জিএম মোস্তফা ॥ অবিশ্বাস্য সাকিব! দুর্দান্ত বাংলাদেশ। বিশ্বমঞ্চে আরও একবার সাকিবময় এক জয় পেল বাংলাদেশ। সোমবার সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড পারফর্মেন্সের সৌজন্যেই বিধ্বস্ত আফগানিস্তান। ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনে এদিন আফগান শক্তিকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয় লাল-সবুজের গর্বিত প্রতিনিধিরা। আফগানিস্তানকে ৬২ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্নটা বেশ ভালভাবেই জিইয়ে রাখল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ধরে রাখল টাইগারদের ক্রিকেটীয় দেমাগও।
বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এদিন প্রথমে ব্যাট করে সাকিব-মুশফিকের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৬২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে সাকিবের অসাধারণ বোলিং নৈপূণ্যে ৪৭ ওভারে মাত্র ২০০ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। এর ফলে এবারের বিশ্বকাপের তৃতীয় জয় তুলে নেয় মাশরাফি মর্তুজার দল। এই জয়ের ফলে সাত ম্যাচ থেকে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ পয়েন্ট। শ্রীলঙ্কাকে সরিয়ে আবারও পাঁচে উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের। ৬ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে লঙ্কানরা। টেবিলের শীর্ষে যথারীতি নিউজিল্যান্ড। ৬ ম্যাচ থেকে ১১ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে অবস্থান করছে ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
২০১৯ বিশ্বকাপ থেকে প্রথম দল হিসেবে সবার আগে বিদায় নেয় আফগানিস্তান। তথাপি হাল ছাড়েনি দলটি। দুইদিন আগে ভারতকেও কাঁপিয়ে দেয় তারা। সেই ম্যাচে হারলেও তাদের পারফর্মেন্স নজর কেড়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের। সেই ম্যাচের অনুপ্রেরণা নিয়েই বাংলাদেশের মুখোমুখি হয় আফগানিস্তান। প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া ২৬৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দেখে শুনে খেলতে থাকেন আফগানিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রহমত শাহ ও গুলবাদিন নাইব। যে কারণে দলীয় ৪৯ রানে প্রথম সাফল্যের দেখা পায় বাংলাদেশ। রহমত শাহকে আউট করার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ৩৫ বলে ২৪ রান করেন রহমত শাহ। তারপর সুবিধে করতে পারেনি হাসমতুল্লাহ শাহিদীও। ৩১ বল খেলে দলের সঙ্গে ১১ রান যোগ করেই সাজঘরে ফিরে যান তিনি। মোসাদ্দেক হোসেনের বলে মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন হাসমতুল্লাহ। তবে একপাশ আগলে রাখেন গুলবাদিন নাইব। মাশরাফি-সাইফদের দেখে শুনে খেলে দলকেও শক্ত একটা ভিত গড়ে দেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। সেট হয়ে যাওয়া আফগানিস্তানের এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকেও সাজঘরের পথ দেখান সাকিব। লিটন দাসের হাতে তালুবন্দী করে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন তিনি। সেইসঙ্গে নতুন এক মাইলফলকও স্পর্শ করেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৩০ উইকেট এবং ১০০০ রানের অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়েন সাকিব।
তবে সাকিব নিজেকে এখানেই থামিয়ে রাখেননি। এরপর মোহাম্মদ নবী এবং আসগর আফগানের উইকেট দুটিও নিজের ঝুলিতে নিয়ে নেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। গুলবাদিনের পর নবীকে বোল্ড করেন সাকিব। শূন্য রানে ফেরত যান তিনি। সাকিবের বলে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামা সাব্বির রহমানের হাতে তালুবন্দী হওয়ার আগে ২০ রান করে যান আসগর। এরপর লিটন দাসের দুর্দান্ত থ্রুতে আউট হয়ে যান ইকরাম আলিখিল। ৬ উইকেটের বিনিময়ে আফগানদের স্কোর দাঁড়ায় ১৩২। বলা চলে ম্যাচ তখন বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে। তবে দলের কঠিন এই সময়েও আফগানদের ম্যাচে ফেরানোর স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন সামিউল্লাহ শিনওয়ারি আর নজিবুল্লাহ জাদরান। ষষ্ট উইকেটে গড়েন ৫৬ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। এমন পরিস্থিতি আবারও বাংলাদেশকে ব্যাক থ্রু এনে দেন সাকিব। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে দেন নজিবুল্লাহ। আউট হওয়ার আগে ২৩ বলে ২৩ রান করে যান তিনি। এই উইকেট নিয়ে আরেকটি রেকর্ডবুকে জায়গা করে নেন সাকিব। বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে একই ম্যাচে ফিফটি ও ৫ উইকেট লাভের রেকর্ড গড়েন তিনি। তার আগে এই রেকর্ড গড়েছিলেন ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটার যুবরাজ সিং। শুধু কী তাই? বিশ্ব ক্রিকেটের প্রথম অলরান্ডার হিসেবে এক বিশ্বকাপে চার শ’ কিংবা তারও বেশি রানের পাশাপাশি ১০ উইকেট লাভের বিরল নজিরও এখন শুধু সাকিব আল হাসানের দখলে।
