ করছে। দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তার নির্দেশেই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশব্যাপী অভিযান চালাচ্ছে। দেশের দুর্বৃত্তায়ন ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে কোন আপোস করা হবে না। মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ মূলমন্ত্রে দেশ এখন উন্নতি, শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে দেশ উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামও আজ শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে। স্বাধীনতা অর্জনে দেশের অন্যতম লক্ষ্য ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা। বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে এখানে সবার ধর্ম পালনে সমান অধিকার রয়েছে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্ম ইসলাম ন্যায়-অন্যায়ের বিচারে সব মানুষকে সমান মূল্যায়নের শিক্ষা দেয়। ধর্মান্ধতা মানুষকে বিপথগামী উল্লেখ করে শুধু ধর্মীয় শিক্ষা নয়, দেশকে উন্নত করতে ও উন্নত জাতি গঠনে বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন। তরুণ সমাজকে দেশের উন্নয়নে উৎপাদনমুখী বিশেষ করে কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ হতে আহ্বান জানান। কৃষিমন্ত্রী রবিবার দিনব্যাপী টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ডে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের মধ্যে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১২ কিমি রাস্তার উদ্বোধন ও পূজামন্ডপ পরিদর্শন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, আজকের শিশু আগামীদিনের ভবিষ্যত। আমাদের যে শিশুরা ও তরুণরা আছে তাদেরকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে করে তাদের মেধার বিকাশ পায়। তাদের মধ্যে সৃজনশীলতার সৃষ্টি হয়। আমাদের ছেলেমেয়েরাও ভাল খেয়েপরে, ভাল পরিবেশে জীবন ধারণ করলে নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করতে পারবে। বড় হয়ে তারা কখনও দুর্নীতি করবে না। আমাদের বাংলাদেশে এখন আর খাওয়ার কষ্ট নেই। এখন দিনমজুররাও তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য কিন্ডারগার্টেনে পাঠায়। কিন্ডারগার্টেনে পড়ালেখার মান খুবই ভাল। তারা চায় তাদের ছেলেমেয়েরা ভালভাবে পড়াশোনা করুক। ভাল চাকরি করুক। পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে ভাল নাগরিক হতে হবে। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম। অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধ করেছি। যুদ্ধমানেই জীবন বাজি রাখা। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তানী বাহিনী, রাজাকার ও আলবদর যারা এই রাজাকার, আলবদর ও পাকিস্তানী বাহিনীর হাতকে শক্তিশালী ও সহযোগিতা করেছে। তাদের হাতে আমাদের মা-বোনদের তুলে দিয়েছিল সেই রাজাকার, আলবদর এবং পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সেই যুদ্ধে আমার সঙ্গে অনেক কম বয়সের যারা ছিল আমাদের সকলেরই স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত ও একটি সুখী- সমৃদ্ধশালী দেশ। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রেখে মানবতায় বার বার পুরস্কৃত হচ্ছেন। তিনি শুধু বাংলার ১৬ কোটি মানুষের মা নন। তিনি সারা পৃথিবীর মানবজাতির মা। সরকারী প্রাইমারী স্কুল, সরকারী হাই স্কুলে কোন পড়াশোনা হয় না। সবাই ফাঁকিবাজ। কোন কাজকর্ম করে না। প্রাইমারী স্কুলগুলোর গুণগতমান যেন ভাল হয়। তিনি অভিভাবকদের সেজন্য চাপ সৃষ্টির কথা বলেন। তারা অনেক টাকা বেতন পায়। ছেলেমেয়েরা পড়তে যায় না সেখানে। তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। তাদের মুখে কালিমা দেয়া উচিত। কালিমা লেপন করা উচিত। যাতে তাদের লজ্জা হয়। দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফিউদ্দিন মনি, পৌরসভার মেয়র মাসুদ পারভেজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আবদুর গফুর মন্টু, ইয়াকুব আলী, বাপ্পু সিদ্দিকী, ডাঃ মীর ফরহাদুল আলম মনি, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিক হোসেন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ আহমেদ নাসির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান খান মিথুন, সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ সজীবসহ পূজামন্ডপগুলোর হিন্দু ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ।
×