ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনি দেয়া ফৌজদারী অপরাধ ॥ পুলিশ সুপার

প্রকাশিত: ০৯:০৪, ২৩ জুলাই ২০১৯

ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনি দেয়া ফৌজদারী অপরাধ ॥ পুলিশ সুপার

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, বর্তমান সময়ে ছেলে-মেয়ে ধরা সন্দেহে কিংবা গলাকাটা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে নিরীহ লোকজনদেরকে মারা হচ্ছে যা অনাকাঙ্খিত। সন্দেহ বশত কাউকে পিটিয়ে মারা যাবে না। সন্দেহজনক ব্যক্তিকে নিকটস্থ থানা বা পুলিশ বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দিন। পদ্মা সেতু নির্মাণে মাথা লাগবে একটি কুচক্রী মহল এমন গুজব ছড়ানো পর নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকজন মর্মান্তিক ভাবে প্রাণ হারিয়েছে। গুজবে কেউ কান দিবেন না। ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনি দেয়া একটি ফৌজদারী অপরাধ। আইন নিজের হতে তুলে নিবেন না। গণপিটুনীর ঘটনায় যারা জড়িত তদন্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা রাষ্ট্রবিরোধী কাজের শামিল। সুতরাং কেউ অপরাধ করে পার পাবে না। নারায়ণগঞ্জ পুলিশের পক্ষ থেকে গুজবে কান না দেয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জবাসীকে অনুরোধ করা হলো। আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি চক্র এ ধরণের গুজব ছড়াচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ ছেলে ধার আতঙ্ক নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে শংকা কাটাতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মাইকিং করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুর বারোটায় নগরীর হাকার মার্কেটের সামনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন। পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের সাইনবোর্ড থেকে চাষাড়া হয়ে বঙ্গবন্ধু সড়কের নিতাইগঞ্জ পর্যন্ত কোথাও হকার বসতে পারবে না। এই সড়কে হকার বসলে শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পাচঁ থেকে সাত মিনিটের রাস্তা পার হতে সময় লাগে আধাঘণ্টার বেশী। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে চাষাঢ়া হকারদের জন্য ৬শ’ ৫০টি দোকান নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু হকাররা সেই দোকান অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়ে তারা রাস্তায় বসছে। তিনি বলেন, হকার মার্কেটে প্রকৃত হকার বসবে। তিনি বলেন, যে সব হাকার দোকান বিক্রি করে রাস্তায় বসার চেষ্টা করছে তাদের বলবো দোকান সিটি কর্পোরেশন বরাবর ফিরিয়ে দেন। আর যে সব হকারা মার্কেটের বাইরে থাকবে তাদের জন্য প্রয়োজনে অন্যত্র ব্যবস্থা করার তিনি সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রতি অনুরোধ জানান। উল্লেখ্য রোজার ঈদের পর পরই বঙ্গবন্ধু সড়কের চাষাঢ়া থেকে নিতাইগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশের হকারদের উচ্ছেদ করে পুলিশ। এসময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ নুরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-ক) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম, ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন ও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরির্দশক (ডিআইও-টু) মোঃ সাজ্জাদ রোমন প্রমুখ।
×