নজিবুল্লাহ জাদরানকে আউট করে বিশ্বকাপে নিজের উইকেটসংখ্যা ৩৩-এ নিয়ে যান সাকিব। বিশ্বকাপে ১০০০ হাজার রান কিংবা ৫০ উইকেটের কীর্তি আছে অনেক। কিন্তু ন্যূনতম রানের সঙ্গে ৩০ উইকেটের কীর্তি নেই আর কারও। এর আগে বিশ্বকাপে ন্যূনতম ৯০০ রানের সঙ্গে ২৫ উইকেট নিতে পেরেছেন মাত্র দুইজন। তারা হলেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ ওয়াহ আর শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়সুরিয়া। ৩ বিশ্বকাপে ৩৩ ম্যাচ খেলে ৯৭৮ রানের সঙ্গে ২৭ উইকেট পেয়েছিলেন অসি কিংবদন্তি ওয়াহ। অন্যদিকে ৫ বিশ্বকাপ মিলিয়ে ১১৬৫ রান ও ২৭ উইকেট পেয়েছিলেন জয়সুরিয়া। এই দুজন তো আগেই সাবেক হয়ে গেছেন। এর ফলে সাকিবের এই রেকর্ড যে অনেকদিন স্থায়ী হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
জাদরান আউট হয়ে যাওয়ার পর রশিদ খান (২), দৌলত জারদান (০) আর মুজিব-উর রহমানরা (০) ছিলেন শুধুই আসা যাওয়ার মিছিলে। যে কারণে ৪৭ ওভারে ২০০ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। তবে এই ম্যাচে লড়াকু এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন সামিউল্লাহ শিনওয়ারি। দল হারলেও শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন তিনি। মূলত, তার এই ইনিংসের সৌজন্যেই দুই শ’র কোটা স্পর্শ করে আফগানিস্তান।
আফগানদের বিপক্ষে নিঃসন্দেহে সফল বোলার সাকিব। ১০ ওভার বল করে ২৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। যে কারণে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটাও তুলে নেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ৮ ওভারে ৩২ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট লাভ করেন মুস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক হোসেন উভয়েই একটি করে উইকেট লাভ করেন।
বিশ্বকাপের এবারের আসরে দুর্দান্ত শুরু করে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারায় তারা। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনাও জিইয়ে রাখে তারা। সেমির টিকেট কাটতে হলে বাংলাদেশের পরবর্তী টার্গেট দাঁড়ায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়। সেই লক্ষ্যেই সোমবার ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনের রোজ বোল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলতে নামে সাকিব-মাশরাফিরা। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমেই এদিন ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা ১০ মিনিট বিলম্ব হয়। আফগানদের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৩ রানেই প্রথম উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের। বিতর্কিত সিদ্ধান্তে মাত্র ১৬ রান করেই সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাস। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে মুজিব-উর রহমানের বল কাভার অঞ্চল দিয়ে মারতে গিয়ে হাশমতুল্লাহ শাহিদীর তালুবন্দী হন লিটন। টিভি স্ক্রিনে স্পষ্ট দেখা যায় বল মাটি ছুঁয়ে হাশমতুল্লাহ’র হাতে ওঠে। তথাপি টিভি আম্পায়ার আউট দিয়ে দেন। এ নিয়ে অবশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় বিতর্কের ঝড়।
