ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিনোদন পিপাসুদের জনস্রোত

প্রকাশিত: ০৯:২১, ৮ জুন ২০১৯

বিনোদন পিপাসুদের জনস্রোত

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ ঈদের ছুটি চলছে এখনও। তবে গ্রাম ছেড়ে শহরেও পাড়ি দিতে শুরু করেছে মানুষ। রাজশাহী শহর এখন প্রায় ফাঁকা হলেও ভিড় আর কোলাহল বিনোদন কেন্দ্রে কেন্দ্রে। যারা রাজশাহী এসেছেন আর যারা বরাবরই এই শহরে থাকেন, তারা প্রাণ খুলে এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সকাল, বিকেল বা সন্ধ্যা নেই। সব সময়ই তাই বিনোদন পিপাসুদের ভিড়ে কোলাহলমুখর হয়ে থাকছে চিত্তবিনোদনের কেন্দ্রগুলো। বিশেষ করে রাজশাহীর পদ্মা নদী ঘিরে এখন মানুষের স্রোত চলছে। মেঘ, বৃষ্টি ও ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষ সপরিবারে যাচ্ছেন চিড়িয়াখানার নৈসর্গিক পরিবেশে কিছুটা আনন্দঘন সময় কাটাতে। মানুষের আনন্দ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে চিড়িয়াখানার পশু-পাখি। ঈদের ছুটিতে রাজশাহীর কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী অন্য সময়ের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি। মানুষের ভিড় সামলাতে লোকবল না বাড়ানো গেলেও উদ্যান ও চিড়িয়াখানা জুড়ে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজশাহী চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দেয়া হিসাব মতে, ঈদের প্রথম দিন প্রায় ১৭ হাজার মানুষ উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় এসেছে। দ্বিতীয় দিনের ভিড় তার চেয়ে বেশি। আর শুক্রবার যেন পা ফেলার জায়গা নেই চিড়িয়াখানায়। শিশুরা মেতেছে তাদের মতো করে। শুধু তারা নয়, অনেকেই পরিবার নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছে। তবে দর্শনার্থীদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বেশির ভাগ অভিভাবককেই শিশুদের প্রাণী চেনাতে দেখা গেছে। শুক্রবার সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে অজগর বেষ্টনীর সামনে। খাঁচার মধ্যে গাছের সঙ্গে পেঁচিয়ে থাকা প্রাণীটি শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার মনেই আনন্দ খোরাক যোগাচ্ছে। এদিকে কেন্দ্রীয় উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে প্রধান ফটকের সামনেই থাকা সুদৃশ্য লেকে বিনোদনপ্রেমীরা নেমে বোট চালাচ্ছেন। নয়নাভিরাম পুকুর ও লেকের পাড় ও এর ওপর পরী সুদৃশ্য ভেনাস দ্বীপের পাশে নির্মিত দুটি কার্ভ সেতুতে সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে কেউ বা ছবি তুলছেন, কেউ তুলছেন সেলফি। মনোরম ওয়াকওয়েগুলো লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে। দক্ষিণের সবুজ পাহাড় ও তার ওপর ফোয়ারার পাশেও মানুষ ছবি তুলছেন। ছোট-বড় সবার জন্য বিনোদনের একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিশুদের চিত্তকে প্রফুল্লকরণের উদ্দেশে নির্মিত ফেরিজ হুইল ও চিলড্রেন কর্নারও ছোটদের হৈ হুল্লোরে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে এখন। পার্কের মনোরম পরিবেশে সবুজের কারুকার্য দেখে সবাই মনের খোরাক মেটাচ্ছেন। পরিবারের সঙ্গে ঢাকা থেকে ঈদ করতে আসা শাহেদুল ইসলাম বলেন, ছুটিতে কোথায় যাওয়া হয়নি। ইতোমধ্যে ছুটির দুদিন চলে গেছে। তাই শুক্রবার উদ্যানের প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে এসেছেন। পাশাপাশি বাচ্চাদের চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখাচ্ছেন। রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ক ও ভ্যাটেনরি সার্জন ডাঃ ফরহাদ হোসেন জানান, ঈদের দিন থেকে পরবর্তী সাত দিন বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে এখানে। এজন্য নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা। এদিকে মহানগরীর জিয়া শিশুপার্ক, বড়কুঠি পদ্মার পাড়, একটু দূরেই থাকা সীমান্ত অবকাশ, সীমান্তে নোঙর, ভদ্রা শিশুপার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ছে। সবচেয়ে বেশি ভিড় জিয়া শিশু পার্কে। সেখানে শিশুদের সঙ্গে যেন বড়রাও শিশু হয়ে গেছেন। ঈদের দিন থেকেই শহরের এই বিনোদন কেন্দ্রে সবাই মিলেমিশে একাকার হয়ে যেন নিংড়ে তুলে নিচ্ছেন নিজেদের পেছনে ফেলে আসা পরমানন্দ। আবহাওয়া যাই হোক, বিনোদন পিপাসুদের কোনভাবেই চার দেয়ালের মাঝে আটকানো যায়নি। ঈদের আনন্দ উপভোগের করতে একযোগে বেরিয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে শুকনো পদ্মা নদী বিনোদন প্রেমীদের খোরাক যোগাচ্ছে বেশি। বরিশালে মানুষের ঢল স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, ঈদ-উল- ফিতর উপলক্ষে বরিশাল শহর ও জেলার বাইরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঈদের দিন বিকেল থেকে মানুষের ঢল নেমেছে। বিশেষ করে শিশুদের পদচারণায় মুখর বিনোদন কেন্দ্রগুলো। নগরীর প্রধান বিনোদনকেন্দ্র কীর্তনখোলার তীর ত্রিশ গোডাউন, বঙ্গবন্ধু উদ্যান, শিশুপার্ক, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, আমানতগঞ্জ এলাকায় নবনির্মিত শহীদ সুকান্ত বাবু শিশুপার্ক, গ্রিন সিটি শিশুপার্ক, প্লানেট ওয়ার্ল্ড, মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন পার্ক, কালিজিরা ব্রিজ, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ব্রিজ ও চৌমাথা লেক পাড়ে বিনোদন প্রিয় মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। রঙ বেরঙের নতুন পোশাক পড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে তরুণ-যুবক ও শিশু-কিশোরসহ সকল শ্রেণীর মানুষ ক্ষণিকের আনন্দ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ছুটে আসছেন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। ঈদের দিন বিকেল থেকে বরিশালের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, পরিবারের সদস্য, বন্ধু ও বান্ধবের সঙ্গে ছবি তোলা, প্রিয়জনের সঙ্গে হাঁটা, নৌকায় ঘুরে বেড়ানো নিয়ে মেতে উঠেছে বিনোদন প্রিয় মানুষ। নগরীর অন্যতম উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র ত্রিশ গোডাউন এলাকায় সবচেয়ে উৎসবপ্রেমীদের ঢল নেমেছে। কীর্তনখোলা পাড়ের এ বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে সেলফি প্রেমীদের দখলে। নগরীর শিশুপার্কেও ছিল বিনোদন প্রেমীদের উপচেপড়া ভিড়। পছন্দের রাইড আর মন মাতানো আকর্ষণ দেখতে ঈদের দিন বিকেল থেকেই ভিড় বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এছাড়াও ঈদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিতে নগরীর বাহিরের বিনোদন কেন্দ্র যেমন-বাবুগঞ্জের দূর্গাসাগর, গুঠিয়ার নয়নাভিরাম বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমপ্লেক্স, গৌরনদীর ফারিহা