এরপর তামিম ইকবালের সঙ্গে যোগ দেন ইনফর্ম ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান। শুরুতে উইকেট হারানোর ধাক্কাটা বেশ ভালভাবেই সামলে নেন দুই বন্ধু মিলে। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে মিলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে দেন বড় সংগ্রহের আভাস। কিন্তু দলীয় ৮২ রানের মাথায় তামিম ইকবালকে হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৩৬ রানে মোহাম্মদ নবীর বলে বোল্ড আউট হন হার্ড-হিটার এই ওপেনার। পরের বলেই ফিরতে পারতেন সাকিব। এবারও সেই আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত! তবে এবার রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এরপর সাকিব খেলে যান তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই। ব্যক্তিগত ৩৫ রান যোগ করেই নতুন কীর্তি গড়েন তিনি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে তার নামের পাশে যোগ করেন ১০০০ রান। এই রেকর্ড গড়ে বিশ্বকাপে রান সংগ্রহে সাকিব ছাড়িয়ে গেছেন সৌরভ গাঙ্গুলি-মার্ক ওয়াহদের মতো কিংবদন্তিদেরও। মন্থর উইকেটে সাকিব এদিন খুব বেশি আগ্রাসী হননি। এক, দুই রান নিয়েই এগোতে থাকেন। ৪৫ বলে ৩৫ রানে যেতে সাকিব মেরেছেন মাত্র একটি বাউন্ডারি।
বিশ্বকাপে হাজার রানে যেতে সাকিবের লাগল মাত্র ২৭ ম্যাচ। এক হাজারের বেশি রানের সঙ্গে বল হাতেও সাকিবের উইকেট ২৯টি। আর ১ উইকেট পেলে ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে এক হাজার রান ও ৩০ উইকেটের মালিক হবেন তিনি। বিশ্বকাপে এক হাজার রান ছুঁতে সাকিব করেছেন ২ সেঞ্চুরি আর ৮ ফিফটি। তবে আফগানদের বিপক্ষে অর্ধ-শতক করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সাকিব। ব্যক্তিগত ৫১ রানে মুজিব-উর রহমানের এলবির শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তবে আউট হয়ে গেলেও এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছেন সাকিব। ৬ ম্যাচ থেকে তার সংগ্রহ ৪৭৬ রান। শীর্ষে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার (৪৪৭) নেমে যান দুইয়ে। ৪২৪ রান নিয়ে এই তালিকার তিনে অবস্থান জো রুটের।
সাকিবের পর মাঠে নামেন সৌম্য সরকার। কিন্তু এদিনও ব্যাট হাতে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। ওপেনিং থেকে পাঁচে নামিয়ে আনা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মুজিবের বলে লেগ বিফোরের শিকার হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। যদিও রিভিউ নিয়েছিলেন সৌম্য। কিন্তু রিপ্লে দেখে অবশ্য আউটের ঘোষণাই আসে। তবে মাঠের আম্পায়ার আউট না দিলেও পারতেন। সৌম্য আউট হলে বাংলাদেশের স্কোরকার্ড দাঁড়ায় ১৫১ রানে ৪ উইকেট। এরপর মুশফিককে সঙ্গ দিতে মাঠে নামেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দেড় শ’ থেকে বাংলাদেশের রানটাকে দুই শ’র কোটা ছাড়িয়ে দেন তারা। পঞ্চম উইকেটে ৫৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটিও গড়েন মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু দলীয় ২০৭ রানে মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ বানিয়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের উইকেট তুলে নেন গুলবাদিন নাইব। আউট হওয়ার আগে দুই চারের সৌজন্যে ৩৮ বলে ২৭ রান করে যান মাহমুদুল্লাহ।
দৌলত জাদরানের বলে মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান মুশফিকুর রহিমও। ততক্ষণে ৮৭ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৮৩ রান করেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিক। আফগানদের বিপক্ষে এদিন সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল মুশফিকের সেঞ্চুরি। কেননা, তার আগে মাহমুদুল্লাহ-সাকিব দুজনেই যে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করেছিলেন। এবার অবশ্য সেই কীর্তি গড়তে ব্যর্থ হন মুশফিক। তাতে কী? দলের মজবুত ভিত গড়তে রেখেছেন মূল ভূমিকা। তবে আড়াই শ’র কোটা পেরিয়ে বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে ২৬২ রান জমা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। এক ম্যাচ পর মাঠে নেমে ২৪ বলে ৩৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে যান তিনি। যদিওবা গুলবাদিন নাইবের ইনিংসের শেষ বলে আউট যান সৈকত। তবে ২ বলে ২ রান করে অপরাজিত থাকেন চোট কাটিয়ে দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
আফগানিস্তানের সফল বোলার মুজিব-উর রহমান। ১০ ওভারে ৩৯ রানের বিনিময়ে বাংলাদেশের মূল্যবান ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। ১০ ওভারে ৫৬ রান খরচায় ২ উইকেট লাভ করেন গুলবাদিন নাইব। এছাড়া দৌলত জাদরান এবং মোহাম্মদ নবী উভয়ই একটি করে উইকেট পান।