গার্ডেন, বাটাজোরের শাহী ৯৯ পার্ক, প্রকৃতিতে ঘেরা পয়সারহাট ব্রিজ, দোয়ারিকা ও শিকারপুর সেতুসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্নতাত্মিক স্থাপনা ঘিরে বিনোদন প্রিয় মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কিশোরগঞ্জে নরসুন্দা মুক্তমঞ্চে ভিড় নিজস্ব সংবাদদাতা কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, নরসুন্দা নদীর তীরে নরসুন্দা মুক্তমঞ্চ এলাকা হয়ে উঠেছে কিশোরগঞ্জের প্রধান বিনোদন কেন্দ্র। বিভিন্ন উৎসব আর উপলক্ষে মানুষ তার ব্যস্ত জীবনের অবসরে ছুটে যান মুক্তমঞ্চ পাড়ের খোলা চত্বরে। পবিত্র ঈদ উল ফিতরের ছুটিতেও মানুষজন নির্মল আনন্দ পেতে ভিড় করেছেন জায়গাটিতে। ঈদের দিনও বিকেল থেকেই নরসুন্দা মুক্তমঞ্চ এলাকায় ভিড় জমান বিনোদনপিয়াসীরা। ঈদের পরদিন দুপুরের পর থেকে সেখানে সব বয়সীদের ভিড় লেগেই ছিল। ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পরিবারের সঙ্গে শিশু কিশোররাও এখানে এসেছে। শহরের একটু বুক ভরে নিশ্বাস নেয়ার জায়গা গুরুদয়াল কলেজ মাঠসংলগ্ন নরসুন্দা মুক্তমঞ্চ এলাকা। নির্মল পরিবেশে আনন্দময় সময় কাটানোর জন্য এলাকাটি দিন দিনই মানুষের পদভারে মুখরিত হচ্ছে। পর্যটকে মুখর সুন্দরবন নিজস্ব সংবাদদাতা মোংলা থেকে জানান, ঈদ আনন্দ বলেই কথা, তাই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করেই সুন্দরবন প্রেমীরা ছুটে আসছে করমজলে। ঈদের ছুটি কাটাতে ও আনন্দ উপভোগে করতে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে আসা পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর হয়ে উঠেছে বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের দর্শনীয় স্পটগুলোতে। আর প্রকৃতি প্রেমীদের ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে বনপ্রহরীদের। বন বিভাগ বলছে বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যেও ঢাকা, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, যশোর ও সাতক্ষীরাসহ দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকেরা সুন্দরবন দেখার জন্য ছুটে আসছে। তবে আবহাওয়া যদি এর চেয়ে আর খারাপ না হয় তাহলে এ ভিড় থাকবে আরও কয়েকদিন ধরে। ঈদের দিন বিকেল থেকে সুন্দরবনে দর্শনার্থীদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। এরপর ঈদের পরদিন থেকে প্রচন্ড চাপ বেড়েছে করমজলে। শুধু করমজলই নয় হাড়বাড়িয়া, হিরণপয়েন্ট, কটকা, কচিখালীসহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকের আনাগোনা বেড়েই চলেছে। তবে করমজল বনের কাছাকাছি ও যাওয়া-আসা সুবিধাজনক হওয়াতে সব সময়ই বেশি ভিড় হয়ে থাকে এখানে। বুধ, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারও ব্যতিক্রম ছিল না করমজলের চিত্র। বনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এ স্পটে কেউ এসেছে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে, কেউ আবার সপরিবারে। ছোট-বড় সকলেই প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্যে মুগ্ধ। কেউ কেউ সুন্দরবনে এসেছেন প্রথম তাই তাদের মধ্যে আগ্রহ ও উদ্দীপনাটা ছিল চোখে পড়ার মতো। আবার কেউ এসেছেন দ্বিতীয়-তৃতীয়বারের মতো কারণ প্রাকৃতিক এ বনের আকর্ষণটাই যে ভিন্ন। করমজলে থাকা হরিণ, বানর, কুমির, কচ্ছপসহ নানা ধরনের বন্যপ্রাণী আগত দর্শনার্থীদের খুব আকৃষ্ট করে থাকে। ঘুরাঘুরির জন্য রয়েছে বন প্রহরীদের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। করমজল পর্যটন কেন্দ্র ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির বলেন, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও পর্যটকেরা সুন্দরবন ভ্রমণে আসছে। ঈদের দিন বিকেল থেকে লোকজন আসতে শুরু করেছে এ বনে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারও বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে করমজলে। এবারের ঈদে যেহেতু ছুটিটাও বেশ বড় তাই আবহাওয়া মোটামুটি খারাপ থাকলেও পর্যটকের ভিড় রয়েছে যথেষ্ট। মাগুরায় মুখর নোমানী ময়দান নিজস্ব সংবাদাতা মাগুরা থেকে জানান, বিনোদন কেন্দ্রে বিনোদনপিপাসু মানুষের ভিড় জমেছে। মাগুরায় নোমানী ময়দান, মহম্মদপুর শেখ হাসিনা সেতু প্রভৃতি এলাকায় বিনোদনপিপাসুদের ভিড় জমেছে। বিনোদনপিপাসুরা পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে নোমানী ময়দানে ভিড় করছেন। এখানে মেলা বসেছে। রয়েছে নাগরদোলা, চরকা ও ঘোড়া। নানা বয়সের মানুষ এখানে আসছেন। এছাড়া মহম্মদপুর শেখ হাসিনা সেতু পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে। শিশু নারীসহ বিপুলসংখ্যক লোকের সমাগম ঘটছে। মানুষের পদচারণায় এসব এলাকা মুখোরিত হয়ে উঠেছে। মাগুরায় কোন বিনোদন পার্ক না থাকায় বিনোদনপিপাসুরা পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে নোমানী ময়দানে ভিড় করছেন। নারায়ণগঞ্জে দর্শনার্থীর ঢল মোঃ খলিলুর রহমান নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে ছুটে এসেছেন বিনোদন প্রিয়াসী মানুষজন। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সী লোকজন ঈদ-উল-ফিতরের দিন থেকে বিনোদন কেন্দ্রগুলো ভিড় করছেন। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে হৈ-হৈল্লুড়ে মেতেছে দর্শনার্থীরা। রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের বিনোদন প্রিয়াসী লোকজন নারায়ণগঞ্জের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছুটে এসেছেন। এছাড়াও শীতলক্ষ্যা, মেঘনা ও বুড়িগঙ্গায় নৌকা ও স্প্রিড বোর্ডে চড়েও আনন্দ উপভোগ করছেন মানুষজন। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জাদুঘরের লেকের নৌকায় ভ্রমণ, ডাঙ্গায় নাগরদোলায় ও চরকায় চড়া, বায়োস্কোপ এবং ইতিহাস-ঐতিহ্য, লোকশিল্প ও সংস্কৃতির অনন্য উপাদান অবলোকনসহ নানার ধরনের হস্তচালিত খেলনায় চড়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করেছে বিনোদন প্রিয়াসী লোকজন। ঈদের দিন থেকে শুরু করে ঈদের তৃতীয় দিন শুক্রবারও নানা বয়সী লোকজন বিনোদনের জন্য ছুটে আসেন বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে। শুধু লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনই নয় বাংলার তাজমহল, ঐতিহাসিক পানাম নগরী, নারায়ণগঞ্জ নগরীর খানপুরে বিআইডব্লিউটিএর ইকোপার্ক (চৌরঙ্গী পার্ক), ফতুল্লার পঞ্চবটির এ্যাডভেঞ্চারল্যান্ড পার্র্ক, ফতুল্লার লামাপাড়ায় নম পার্ক, রূপগঞ্জের জিন্দাপার্ক ও রাসেল পার্ক, নগরীর শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের ওয়াকওয়ে (হাটাচলা রাস্তা)সহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঈদের দিন থেকে শুক্রবারও দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
×